বিসর্জন' নাটক অবলম্বনে রাজা গোবিন্দমাণিক্যের পরিচয় দাও

বিসর্জন' নাটক অবলম্বনে রাজা গোবিন্দমাণিক্যের পরিচয় দাও

বিসর্জন' নাটক অবলম্বনে রাজা গোবিন্দমাণিক্যের পরিচয় দাও
বিসর্জন' নাটক অবলম্বনে রাজা গোবিন্দমাণিক্যের পরিচয় দাও


উত্তর: ত্রিপুরারাজ গোবিন্দমাণিক্য মূলত রাজর্ষি, তিনি একাধারে রাজা ও ঋষি। নিঃসন্তান রাজা রাজ্যের সকল প্রজাকে নিজ সন্তান জ্ঞান করেন। দরিদ্র বালিকা অপর্ণার কাছে রাজা জানতে পারেন যে, সন্তান প্রাপ্তির আশায় রানী গুণবতী অপর্ণার সন্তানতুল্য দু'টি ছাগশিশু বলি দিয়েছে। 

এ বলির মধ্যে রাজা কোন মঙ্গল খুঁজে পায় না। অপর্ণারবেদনা রাজাকে বেদনার্ত করেছে, সন্তানের রক্তে মা কখনো স্নাত হতে পারে না- যে পারে সে মা নয় রাক্ষসী। অপর্ণা যেন রাজার দিব্য চক্ষু খুলে দেয়, রাজা হয় আলোকিত। রাজ্যে তিনি বলি বন্ধের ঘোষণা দেন। এ ঘোষণায় তার প্রিয়তমা পত্নী থেকে শুরু করে এক এক করে সবাই প্রতিপক্ষ হয়েছে। 

তিনি অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন ঋজু ভঙ্গিতে । উদার সত্যধর্মের ধ্বজা হাতে তিনি সূদৃঢ় দণ্ডায়মান। রঘুপতি তাকে হত্যার প্রচেষ্টা চালায় । তিনি নির্ভয়। জয়সিংহকে রাজা ভুল ধরিয়ে দেয়। রঘুপতি রাজার ছোট ভাই নক্ষত্রকে রাজা হবার লোভ দেখিয়ে রাজাকে হত্যায় অনুপ্রাণিত করে। রাজা নক্ষত্রকে সিংহাসন ছেড়ে দিয়ে রাজ্য ত্যাগে বদ্ধপরিকর।

গোবিন্দমাণিক্যের চরিত্র দ্বন্দ্বহীন- একমুখী। নির্ভেজাল প্রেম- মানবতার প্রতীক তিনি। তার দর্শন হচ্ছে প্রেমের পথেই শান্তি, হিংস্রতার পথে নয়।

পালকপুত্র ধ্রুব হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রঘুপতি ও আপন ভাই নক্ষত্রকে তিনি একই শাস্তি দেন । তার নীতি ও আইনে সবাই সমান। নাটকের শেষে গোবিন্দমাণিক্যেরই জয় হয়েছে। সবাই মানবধর্মের জয় ঘোষণা করেছে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ