বাংলা নববর্ষ রচনা class 6, 7, 8, 9, 10 - JSC

হ্যালো প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমাদের জন্য আজকের পোস্ট বাংলা নববর্ষ রচনা। তোমরা যারা বাংলা নববর্ষ রচনা গুগলে সার্চ কর তাদের জন্য। তোমরা জানো বাংলা নববর্ষ রচনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তোমরা এই বাংলা নববর্ষ রচনা টি খুব ভালো করে পড়বা। তোমাদের জন্য আমরা বাংলা ব্যাকরনের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আমাদের আর কে রায়হান ওয়েবসাইটে।

বাংলা নববর্ষ রচনা class 6, 7, 8, 9, 10 - JSC
বাংলা নববর্ষ রচনা class 6, 7, 8, 9, 10 - JSC

বাংলা নববর্ষ রচনা

সূচনা: বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালির জীবনে বিশেষ এক তাৎপর্য বহন করে। গতানুগতিক জীবন ধারার মধ্যে নব নিয়ে আসে নতুন সুর, নতুন উদ্দীপনা। বিগত বারের মত নখ বেদনাকে একরাশ হ. আ আ গান। দিয়ে ভুলিয়ে নিয়ে যায় নববর্ষ। প্রাচীনকাল থেকে জাতি ৮ বর্ণ নির্বিশেষে এটি বাঙালির আনন্দময় এস হিসেবে সুপরিচিত। বাংলা নববর্ষ তাই বালির জাতীয় উৎসব।

বঙ্গাব্দ বা বাংলা সনের ইতিহাস; বালি বা বাংলা সন পালনের ইতিহাস রহস্যে ঘেরা। কোনাে কোনাে হত হসাব মনে করেন, বাংলার সুলতান হোসেন শাহ বলে সব পরকি তারও কারও মতে, আকবর বাংলা সনের প্রচলন করেন। তাঁর নির্দেশে আমির মৃত সিরজি পর্বে প্রচলিত হিজরি ও চন্দ্র বছরের সমন্বয়ে সৌর বছরের প্রচলন করেন। তবে সুলতান হােসেন শাহের সময়ে (৯০৩ হিজরা বলা সনের প্রচলন হলেও সমাট আকবরের সময় ৯৬৩ হিজরি থেকেই এটি সরিতীয় জাত করে তখন থেকেই এটি বা সততার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত বা আপন গলি তর এক জন ।

নববর্ষের উৎসব: বাঙালিরা প্রাচীনকাল থেকেই নববর্ষ উদযাপন করে আসছে। তখন বছর শুরু হতো অহায় মসি থেকে। এটি ছিল ফসল কাটার সময়। সরকারি রাজম ও ঋণ আদায়ের এটিই ছিল যথার্থ সময় পর বঙ্গাব্দ বা বাংলা সনের প্রচলন হলে বৈশাখ মাস থেকে বর্ষ গণনা শুরু হয়। আর বালিরা পহেলা শেখে । নববর্ষ উদযাপন করে। বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপনে এসেছে নতুন মাত্র। বর্তমানে আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে নববর্ষ পালন করা হয়।

পহেলা বৈশাখ: বিগত দিনের সমস্ত গ্লানি মুছে দিয়ে, পাওয়া না পাওয়ার সব হিসেব চুকিয়ে প্রতি বছর আসে পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। মহাধুমধামে শুরু হয় বর্ষণ। সবাই গেয়ে ওঠ রবীন্দ্রনাথের এই গান :

এসাে, এসাে, এসাে হে বৈশাখ 

তাপস নিঃশ্বাস বায়ে মুমুষুরে দাও উড়ায়ে

বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক। 

বাংলা নববর্ষের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা। বৈশাখী মেলাই হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সার্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের মহামিলন ক্ষের এই মেলা। এ মেলায় আবহমান গ্রাম-বাংলার সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের একটি পরিচিতি ফুটে ওঠে। বাউল, মারফতি, মুর্শিদি, ভাটিয়ালিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লােকগানে মেলার আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়। যা। নাটক, পুতুল নাচ, সার্কাস, নাগরদোলা ইত্যাদি মেলায় বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করে। মেলায় পাওয়া যায় মাটির হাড়ি, বাসনকোসন, পুতুল, বেত ও বাঁশের তৈরি গৃহস্থালির সামগ্রী, তালপাখা, কুটির শিল্পজাত বিভিন্ন সামগ্রী শিশ-কিশােরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জা ইত্যাদি। এছাড়া চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসাসহ নানা রকমের রবিটর বৈচিত্র্যময় সমারােহ থাকে বৈশাখী মেলায়। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস, পহেলা বৈশাখে ভালাে খেলে, নতুন পোশাক পড়লে সারা বছরই তাদের সুখে কাটবে। তাই গ্রামে পান্তা খায়না। যাদের সামর্থ্য আছে তারাই ভালো কাপড় পড়ে।

বাংলা নববর্ষের আরেকটি আকর্ষণ হলো হালখাত। গ্রামে গঞ্জে শহরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের দিন তাদের পণ হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন খাতা খোলেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন পুরনাে খন্দে বাসের আনিসুল ও মিষ্টি খাওয়ান। প্রাচীনকাল থেকে এখনাে এ অনুষ্ঠানটি বেশ জাকজমকভাবে পালিত হয়ে আসছে।

নববর্ষের প্রভাব: আমাদের জীবনে নববর্ষ উৎসবের আমেজ নিয়ে আসে। নববর্ষের দিন ছুটি থাকে। পারিবারিকভাবে বিশেষ খাবারের আয়ােজন আয়ােজন করা হয়। এ-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনকে নিমগগ জানানাে হয়। সব কিছুতে আনন্দের ছোয়া লাগে। আধুনিক রীতি অনুযায়ী ছােট-বড় সবাই নববর্ষের শুভেচ্ছা কাম। করে। অতীতের লাভ-ক্ষতি ভুলে গিয়ে এদিন সবাই ভবিষ্যতের সয়াবনার স্বপ্ন বােনে। নববর্ষ আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে চলার প্রেরণা যােগায়। তাই আমাদের জীবনে নববর্ষের প্রভাব গভীর ও ব্যাপক।

নববর্ষের তাৎপর্য: বাঙালির নববর্ষের উৎসব নির্মল আনন্দের উৎসধারা। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে এটি অঙ্গ। আমাদের জাতীয় উৎসব। নববর্ষের সামাজিক ও সাংকেতিক কর্মকাণ্ডে আমরা আমাদের জীবনবাদ ও কল্যাণধর্মী রূপটিই খুঁজে পাই। আমাদের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক চেতনাকে প্রত্যক্ষ করি। আমাদের নববর্ষ। উদযাপনে আনন্দের বিতার আছে, কিন্তু কখনাে তা পরিমিতিবােধকে ছাড়িয়ে যায় না। বাংলা নববর্ষ তাই। বাঙালির সারা বছরের আনন্দের পসরা-বাহক।

উপসংহার: বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি আসে সগৌরবে – নিজেকে চিনিয়ে , সবাইকে জানিয়ে। আমাদের জীবনে নবচেতনার সঞ্চার করে পরিবর্তনের একটা বার্তা নিয়ে আসে নববর্ষ। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে সে | আমাদের জীবনে নতুন হালখাতার প্রবর্তন করে। নববর্ষ আমাদের মানবিক মূল্যবােধকে জাগ্রত করে; জাতীয় জীবনে স্বকীয় চেতনা বিকাশে উদ্বুদ্ধ করে। মানুষে মানুষে গড়ে তােলে সম্প্রীতির কোমল কম্বন। তাই বাংলা নববর্ষ আমাদের জীবনে এত আনন্দ ও গৌরবের।।

বাংলা নববর্ষ রচনা

ভূমিকা: পুরাতন বছরের সমস্ত গ্লানি মুছে দিয়ে, পাওয়া না পাওয়ার হিসাব চুকিয়ে প্রতিবছর ফিরে আসে পহেলা বৈশাখ। নতুনের পশরা সাজিয়ে আগমন ঘটে নতুন বছরের। বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির প্রাণে এক উৎসবমুখর আনন্দের স্রোতধারা বইয়ে দেয়। নববর্ষের আগমনে দেশের সর্বত্রই বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ। নতুনত্ব ও বৈচিত্র্যের সম্ভারে সমৃদ্ধ বাংলা নববর্ষের এ উৎসব বৈশাখ মাসের ১ তারিখ থেকেই শুরু হয় । নববর্ষ উৎসব পালনের জন্য যত রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, বৈশাখী মেলা তাদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ।

বৈশাখী মেলা: নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলা বসে। বৈশাখ মাসের প্রথম দিনেই গ্রামবাংলা এমনকি শহরের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা বসে থাকে। এজন্য একে বৈশাখী মেলা বলা হয় । এ মেলা চলার নির্দিষ্ট কোনো সময় বাঁধা নেই। এটি এক দিনও স্থায়ী হতে পারে আবার কোনো কোনো জায়গায় এক সপ্তাহ ধরেও চলতে পারে নতুন বছরে মানুষের আনন্দ-অনুভূতির প্রকাশ ঘটে বৈশাখী মেলার মাধ্যমে। এটা বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য।

বৈশাখী মেলার ইতিহাস: দীর্ঘকাল থেকেই আমাদের দেশে বৈশাখী মেলা চলে আসছে। তবে এ মেলার উৎস সম্পর্কে কোনো সঠিক ইতিহাস নেই । কবে, কখন, কোথায় এ মেলা শুরু হয়েছিল সে সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মেলা বসে থাকে। যেমন— গ্রিসের অলিম্পিক মেলা। বাংলাদেশেও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে মেলা বসে থাকে। বিদেশের ওই মেলাগুলো বিশেষ বিশেষ কোনো প্রতিযোগিতাকে সামনে নিয়ে হতো। আমাদের দেশের পহেলা ফাল্গুনের বসন্ত উৎসব, পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উৎসবের মেলাতেও বিভিন্ন খেলার প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। নববর্ষের বৈশাখী মেলাটাই এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বৈশাখী মেলাতেও বিভিন্ন ধরনের খেলা যেমন বলি খেলা, ঘোড়দৌড়, নৌকাবাইচ ইত্যাদির প্রচলন রয়েছে। এজন্য অনেকে অনুমান করে থাকেন যে অলিম্পিক বা ওকাজ মেলার সংস্করণই বৈশাখী মেলা ।

মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার স্থান: দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ মেলা অনুষ্ঠিত হয় । কোনো সম্মেলন কেন্দ্র বা কোনো বদ্ধ জায়গায় এ মেলা বসে না। এ মেলা সাধারণত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকে। প্রতিবছর ঢাকার রমনার বটমূলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া গ্রামের হাটে, বাজারে, নদীর তীরে, গ্রামের কেন্দ্রস্থলে, মন্দির প্রাঙ্গণে, শহরের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য রাস্তার ধারে ইত্যাদি খোলামেলা জায়গায় কিংবা কোনো বৃক্ষের নিচে এ মেলা বসে । কোনো কোনো শহরের কোনো স্কুলমাঠে বা ক্লাবের মাঠেও এ মেলা বসে। মেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর এসব জায়গা আবার খালি হয়ে যায় ।

মেলার বিবরণ: প্রতিবছর নানা ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি ও পেশার মানুষের আগমনে এ মেলা প্রাণচাঞ্চল্যে ভরে ওঠে। পহেলা বৈশাখে সরকারি ছুটি থাকায় কর্মব্যস্ত মানুষগুলো এই দিন মেলায় এসে আনন্দ উপভোগ করে। তাদের নেই কোনো প্রয়োজনের তাড়া । গ্রাম-গ্রামান্তর থেকে, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে সব মানুষ আনন্দের স্রোতে ভেসে যাওয়ার জন্য একত্রে মিলিত হয়। মেলাতে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। বাচ্চাদের খেলনা, মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের ইমিটেশন, মাটির অলংকার, ঘর সাজানোর জিনিস, প্রসাধনসামগ্রী, দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহার্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এই মেলাতে পাওয়া যায়। নববর্ষের দিন সকালে পান্তাভাত, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ অথবা ইলিশ মাছ ভাজা দিয়ে সবাই খেয়ে থাকে, যা বাঙালির ঐতিহ্যের ধারক। মেলার অনুষ্ঠানে থিয়েটার, যাত্রা, পুতুলনাচ, নাগরদোলা, সার্কাস, ম্যাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবারও মেলাতে পাওয়া যায় ।

মেলার গুরুত্ব: মূলত সামাজিক উদ্দেশ্যে এ মেলা হয়ে থাকে। নতুনকে বরণ করাই এ মেলার প্রধান উদ্দেশ্য। কোনোরকম ধর্মীয় চেতনা এখানে পরিলক্ষিত হয় না। তাই এটি সর্বজনীন অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে যে আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেখানে রয়েছে প্রাণের স্পর্শ। সামাজিক মিলন সাধন এবং পুরাতনকে ভুলে নতুন জীবনবোধে উজ্জীবিত হওয়াই এ মেলার মূল উদ্দেশ্য। মেলাপ্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক জীবনধারা সচলতা পায়। মানুষের মাঝে মিলন ঘটানোর এক মহৎ উদ্যোগ এ মেলা । এতে মানুষের চেতনা জাগ্রত হয়। তাই সব দিক দিয়ে এ মেলার গুরুত্ব অপরিসীম।

উপসংহার: আবহমানকাল থেকে চলে আসছে এ বৈশাখী মেলা। মুক্ত আকাশের নিচে পুরাতন বছরের সব গ্লানি, একঘেয়েমি ভুলে সর্বজনীন আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলা নববর্ষ রচনা class 6, 7, 8, 9, 10 - JSC | বাংলা নববর্ষ রচনা ১০০০ শব্দ

বাড্ডি তোমাদের যদি আজকের বাংলা নববর্ষ রচনা টি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই একটা কমেন্ট থাংস দিবেন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। আজকের মত এখানেই সমাপ্ত। ধন্যবাদ বাংলা নববর্ষ রচনা টি পড়ার জন্য।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • radkobaccus
    radkobaccus 02 March

    The king casino is home to more than 60 slots and
    With over 160,000 machines and a world-class casino, the royal palace is 바카라 사이트 벳무브 home to more 더킹카지노 회원가입 than 코인카지노 회원가입 60 slots and 더킹카지노 회원가입 bingo, and a 온라인 카지노 사이트 추천 world-class casino.

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ