এ সুধা চন্দ্রালোকে থাকে' ব্যাখ্যা কর

এ সুধা চন্দ্রালোকে থাকে' –ব্যাখ্যা কর।
এ সুধা চন্দ্রালোকে থাকে' –ব্যাখ্যা কর।
এ সুধা চন্দ্রালোকে থাকে' –ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জয়পুরের রাজা জগৎসিংহ নারীলোলুপ। তারই চাটুকার নারী সংগ্রহকারী ধনদাস। সে মূলত ধনেরই দাস। তাই সে কখনো গুণ গায়, অতি বাড়িয়ে কথা বলে। যেমন করে হোক নিজের কাজ সে উদ্ধার করবেই। উদয়পুরের এক বণিকের কাছ থেকে সে একটি চিত্রপট কৌশলে প্রায় বিনামূল্যে সংগ্রহ করে। চিত্রপটটি উদয়পুরের রাজকন্যা সুন্দরী কৃষ্ণার।

 সে ছবিটি জগৎসিংহকে দেখিয়ে বড় একটা টাকা হাতিয়ে নেবে এই উদ্দেশ্য। তখন সে নারীলোলুপ রাজা জগৎসিংহকে ছবিটি দেখায়। সুন্দরী কৃষ্ণার ছবি দেখে জগৎসিংহ বিমুগ্ধ। এমন অপরূপ রূপ জগৎসিংহ জীবনে দেখে নি। সে বিস্মিত হয়, এ নারীকে স্পর্শ করতে সে ব্যাকুল হয়ে ওঠে। 

ফলে এর খোঁজ খবর নেয়। তাই ধনদাসকে জিজ্ঞেস করে এমন সুন্দর পদ্ম কোন সরোবরে ফুটেছে। তখন ধনদাস জানায় যে, এ রূপবতীর অবস্থান চন্দ্রালোকে। যার চারদিকে রুদ্রচক্র অহর্নিশি ঘুরছে।

উদয়পুরের রাজদুহিতা কৃষ্ণকুমারী। চন্দ্রালোকে অবস্থানের বিষয়ে ধনদাসের যুক্তি হচ্ছে- কৃষ্ণার জন্ম মহৎকুলে- সে মহদ্বংশে শত রাজ সিংহ জন্মগ্রহণ করেছে, সে বংশের যশঃসৌরভে ভারতভূমি চির পরিপূর্ণ। 

যে বিধাতা নন্দনকাননে পারিজাত পুষ্পের সৃজন করেছেন, তিনিই এই কুমারীকে উদয়পুরের রাজকুলের ললাট রূপে সৃষ্টি করেছেন। ফলে কৃষ্ণার অবস্থান চন্দ্রকুলে - যথার্থ ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ