যুদ্ধ শেষের ক্ষত চিহ্নের একটি বর্ণনা দাও
যুদ্ধ শেষের ক্ষত চিহ্নের একটি বর্ণনা দাও
![]() |
যুদ্ধ শেষের ক্ষত চিহ্নের একটি বর্ণনা দাও |
উত্তর : বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত জীবন নিয়ে এবং অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধে অনুপ্রাণিত প্রথম সার্থক সৃষ্টি শহীদুল্লা কায়সারের 'সংশপ্তক' উপন্যাসে আমরা যুদ্ধের একটি বিভীষিকাময় চিত্র দেখতে পাই।
শেষে হলেও তার পিচ । কিন্তু ভারী ট্রাক ট্যাঙ্ক কামান বন্দুক বয়ে বয়ে ট্রাঙ্ক রোডের ইটের গাঁথা বুকখানির হাড় জর্জর অবস্থা হয়ে যায়। ক্ষত চিহ্নটা থেকেই যায়। মাটির তৈরি ছিল ট্রাঙ্ক রোডটি, যুদ্ধের সময় সেই মাটির বুকে পড়েছিল ইটের গাথুনি; কোথাও বাকোথাও ইট উপড়ে তলার মাটি হা হয়ে যায়। কোথাও বা ভাঙা ইট শিথিল গাধুনি খাবলা খাবলা যা ভুলে ফেলে।
দু'ধারের গ্রামগুলোতে চোখে পড়ে কাঁচাঘরের পাশাপাশি নিচু দেয়ালের ব্যারাক, গুদাম। চিনগুলো বিক্রি হয়ে যায় নিলামে, নিরা মাঝখানটি হয়ে পড়ে অকেজো। দু'পাশটাতে যেখানে নরম মাটি ছিল যুদ্ধ শেষে সেখান দিয়েই গাড়ি ও মানুষ চ দেয়ালগুলোর গায়ে শ্যাওলা মেখে দাঁড়িয়ে আছে বিগত যুদ্ধের সাক্ষী আর কৃষকদের হাজারো অসুবিধার কারণ হয়ে।
রাস্তার পাশে মাটির নিচে তৈরি হয়েছিল যে বিমান আক্রমণের সময় আশ্রয় নেবার ঘর; সেই আশ্রয় শিবিরের ছানটা যুদ্ধ শেষেও অটুট থাকে রাস্তা থেকে হাত দুই উঁচু ছিল। পরে সেটি নামাজের জায়গা হয়। এসবগুলোই মূলত যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন হয়ে টিকে থাকে।