গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি উল্লেখ কর।

গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর
গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর

গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি উল্লেখ কর ।
  • অথবা, গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি বর্ণনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : সাধারণত গবেষণার সামাজিক বিজ্ঞান বা বিজ্ঞানের আওতাধীনে যেসব বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীয় প্রতিবন্ধকতা লক্ষণীয় তাকে গবেষণা সমস্যা বলে। গবেষণা সমস্যা এমন কিছু ধারণা প্রদান করে যা গবেষণার লক্ষ্য নির্ধারণের মূল প্রসঙ্গকে চিহ্নিত করে। 

গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ এবং তা পরিচালনার মাধ্যমে অর্জিত অভিজ্ঞত কাজে লাগিয়ে সমাজ' থেকে সমস্যা দূর করা সম্ভব হয় এবং এর ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। 

হাজারে সামাজিক বা বিজ্ঞানভিত্তিক সমস্যার মধ্যে যেসব অতি তাৎপর্যপূর্ণ তা গবেষণার অধীন নিয়ে আসা হয় এ ঘটনাকে গবেষণা সমস্যা বলে ।

গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি : গবেষণা সমস্যার যেসব প্রকৃতি থাকা বাঞ্ছনীয় তা নিম্নে বর্ণনা হলো :

১. প্রকৃতিগতভাবে জটিল এবং সমাধান জরুরি এসব সমস্যা প্রকৃতিগতভাবেই গবেষণার উপযুক্ত সমস্যা। 

২. যেসব সামাজিক সমস্যা সমাধান করা যায় সেগুলো কেবল গবেষণা সমস্যার অধীন হতে পারে । 

৩. যেসব সমস্যার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জন এবং বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে তা গবেষণা সমস্যা হতে পারে। 

৪. সমাজের যেকোনো সমস্যা সমাধানের পিছনে যৌক্তিক ও যথার্থ কারণ অবশ্যই থাকা অপরিহার্য । অধিকাংশ সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, তিনটি শর্ত উদ্ভব হলে তা সমস্যার সৃষ্টি করে এবং তা গবেষণা উপযোগী বল বিবেচিত হয় । যেমন-

১. বর্তমান এবং ভবিষ্যতে এমন কোনো অবস্থা সৃষ্টি হওয়া যা সমস্যা তৈরি করে বা করবে।

২. গবেষণার জন্য অবশ্যই পার্থক্য সম্পর্কে দুর্বোধ্যতা থাকতে হবে।

৩. গবেষণা পরিচালনার জন্য অবশ্যই কমপক্ষে দুটি সম্ভাব্য ও আপাত ন্যায়সংগত সমাধান এবং উপায় থাকা অপরিহার্য। 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা সমস্যা বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ হতে পারে। এসব প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য থাকলেই কেবল যেকোনো সমস্যা গবেষণা সমস্যা হওয়ার যোগ্য হতে পারে। 

গবেষকগণ বিভিন্ন ধরনের প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করার পরই একটি সমস্যাকে গবেষণা সমস্যা হিসেবে নির্বাচন করে । উপযুক্ত ও পরিমিত প্রকৃতি ন থাকলে কোনো সমস্যাই গবেষণার জন্য নির্ধারিত হতে পারে না।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা সমস্যার প্রকৃতি বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ