বাঁশি হারিয়ে কৃষ্ণের কী অবস্থা হয়েছিল তার বর্ণনা দাও
বাঁশি হারিয়ে কৃষ্ণের কী অবস্থা হয়েছিল তার বর্ণনা দাও
অথবা মেঘ যেহ্ন আষাঢ় শ্রাবণে ঝরে তার পাণী নয়নে গো এখানে আষাঢ় শ্রাবণ বলতে কী বুঝানো হয়েছে সংক্ষেপে লেখ
![]() |
বাঁশি হারিয়ে কৃষ্ণের কী অবস্থা হয়েছিল তার বর্ণনা দাও |
উত্তর : বাঁশি হারিয়ে কৃষ্ণের বিপর্যস্ত অবস্থা। স্বর্গ, মর্ত্য, পাতালে খোঁজ করেও সে বাঁশির সন্ধান পেল না । কৃষ্ণের ধারণা তার বাঁশি রাধা চুরি করেছে। তাই বাঁশির জন্য তার পিছনে পিছনে অনেক ঘুরেছে। কিন্তু রাধা চুরির অভিযোগ স্বীকার করেনি।
অনেক ঘুরেও কৃষ্ণ যখন বাঁশি ফেরত পেল না তখন বড়ায়ি পরামর্শ দিল রাধার ষোল'শ সঙ্গিনীদের কাছে জোড় হাত করতে; তবেই সে বাঁশি ফেরত পাবে। বড়ায়ির কথা শুনে কৃষ্ণ বলল যে, সে দেবতাগণের দেবতা, কেমন করে জোড় হাত করবে।
বড়ায়ি বলল যে জোড় হাত করলে তবেই রাধা বাঁশি ফেরত দিবে। বড়ায়ি রাধার কাছে গিয়ে কৃষ্ণের বিপর্যস্ত অবস্থার বর্ণনা দিয়ে বলল যে, আষাঢ় শ্রাবণ মাসের মেঘের মতো কৃষ্ণের নয়নে জল ঝরছে। কেঁদে কেঁদে তার মুখ মলিন হয়ে গেছে। বড়ায়ি আর কৃষ্ণের দুঃখ দেখতে পারছে না। বাঁশির শোকে কৃষ্ণ পাগলপারা, এবার তাকে বাঁশি ফেরত দিয়ে দেওয়া উচিত।
বাঁশির শোকে কৃষ্ণ কেঁদে কেঁদে আকুল। তার মুখ মলিন হয়ে গেছে। বড়ায়ি দুঃখ করে কৃষ্ণের এই কষ্টের কথা রাধাকে শুনিয়েছে।