bangla data

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে | অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

আপনি কি জানতে চান গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে? অনলাইনে গর্ভবতী Card করার নিয়ম জানতে চাইলে আমাদের আজকের এই Article টি আপনার জন্য অনেক উপকারি হতে চলেছে। ইউনিয়ন গর্ভবতী কার্ড পেতে চাইলে আমাদের পোষ্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে ও অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম। তো জানতে চাইলে আমাদের আজকের আর্টিকেল টি পড়ুন।
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম
অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম
অর্থের অভাবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশ যাতে ব্যাঘাত  না হয় সেই জন্য সরকার গর্ভবতী মায়ের জন্য সরকারি ভাতা দেওয়ার প্রচলন করেন। 

বাংলাদেশের সরকার প্রতি মাস ৮০০/- হারে প্রতি ৬ মাস পর পর  ৪ বার বা ২৪ মাস গর্ভবতী ভাতা প্রদান করে থাকে। যদি আপনি গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্য বা ভাতার প্রাপ্তির যোগ্য হয়ে থাকেন তবে এ পোস্টটি আপনার জন্য। 

নিচের তথ্যগুলো ভাল ভাবে জেনে বুঝে Union পরিষদে Application মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতা পেতে পারেন। অথবা আপনি নিজেই Online গর্ভবতী কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে যোগ্যতা ২০২২

গর্ভবতী ভাতা বা দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা ২০১৫ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। 

সে অনুযায়ী আপনি ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জনের জন্য নিচের নিয়ম পূরণ করতে হবে। নিচের যোগ্যতা বা অবস্থা বিবেচনা করে আপনাকে ভাতার জন্য নির্বাচন করা হবে।

ক. প্রথম বা দ্বিতীয় গর্ভধারণকাল (যেকোনো একবার)

খ. বয়স কমপক্ষে ২০ বছর বা তার বেশি

গ. মোট মাসিক আয় ২,০০০/- টাকার নিচে

ঘ. দরিদ্র প্রতিবন্ধী মা অগ্রাধিকার পাবেন

ঙ. কেবল বসতবাড়ি রয়েছে বা অন্যের জায়গায় বসবাস করে

চ. নিজের বা পরিবারের কোনো কৃষি জমি বা মৎস্য চাষের জন্য পুকুর নেই

ছ. উপকারভোগী নির্বাচনের সময় অর্থাৎ জুলাই মাসে উপকার ভোগীকে অবশ্যই গর্ভবতী থাকতে হবে

জ. প্রথম ও দ্বিতীয় গর্ভের সন্তান গর্ভাবস্থায় বা জন্মের ২ (দুই) বছরের মধ্যে মারা গেলে তৃতীয় গর্ভধারণ কালে গর্ভবতী ভাতা প্রাপ্য হবেন

ঝ. একজন ভাতাভোগী জীবনে একবার ২ (দুই) বছর সময়কালের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা পাবেন

ঞ. কোনো কারণে সন্তানের মৃত্যু হলে অথবা গর্ভপাতের কারণে নির্দিষ্ট কাজ অসম্পূর্ণ থাকলে তিনি পুনরায় গর্ভবতী হলে পরবর্তীতে ২ (দুই) বছরের মাতৃত্ব ভাতা প্রাপ্য হবেন, যদি অন্যান্য শর্ত পূরণ হয়ে থাকে

উপরে বর্ণিত শর্তসমূহের মধ্যে কেউ ক, খ ও ছ সহ কমপক্ষে ৫ (পাঁচ)টি শর্ত পূরণ করলে তার Name প্রাথমিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে এবং অধিকতর দরিদ্র অগ্রাধিকার পাবেন। 

তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবেদনকারীর তথ্য MIS Online Software এন্ট্রি করবেন।

গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে শর্তাবলী

১। ভাতাভােগীর বয়স 20 - 35 Year মধ্যে হতে হবে।

২। প্রথম অথবা দ্বিতীয় গর্ভাবস্থা হতে হবে।

৩। ভাতা ভােগীকে এ ৪ থেকে ৬ মাসের গর্ভবতী থাকতে হবে।

৪। Application পত্রের সহিত ছবি ৩ কপি, নাগরিকত্বের সনদ ও National পরিচয় পত্রের সত্যায়িত Photo Copy সংযুক্ত করতে হবে।

৫। Upojela স্বাস্থ্য ও পঃপঃ অথবা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গর্ভবতী/প্রসুতি প্রত্যয়ন পত্র-১ কপি।

৬। প্রত্যক উপকারভােগীর নিজ পছন্দের ও নিজ নামের Digital Online Bank/Agent Bank/ Mobile Bank হিসাব নম্বর ও  মােবাইল নম্বর অবশ্যই থাকতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র - গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে

Upojela স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত গর্ভধারণের সনদপত্র, Union সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক দুই কপি জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদপত্র এবং Passport সাইজের ছবি। অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম
  • দুই কপি Passport সাইজের ছবি
  • উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা/উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কর্তৃক গর্ভকালীন সনদ
  • নাগরিক সনদ
  • Union সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত সনদ এবং 
  • জন্ম নিবন্ধন সনদ
বিশেষ দ্রষ্টব্য আবেদন সঠিকভাবে Submit করার পরেও যদি আপনি কোনরূপ ভাবে সেবা  না পেয়ে থাকেন বা কোনো ঝামেলার সম্মুখীন হন তাহলে, জেলা এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এবং উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে Contact করার পরামর্শ থাকছে।

গর্ভবতী ভাতা কত টাকা দেয় ২০২২

বাংলাদেশ সরকার Monthly ৮০০/- হারে প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর করে ৪ বার বা ২৪ মাস ভাতা প্রদান করে থাকে। Online অনুমোদন করা হয়। 

Offline Application এবং আবেদন পত্রের সাথে সংযুক্ত কাগজপত্রাদি অনুসারে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা Union পরিষদ হতে আবেদনকারীদের তথ্য ও আবেদন সংগ্রহ করে এবং Chairman এর নিকট হতে স্বাক্ষর ও সীল গ্রহণ করেন এবং উপজেলা কমিটির সদস্য সচির কাগজপত্রাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন এবং উপজেলা কমিটির সভাপতি Application মঞ্জুরী প্রদান করেন।

গর্ভবতী ভাতার আবেদন ফরম Download ২০২২

দরিদ্র মা’র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা মঞ্জুরীর জন্য Application করা উপজেলা কমিটি বরাবর। Union পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা কমিটি সদস্য সচিব ও সভাপতি এ সংক্রান্ত আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করে মঞ্জুরী আদেশ দেন। 

গর্ভবতী ভাতার Application Form এখান থেকেই সংগ্রহ করতে পারেন। গর্ভবতী ভাতার আবেদন ফরম Download ২০২২ : ডাউনলোড

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম

অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার জন্য আপনাকে প্রথমে এই লিংকে ক্লিক করতে হবে। ঐ লিংকে যাওয়ার পর আপনি একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। আপনার কাছ থেকে নিচের তথ্য চাইবে। এখন আপনি নিচের তথ্য গুলো পুরন করবেন।
  • ব্যক্তিগত তথ্য
  • বর্তমান ঠিকানা
  • স্থায়ী ঠিকানা
  • আর্থ-সামাজিক তথ্য
  • পেমেন্টের তথ্য
  • ছবি/স্বাক্ষর
  • সংযুক্তি
গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে
গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে
এসব তথ্য দেওয়া হলে আপনি এখন সংরক্ষন করুন অখানে ক্লিক করবেন। সব কিছু ঠিক থাক হয়ে গেলে আপনার আবেদন টি হয়ে গেছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে ও অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম
কেমন লাগলো আমাদের আজকের গর্ভবতী কার্ড করতে কি কি লাগে ও অনলাইনে গর্ভবতী কার্ড করার নিয়ম পোষ্ট টি। আশা করি তোমাদের ভালো লাগছে। যদি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। আর এই রকম নিত্য নতুন কোনো টপিক পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।
Next Post Previous Post
1 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 18 September

    কারিমা আক্তার

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ