গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ লেখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ লেখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা সমস্যা নির্বাচনের উৎসগুলো কী কী? বর্ণনা কর।

গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ লেখ
গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ লেখ

গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ লেখ

  • অথবা, গবেষণা সমস্যা নির্বাচনের উৎসগুলো কী কী? বর্ণনা কর ।
  • অথবা, গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর ।

উত্তর ভূমিকা : গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ একটি কঠিন এবং জটিলতর বিষয়। গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। এসব উৎস থেকেই বিচারবিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা সমস্যা নির্ধারণ করা হয়। 

যথাযথভাবে অগ্রসর না হলে গবেষণার কাঙ্ক্ষিত ফল বিপদাপন্ন হতে পারে। গবেষণার মূলেও প্রথম কাজ হলো একটি সময়োপযোগী এবং বাস্তবসম্মত গবেষণা সমস্যা প্রণয়ন করা।

গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ : গবেষণা সমস্যা যেসব উৎস থেকে নির্বাচন করা হয় তা নিম্নরূপ :

১. মানবকল্যাণ সাধন : সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়। গবেষণার মাধ্যমে এসব সমস্যার যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা হয়। পাশাপাশি মানবকল্যাণ নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের একটি অন্যতম উৎস মানবকল্যাণ সাধন ।

২. পারিবারিক সমস্যা : পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা বিদ্যমান, সেসব সমস্যা গবেষণার মাধ্যমে অধিক সংখ্যক পরিবার উপকৃত হতে পারে। মানুষের পারিবারিক জীবনে শান্তি নিশ্চিত করতে পারে। পরিবারের যেকোনো সমস্যা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। 

কেবল যেসব পারিবারিক সমস্যা মানুষের জীবনে চলার পথে অত্যধিক ক্ষতিকর এবং অকল্যাণকর তার সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে গবেষণা পরিচালনা হতে পারে। তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ পারিবারিক সমস্যা নিয়ে সাধারণত গবেষণা পরিচালনা হতে পারে না।

৩. ব্যক্তিগত সমস্যা : সমাজের যেসব ব্যক্তিগত সমস্যা খুবই প্রকট এবং প্রায় অধিকাংশ মানুষ যাতে আক্রান্ত হয় তা নিয়ে গবেষণা পরিচালনা হতে পারে। 

এসব সমস্যা ব্যক্তিগত হলেও এগুলোর সমাজে ব্যাপক প্রভাব এবং পরিধি অনেক বিস্তৃত । এ জাতীয় একটি সমস্যা গবেষণার মাধ্যমে সমাধান বের করতে পারলে তা দ্বারা অনেক মানুষ উপকৃত হয়। এসব সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি।

৪. সামাজিক সমস্যা : সমাজের যেসব সমস্যা ব্যাপক এবং অধিক মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে সেগুলোর সমাধান বের করতে গবেষণা পরিচালনা অপরিহার্য। সমাজের এ ধরনের সমস্যা সমাজের উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করে। 

এগুলো সমাজের অধিকাংশ মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ সামাজিক সমস্যা গবেষণা সমস্যার প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত।

৫. রাষ্ট্রীয় সমস্যা : রাষ্ট্রের অনেক সমস্যা আছে যেগুলো অধিক এবং সীমাহীন মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং অকল্যাণ করে। রাষ্ট্রের উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায় হিসেবে কাজ করে। 

এসব সমস্যা সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি অনেক সময় পরিবারকেও আক্রান্ত করে। এসব সমস্যার সমাধান অত্যন্ত জরুরি। রাষ্ট্রের এসব সমস্যার সমাধানের জন্য বিস্তর গবেষণা পরিচালনা অতীব প্রয়োজনীয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, অসংখ্য উৎস থেকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগসংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে গবেষণাকার্য পরিচালনা অতীব প্রয়োজনীয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বপ্রথম এ সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা পরিচালনা অপরিহার্য। 

এর বাইরে অনেক উৎস রয়েছে। যাতে অনেক সমস্যা বিদ্যমান, যেগুলোর সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য। সমস্যা সমাধানের প্রধান মাধ্যম হলো সে বিষয়ে অনুসন্ধান এবং গবেষণাকার্য পরিচালনা।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা সমস্যা নির্ধারণের উৎসসমূহ লেখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ