Adobe illustrator Tutorial Bangla | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি

আপনি কি জানতে চান এডোবি ইলাস্ট্রেটর কি ও Adobe illustrator Tutorial Bangla (এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল বাংলা) বা এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি। যদি এডোবি ইলাস্ট্রেটর কি ও Adobe illustrator Tutorial Bangla (এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল বাংলা) বা এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি এবং এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর প্রধান কাজ কোনটি pdf তাহলে স্বাগতম জানাই আমাদের আজকের এই আটিকেলে।

Adobe illustrator Tutorial Bangla  এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি
Adobe illustrator Tutorial Bangla  এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি

হ্যালো বন্ধুরা আমি আরকে রায়হান আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এডোবি ইলাস্ট্রেটর কি ও Adobe illustrator Tutorial Bangla (এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল বাংলা) বা এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি এবং এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর প্রধান কাজ কোনটি pdf। আশা করি আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।

সুচিপত্রঃ Adobe illustrator Tutorial Bangla | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি

What Is Adobe Illustrator ? (এডোবি ইলাস্ট্রেটর কি ?)

Illustrator (ইলাস্ট্রেটর) একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন Package Program (প্যাকেজ প্রোগ্রাম)। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা যায়। ইহা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Adobe Corporation (অ্যাডৌবি কপোরেশন) কর্তৃক বাজারজাত কৃত। 

Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) গ্রাফিক্স ডিজাইন প্যাকেজ প্রোগ্রামটি সর্বপ্রথম বাজারজাত হয় Apple Macintosh কম্পিউটারে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে। 

কালক্রমে IBM বা IBM Compatible Computer এর মধ্যে Windows Shaported Illustrator (ইলাস্ট্রেটর) বাজারজাত হয় । 

উৎপত্তির সময় থেকে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রোগ্রামটি এযাবৎ অনেকগুলো Version (ভার্সন) অতিক্রম করেছে । এর সর্বশেষ Version (ভার্সন) Adobe Illustrator 10.0 (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর ১০.) ।

How to Illustrator is Used in The Work Place (এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর ব্যবহার):

আমরা আগেই অবগত হয়েছি যে, Illustrator (ইলাস্ট্রেটর) একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম)। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করা যায় । 

ইহা Desktop Publishing (ডেস্কটপ পাবলিশিং) গ্রুপের একটি অতি সহায়ক Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম)। 

যে Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম) এর মধ্যে Text (লেখা) এবং Picture | Graphics (ছবি) কে সমন্বয় সাধন করা যায় তাকে Desktop Publishing (ডেস্কটপ পাবলিশিং) Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম) বলা হয় । 

সহজ করে বলা যায় DTP হলাে Design for Text and Picture. এই প্রেক্ষিতে Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) নিঃসন্দেহে একটি Desktop Publishing (ডেস্কটপ পাবলিশিং) Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম)। 

Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর সাহায্যে খুব সুন্দরভাবে মনের ইচ্ছেমত Text (লেখা) এবং Picture / Graphics (ছবি) কে সমন্বয় সাধন করা যায়। এছাড়াও Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) বিশ্লেষন করলে বাস্তবক্ষেত্রে নিক্তে উপযােগিতা লক্ষ করা যায়। যেমন ঃ

(১). যে কোন ডিজাইন উপস্থাপনায় Text (লেখা) এর কাজ করা যায় । 

(২). পত্র পত্রিকা এবং যে কোন ধরনের বইয়ের প্রচ্ছদ (কভার) মনের ইচ্ছেমত বানানাে যায় । 

(৩). Text (লেখা) এবং Picture / Graphics (ছবি) কে সমন্বয় সাধন করে মনের ইচ্ছেমত সাজানাে যায়। 

(৪), বিজ্ঞাপন, পােষ্টার, লিফলেট ইত্যাদি সুন্দর করে বানানাে যায় । 

(৫), ভিজিটিং কার্ড, বিয়ের কার্ড ইত্যাদি খুব সুন্দর করে তৈরী করা যায় । 

(৬). Multimedia (মাল্টিমিডিয়া), Webpage (ওয়েবপেজ), Online Graphics Design (অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন) এর মধ্যে ইলাস্ট্রেটর এর ব্যবহার অতি সুফলদায়ক। 

(৭), সর্বোপরি প্রকাশনা শিল্পের সকল কাজ Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) বিশ্লেষন করলে খুব সহজে করা যায় ।

To Run the Illustrator (ইলাস্ট্রেটর চালুকরন) 

Adobe illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম) টি চলে Operating System Windows এর মাধ্যমে। অর্থাৎ ইহা একটি Windows Base Program। 

এই কারনে Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম) টি চালু করার আগে Operating System Windows চালু করতে হবে । এজন্য প্রয়ােজন Operating System Windows সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা । 

আমার মনে হয় যেহেতু আপনি Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম) টি শিখতে আসছেন সেহেতু Operating System Windows 95/98/2000/XP সম্পর্কে সম্যক ধারনা অর্জন করেছেন। 

যদি আপনি Operating System Windows 95/98/2000/XP সম্পর্কে অবগত থাকেন তাহলে তাহলে নিশ্চয়ই Windows এর Start Button সম্পর্কে অবগত আছেন তাহলে Windows এর Desktop থেকে

  • Start click
  • Program Click 
  • Adobe Click 
  • Illustrator 9.0 Click

Illustrator 9.0 Click করলেই অল্পক্ষন পর Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর Logo দেখা যাবে এবং তার পরপরই Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর Window দেখা যাবে । 

দৃশ্যমান এই Window কে বলা হয় Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর Opening / Editing Window.

Introducing the Illustrator 9.0 Window (ইলাস্ট্রেটর ৯.০ এর উইন্ডো পরিচিতি): 

Default সেটিং অনুসারে নতুন কোন Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর Window তে Title Bar, Menu Bar, Horizontal Scroll Bar, Vertical Scroll Bar, Art Board, Tool Box ইত্যাদি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ন উপাদান সমূহ দেখা যায় । 

Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর এই Window (উইন্ডো) থেকেই যে কোন কাজের সূচনা হয় । তাই Window (উইন্ডো) পরিচিতি অত্যাবশ্যক । উদাহরন স্বরূপ বলা যায় কোন লোককে ব্যবহার করতে হলে তাকে আগে চিনতে হয় । 

অর্থাৎ কোন লোকের মাধ্যমে কোন কাজ করানোর আগে জানতে হয় ঐ লোকের মাধ্যমে কাজটি করানো সম্ভব কিনা । না জেনে কারো উপর কোন কাজ চাপিয়ে দিলে ঐ কাজটি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী । 

ঠিক একই রকম বিষয় আমরা Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর মাধ্যমে ডিজাইন করতে হলে সবকিছুই করতে হবে ঐ Window (উইন্ডো) এর ভিতরে । 

যদি ঐ Window (উইন্ডো)টিকে ভাল করে না চিনতে পারি তাহলে খুব ভাল ডিজাইন করার সম্ভাবনাও কম । অর্থাৎ ভাল ডিজাইন করতে হলে Adobe Illustrator (অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর) এর Window (উইন্ডো)টিকে ভাল করে চিনতে হবে। 

মনে রাখবেন Window (উইন্ডো)টির সাথে যত ভাল করে পরিচিত হতে পারবেন তত ভাল কাজ করতে পারবেন এবং আপনার ডিজাইন ততই সুন্দর এবং গ্রহনযোগ্য হবে । তাহলে আসুন অপর পৃষ্ঠায় গিয়ে চিত্রের মাধ্যমে দেওয়া স্ক্রীন থেকে স্ক্রীনের সাথে ভালকরে পরিচিত হই ।


এতক্ষন আমরা স্ক্রীন পরিচিতি নিয়ে আলােচনা করলাম। আশাকরি এর মাধ্যমে আপনি Adobe Illustrator Screen এর প্রত্যেকটি নামের সাথে পরিচিত হয়েছেন। এই প্রত্যেকটি নামের বর্ননা জানা নিশ্চয়ই প্রয়ােজন। আসুন এ নিয়ে নিতে আলােচনা করি ।

(1) Title Bar (টাইটেল বার): আমরা জানি Title শব্দের বাংলা অর্থ হলাে উপাধি। যে কোন Package Program (প্যাকেজ প্রােগ্রাম) এর উপাধি অর্থাৎ নাম যে বারের মধ্যে দেওয়া থাকে সেটিই হলাে Title Bar (টাইটেল বার । 

সহজ ভাষায় Window এর শীর্ষদেশকে বলে Title Bar (টাইটেল বার)। লক্ষ্য করুন উপরােক্ত Window এর শীর্ষদেশে অর্থাৎ উপরে লেখা আছে Adobe Illustrator 9.0 । এই কথাটি যে Bar (বার) এর মধ্যে লেখা আছে ইহাই Title Bar (টাইটেল বার)। 

(2) Menu Bar (মেনু বার): আমরা জানি Menu শব্দের বাংলা অর্থ তালিকা। লক্ষ্য করুন Window তে File, Edit, ........... Help নামক নয়টি শব্দ বিদ্যমান। এগুলাের যে কোনটিতে Click করলে একটি তালিকা দেখা যায়। 

সুতরাং আমরা বলিতে পারি এগুলাে প্রত্যেকটিই এক একটি Menu (মেনু)। আর Menu (মেনু) গুলাের সমষ্টিতে যে লাইন বা বার দেখা যায় তাকে Menu Bar (মেনু বার) বলা হয়। 

(3) Scrot Bar (ক্রোল বার): কোন Page এর চতুর্দিক দেখার জন্য যে বার ব্যবহার করা হয় তাকে Scroll Bar বলে। কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় সর্বক্ষেত্রেই ডানে বামে কোন কিছু বােঝাতে হলে Horizontal এবং উপরে নিচে বােঝাতে হলে Vertical বলা হয়। 

সুতরাং এক্ষেত্রেও কোন Page এর ডান দিক বা বাম দিক দেখতে হলে নিচের দিকে বিদ্যমান যে বারটি ব্যবহার করা হয় তাকে Horizontal Scroll Bar বলা হয়। 

অপরদিকে কোন Page এর উপর দিক বা নিচ দিক দেখতে হলে ডান দিকে বিদ্যমান যে বারটি ব্যবহার করা হয় তাকে Vertical Scroll Bar বলা হয় ।

(4) Scratch Area (স্ক্র্যাচ এরিয়া): পৃষ্ঠার চার পার্শ্বে বিদ্যমান খালি যায়গার নাম Scratch Area (ক্র্যাচ এরিয়া)। পৃষ্ঠাতে । আটবাের্ডে সংযােজনের উদ্দ্যেশ্যে যে কোন Item / Object (আইটেম | অবজেক্ট) কে Scratch Area (ক্র্যাচ এরিয়া) তে অপেক্ষমান অবস্থায় রাখা যায়। 

প্রকৃত অর্থে Scratch Area (স্ক্র্যাচ এরিয়া) পৃষ্ঠার / আটবাের্ডের সাইজ অপেক্ষা বড় হয় যা Scroll Bar (স্ক্রোল বার) এর মাধ্যমে অবলােকন করা যায় । 

সবসময় মনে রাখতে হবে Scratch Area (স্ক্র্যাচ এরিয়া) তে যা থাকবে তা সম্পূর্নটাই নিরাপদ অর্থাৎ Scratch Area (স্ক্র্যাচ এরিয়া) তে যাহা থাকবে তা কখনও প্রিন্ট হবে না। 

(5) Toot Box (টুল বক্স): Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর Window এর মধ্যে বামে বিভিন্ন Tool (টুল) সম্বলিত একটি বক্স দেখা যায়। 

যার নাম Tool Box (টোল বক্স)। বিভিন্ন রকমের অবজেক্ট তৈরী, এডিটিং, উপস্থাপনা, কালার ম্যানেজমেন্ট, ড্রইং ইত্যাদি Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর প্রধান প্রধান কাজগুলাে করার জন্য এই Tool Box (টোল বক্স) থেকে পর্যাপ্ত সুযােগ সুবিধা অর্জন করা যায় । 

(6) Name of active Window (চলমান উইন্ডাে এর নাম): যে Title Bar (টাইটেল বার) এর মধ্যে কোন Window বর্তমানে চালু আছে উহার নাম দেখা যায় তাকে Name of Active Window বলা হয়। যাকে আমরা File Name হিসাবে ধরে নেই । 

(7) Zoom Indicator (জুম ইন্ডিকেটর): চলমান পৃষ্ঠায় কত % জুম বিদ্যমান তাহা এখানে দেখা যায় । Zoom Indicator (জুম ইন্ডিকেটর) Horizontal Scroll Bar & Status Bar এর বামে অবস্থিত। এখানে ক্লিক করে নির্দিষ্ট জুম % টাইপ করে এন্টার করলে সহজে নিজের ইচ্ছেমত নির্দিষ্ট সাইজে পৃষ্ঠা অবলােকন করা যায় । 

(8) Print Area (প্রিন্ট এরিয়া): পৃষ্ঠা বা আর্টবাের্ডের অভ্যন্তরস্থ অংশকে বলে Print Area (প্রিন্ট এরিয়া)। এই এরিয়াতে বিদ্যমান সকল অবজেক্ট প্রিন্ট হবে । তাই Print (প্রিন্ট) করার উপযােগী সব কিছুই এই এরিয়ার ভিতর রাখতে হবে । সর্বদা মনে রাখবেন এই  এরিয়ার বাহিরের কোন কিছুই Print (প্রিন্ট)  হবে না ।

(9) Page Border (পৃষ্ঠা বর্ডার): Print Area (প্রিন্ট এরিয়া) চিহ্নিত বর্ডারকে Page Border (পৃষ্ঠা বর্ডার) বলা হয় । Page Border (পৃষ্ঠা বর্ডার) এর বাহিরের কোন অংশ প্রিন্ট হয় না। 

(10) Palette (প্যালেট): অবজেক্টকে নানাভাবে রূপায়ন ও উপস্থাপনার জন্য বিভিন্ন Palette (প্যালেট) এর সাহায্য নিতে হয় প্রােগ্রামের ডিফল্ট সেটিং অনুসারে উইন্ডােতে কোন Palette (প্যালেট) প্রদর্শিত হয় না। প্রয়ােজনের প্রেক্ষিতে মেনুবারস্থ উইন্ডাে মেনু থেকে সংশ্লিষ্ট Palette (প্যালেট) কে প্রদর্শন করানাে হয়। উপরে অঙ্কিত স্ক্রীন পরিচিতিতে আমরা প্যালেট প্রদর্শিত অবস্থায়ই দেখেছি। 

(11) Status Bar (স্ট্যাটাস বার):  চলমান সময়ে কোন কাজ করা হচ্ছে, কোন টুল ব্যবহৃত হচ্ছে ইত্যাদি তথ্য অবহিত করে এই Status Bar (স্ট্যাটাস বার)। এছাড়াও এই Status Bar (স্ট্যাটাস বার) এর মধ্যে আরাে বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ন বার । 

(12) Auter (রােলার): কাজ করার সময় বিভিন্ন প্রকার হিসাব করার প্রয়ােজন হয়। কোন কাজের দৈর্ঘ,প্রস্থ ইত্যাদি দেখার জন্য Ruler (রােলার) ব্যবহার করা হয়। কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় সর্বক্ষেত্রেই ডানে বামে কোন কিছু বােঝাতে হলে Horizontal এবং উপরে নিচে বােঝাতে হলে Vertical বলা হয়। 

সুতরাং এক্ষেত্রেও কোন Page এর উপরের দিকে বাম দিক থেকে ডান দিকে বিদ্যমান স্কেলটিকে Horizontal Ruler বলা হয়। অপরদিকে কোন Page এর বাম দিকে উপর দিক থেকে নিচ দিকে বিদ্যমান স্কেলটিকে Vertical Ruler বলা হয়।

এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল বাংলা | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি

টুলবক্সে বিদ্যমান টুলসমূহের সাহায্যে ডকুমেন্টে উপাদান (Elements) তৈরী এবং সম্পাদনা করা যায় । যেমন : Text Box, Picture Box, Line Art, Text Path ইত্যাদি বিভিন্ন রকম কাজ করা যায় । যে কোন একটি টুল সিলেক্ট করলে বোঝা যায় চলমান ডকুমেন্টে কোন কাজটি করার সুযোগ আছে । কোন টুলের সাহায্যে কি কাজ করা যাবে বা হবে তাহা বোঝা যায় টুলে Mouse Pointer (মাউস পয়েন্টার) স্থাপন করলে । টুলবক্সে বিদ্যমান টুলসমূহ ডকুমেন্ট সম্পাদনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । তাই টুলসমূহের পরিচিতি/কার্যকারীতা সম্পর্কে জ্ঞান রাখা একান্ত প্রয়োজন; নিয়ে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হল ।

টুল সাধারনত দুই প্রকার ।

যেমন : 

১. একক টুল

২. গ্রুপ টুল ।

(1). Selection Tool (V): ইহা একটি একক টুল । কোন অবজেক্টকে সিলেক্ট করা যায় এই টুলটি ব্যবহার করে । এই টুল সিলেক্ট করে নির্দিষ্ট অবজেক্টে Click করলে উক্ত অবজেক্ট এবং Shift Key চেপে ধরে উহার মধ্যে অবস্থিত অন্যান্য একাধিক অবজেক্ট (যদি থাকে) একসাথে সিলেক্ট করা যায় । সিলেক্টেড অবজেক্টের বর্ডারে মাউস ব্যবহারে অবজেক্টের সাইজ সুবিধামত ছোট বড় করা যায় । এবং অবজেক্টের উপর মাউস ড্রাগ করে অবজেক্টকে সুবিধামত স্থানে স্থানান্তর করা যায় ।

(2). Direct Selection Tool (A) : ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ড্রইং করা যায় । উদাহরন স্বরূপ বলা যায় একটি চতুর্ভূজ বা বৃত্ত বা এজাতীয় কোন চিত্র অঙ্কন করার পর এর যে কোন কোনকে স্থানান্তর করতে এই টুল ব্যবহার করা হয় । এর মাধ্যমে কোন বক্স জাতীয় ড্রয়িং খুব সহজে করা যায় । এছাড়াও বিভিন্ন কাজে এই টুল ব্যবহার করা হয় । এই গ্রুপের অন্য টুলটির নাম Group Selection Tool. কোন অবজেক্টকে সরাসরি সিলেক্ট করতে এবং অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে এই টুল ব্যবহার করতে হয় । এর মাধ্যমে একাধিক অবজেক্ট এর উপর কাজ করা যায় ।

(3). Lasso Tool (Y): ইহা একটি একক টুল ।

(4). Direct Selection Lasso Tool (Q) : ইহা একটি একক টুল ।

(5). Pen Tool (P): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর সহায়তায় সোজা এবং আঁকা-বাঁকা লাইন অঙ্কন করা যায় । আঁকা-বাঁকা করে কোন কিছু লেখার সময় এই টুলের সাহায্য নিতে হয় । এককথায় কোনরকম আঁকা-বাঁকা ডিজাইন করতে হলে এই টুলটি খুবই প্রয়োজনীয় । এই গ্রুপের অন্যান্য টুলগুলোর মধ্যে তিনটি টুল আছে । এগুলোর মাধ্যমে লাইন যোগ করা, লাইন বিয়োগ করা, লাইন সংশোধন করা ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রে যখন যা প্রয়োজন তা করা যায় । নিয়মগুলো শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন ।

(6). Type Tool (T): ইহা একটি গ্রুপ টুল। এর সহায়তায় পৃষ্টায় কোন কিছু লিখা যায়। অর্থাৎ পৃষ্ঠায় টেস্ট টাইপ করার জন্য এই টুলের ব্যবহার করা হয়। টেস্ট বক্সে এডিটিং করার জন্য এই টুলের সাহায্য নিতে হয়। এই গ্রুপের অন্যান্য টুলগুলােও বিভিন্ন ডিজাইনে লেখার কাজে ব্যবহার করা হয়। 

(7). Elipse Tool (L): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর সহায়তায় গােলাকার বৃত্ত অঙ্কন করা যায় । বৃত্তাকার এবং উপবৃত্তাকার পিকচার বক্স আঁকার জন্য এই টুলের সাহায্য নিতে হয়। এই গ্রুপের অন্যান্য টুলগুলাে Polygon T০০1 (ত্রিভুজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভুজের চিত্র অঙ্কন করা যায়), star To01 (ষ্টার চিহ্ন অঙ্কন করা যায়), Spi ral To০1 (প্যাচানাে চিত্র অঙ্কন করা যায়)। উক্ত পদ্ধতিগুলাের মাধ্যমে তৈরীকৃত চিত্রের দ্বারা বিভিন্ন রকম ডিজাইন করা যায়। শুধু প্রয়ােজন ডিজাইন করার মত মন । 

(8). Rectangle Tool (M): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর সহায়তায় চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র এবং আয়তক্ষেত্র বক্স অঙ্কন করা যায়। এই গ্রুপের অন্য টুলটি হলাে Rounded Rectangle Too1. এর মাধ্যমে Round Shape করা চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র এবং আয়তক্ষেত্র বক্স অঙ্কন করা যায়। 

(9). Paintbrush Tool (B): ইহা একটি একক টুল । পেইন্ট করে লাইন ও ছবি আঁকতে এই টুলের সাহায্য নিতে হয়। অর্থাৎ এই টুলের সাহায্যে মনের ইচ্ছেমত ড্রইং করা যায় । 

(10). Pencil Tool (N): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর সহায়তায় মনের ইচ্ছেমত পেন্সিল দিয়ে অঙ্কন করা যায়। অর্থাৎ সুবিধামত লাইন, ছবি, এবং প্রচ্ছদ আঁকতে এই টুল দরকার হয়। এই গ্রুপের অন্যান্য টুলগুলাে Smooth Tool (পেন্সিল টুল দিয়ে তৈরীকৃত ছবি সংশােধন করা যায়), Erase Tool (পেন্সিল টুল দিয়ে তৈরীকৃত ছবি বিভিন্ন অংশে ভাগ করা যায়)। উক্ত পদ্ধতিগুলাের মাধ্যমে তৈরীকৃত চিত্রের দ্বারা বিভিন্ন রকম ডিজাইন করা যায়। শুধু প্রয়ােজন ডিজাইন করার মত মন ।

(11). Rotate Tool (R): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর সহায়তায় একটি স্থির অবস্থা থেকে অবজেক্টকে সুবিধামত ঘােরানাে যায় । এর মাধ্যমে Alt চেপে কোন কিছু Copy (কপি) করলে পরবর্তীতে Ctrl+D চেপে মনের ইচ্ছেমত ঘুরিয়ে Paste (পেষ্ট) করা যায়। এভাবে অনেক ডিজাইন করা সম্ভব। এই গ্রুপের অন্য টুলটি হলাে Twi r1 TO০1 . এর মাধ্যমে যে কোন অবজেক্টকে ঘােরানাে যায়। অর্থাৎ মনের ইচ্ছেমত কোন অবজেক্টের মধ্যবিন্দু ঠিক রেখে ঘােরানাে পাকানাের জন্য এই টুল ব্যবহার করা হয়। 

(12). Scale Tool (S): ইহা একটি গ্রুপ টুল । একটি স্থির অবস্থান থেকে অবজেক্টের সাইজ পরিবর্তন করতে এই টুলের সাহায্য নিতে হয়। উদাহরনস্বরূপ বলা যায়, একটি বৃত্তকে এই টুল এবং Alt Key ব্যবহারে Copy (কপি) করে সৌরজগতের গতিপথ তৈরী করা সম্ভব । পদ্ধতিটি শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন । এর অন্য একটি টুল হলাে Reshape Too1. এর মাধ্যমে বিভিন্ন Object (অবজেক্ট) কে Editing (সংশােধন) করা যায় । Pen Tool (P), Paintbrush Tool (B), Pencil Tool (N) এর মাধ্যমে তৈরীকৃত অঙ্কিত অবজেক্টগুলাের মধ্যে কোন সমস্যা থাকলে তা সংশােধন করার জন্য এই টুল ব্যবহার করা হয়।

(13). Reflect Tool (O): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এই টুলের সাহায্যে প্রতিচ্ছবি (Duplicate Copy) তৈরী করা যায়। অর্থাৎ একটি নিদ্রিষ্ট অক্ষের ভিত্তিতে অবজেক্টকে প্রতিবিম্বিত করা যায় । উদাহরন স্বরূপ বলা যায় প্রজাপতির একটি পাখা তৈরী করার পর অন্য পাখাটি এর মাধ্যমে তৈরী করা সম্ভব। এর অন্য একটি টুল হলাে Shear Too1. এর মাধ্যমে যে কোন অবজেক্ট এর ছায়া ফেলা যায় । উদাহরন স্বরূপ বলা যায় একটি চতুর্ভুজ অঙ্কন করে এই টুল এবং Alt Key ব্যবহারে Copy (কপি) করে চতুর্ভুজটির Color (রং) পরিবর্তন করলেই ছায়াটি দৃশ্যমান হয় ।

(14). Free Transform Tool (E) : ইহা একটি একক টুল । এর সাহায্যে একটি অবজেক্টকে ঘোরানো, সাইজ পরিবর্তন করা, স্থানান্তর করা ইত্যাদি কাজ করা যায় ।

(15). Blend Tool (W) : ইহা একটি গ্রুপ টুল । একাধিক অবজেক্টের মধ্যে কালার শেপ এর সংমিশ্রণ ঘটানোর জন্য এই টুলের সাহায্য নিতে হয় । উদাহরন হিসাবে একটি ত্রিভুজ ও একটি চতুর্ভুজ তৈরী করে দুইটিতে আলাদা আলাদা Color (রং) দিয়ে এই টুল সিলেক্ট করার পর একটি একটি করে দুইটি Color (রং) এর উপর Click করলেই ফলাফল বোঝা যাবে । এর অন্য একটি টুল হলো Auto Trace Tool এর মাধ্যমে অবজেক্টের আউটলাইন সনাক্ত করা যায় । কর্মক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কম । 

(16). Column Graph Tool (J): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকম গ্রাফ সংযোজন করা যায় । এই কাজটি করার জন্য এই টুলটি সিলেক্ট করে Mouse (মাউস) দিয়ে ড্রাগ করে একটি বক্স তৈরী করে ছেড়ে দিতে হবে । এই অবস্থায় একটি বক্স আসবে তখন যে ছকের উপর ভিত্তি করে গ্রাফ তৈরী হবে তা লিখে ঐ বক্সের উপরে ডান দিকে ঠিক চিহ্নে (√) Click করতে হবে । সাথে সাথে মনের ইচ্ছেমত একটি গ্রাফ তৈরী হবে । এই টুলের অধিনস্থ আরও কয়েকটি গ্রুপ টুল আছে । এগুলোর মাধ্যমেও একই পদ্ধতিতে গ্রাফ তৈরী করা যায় । পদ্ধতিগুলো শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন ।

(17). Gradient Mesh Tool (U) : ইহা একটি একক টুল । এই টুলের সাহায্যে বহু কালার বিশিষ্ট অবজেক্ট বানানো যায় এবং কালার সংমিশ্রত শেড নির্ধারন করা যায় । উদাহরন স্বরূপ বলা যায় একটি বৃত্ত বা চতুর্ভুজ বা এ জাতীয় কোন অবজেক্ট তৈরী করার পর তা সিলেক্ট করে এই টুল সিলেক্ট করার পর তৈরীকৃত অবজেক্টের উপর ড্রাগ করে Another Color (অন্য রং) সিলেক্ট করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে । একই অবজেক্টের উপর একাধিকবার একই পদ্ধতিতে কাজটি করে একাধিক কালারের সংমিশ্রন করা যায় । 

(18) Gradient Tool (G) : ইহা একটি একক টুল । এই টুলের সাহায্যে কোন অবজেক্টের উপর গ্রেডায়েন্ট নির্ধারন করা যায় । উদাহরন স্বরূপ বলা যায় একটি বৃত্ত, চতুর্ভুজ বা এ জাতীয় কোন অবজেক্ট সিলেক্ট করার পর Gradient Palette থেকে যে কোন একটি Gradient Select করলেই Select কৃত অবজেক্টে Gradient এর ফলাফল পাওয়া যাবে । Gradient এর বিভিন্ন ডিজাইন Swatches Palette থেকে নেওয়া যায় । পরবর্তীতে Gradient Tool Select করে ঐ অবজেক্টের মধ্যে ড্রাগ করলে তৈরীকৃত Gradient এর Style পরিবর্তন হয় ।

(19). Eyedropper Tool (I): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এই টুলের সাহায্যে কোন অবজেক্টের নিদ্রিষ্ট কালার কিংবা এ্যাট্রিবিউট ধারণ প্রদর্শন করা যায় । এর অন্য একটি গ্রুপ টুল Paint Bucket Tool (K). এই টুলের সাহায্যে কোন অবজেক্টের উপর নিদ্রিষ্ট Color (রং) প্রয়োগ করা যায় ।

(20). Scissors Tool (C) : ইহা একটি গ্রুপ টুল । এই টুলের সাহায্যে তৈরীকৃত অবজেক্টের নিদ্রিষ্ট অংশ কেটে ফেলা যায় । এজন্য একটি বৃত্ত, চতুর্ভুজ বা এজাতীয় কোন অবজেক্ট তৈরী করে Select করার পর এই টুলটি Select করে তৈরীকৃত অবজেক্টের বর্ডারের একপ্রান্তে একটি ক্লিক করে অন্যপ্রান্তে আরেকটি ক্লিক করার পর ফলাফল পাওয়া যাবে। নিয়ম শিক্ষকের নিকট জেনে নিন । এর অন্য একটি টুল হলো Knife Tool এর মাধ্যমে কোন অবজেক্টের নিদ্রিষ্ট কিছু স্থান মনের ইচ্ছেমত কাটা যায় । এজন্য অবজেক্টকে Select করার পর এই টুলটি Select করে মনের ইচ্ছেমত ড্রাগ করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে ।

(21). Hand Tool (H): ইহা একটি গ্রুপ টুল । এই টুলের সাহায্যে Adobe Illustrator Artboard কে উইন্ডােকে নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর করা যায়। যে কোন টুল Active থাকাবস্থায় Spacebar চাপলে Hand Tool Active হয়। এর অন্য একটি টুল Page T০০1. এর মাধ্যমে Page Set Up কে পরিবর্তন করা যায়। বড় Size এর কোন কাজ সঠিক Size এ Print করার জন্য এই টুলের সাহায্য নিতে হয়। এর অন্য আরেকটি টুল Measure T০০1 . এর মাধ্যমে বিভিন্ন অবজেক্টের পরিমান পাওয়া যায়। যা Info Palatte এর মধ্যে দেখা যায়। কর্মক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুব কম। 

(22). Zoom Tool (Z): ইহা একটি একক টুল । এর মাধ্যমে Page এর আকৃতি বড় করা যায় এবং Alt Key ব্যবহারে আকৃতি ছােট করা যায় । 

(23). Fill Button/Box: সিলেক্টেড অবজেক্টের ফিল কালার নির্ধারণ করতে এই বাটন ব্যবহৃত হয়। 

(24). Stroke Button/Box: সিলেক্টেড অবজেক্টের স্ট্রোক নির্ধারণ করতে এই বাটন ব্যবহৃত হয়। 

(25). Default Fill & Stroke Button: এই বাটন সিলেক্ট করে Selected Object এর Fill Color এবং Stroke Color পরিবর্তন করে Default Color এ প্রত্যাবর্তন করা যায় । 

(26). Swap Fill and Stroke Button: Selected Object এর Fill এবং Stroke এর মধ্যে কালার সঞ্চালনের জন্য এই টুলের সাহায্য নিতে হয়। 

(27). Color Button: Selected Object এর Fill এবং Stroke কালারের পরিবর্তে কালার প্যালেটে বিদ্যামান শেষােক্ত সিলেক্টেড কালারকে সিলেক্ট করার জন্য এই বাটনে ক্লিক করতে হয় । 

(28). Gradient Button: Selected Object এর চলমান পরিবর্তিত Fill এবং Stroke কালার পরিবর্তন করে শেষােক্ত গ্রেডিয়েন্ট সিলেকশনকে কার্যকর করানাের জন্য এই বাটনে ক্লিক করতে হয়। 

(29). None Button: Selected Object এর Fill এবং Stroke কালার মুক্ত করানাের জন্য এই বাটনে ক্লিক করতে হয়। 

(30). Standard Screen Mode Button : Art Work Area কে Standard Mode এ প্রদর্শন করানাে যায় এই বাটনে Click (ক্লিক) করে । Standard Mode এ প্রদর্শিত উইন্ডােতে Menubar (মেনুবার), Scrollbar (স্কোলবার), Titlebar (টাইটেলবার) ইত্যাদি প্রদর্শিত হয়। 

(31). Full Screen Mode with Menu Bar Button: শুধুমাত্র Menubar (মেনুবার) সহ Full Screen Mode এ Art Work কে প্রদর্শন করানাের জন্য এই বাটনে Click (ক্লিক) করতে হয় । এই Mode এ Scrollbar (স্ক্রোলবার), Titlebar (টাইটেলবার) প্রদর্শিত হয় না।

What is Palette? | প্যালেট কি

N.B.: পূর্বে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে টুলবক্স এর অধিনস্থ বিভিন্ন টুল এর মাধ্যমে কাজ করা যায় । টুলবক্সের অধিনস্থ বিভিন্ন টুলগুলোর কার্যকারীতা কি ? এই টুলবক্সও এক ধরনের Palette. যদিও তা টুলবক্স নামে পরিচিত । টুলবক্সের মাধ্যমে অবজেক্ট তৈরী করার পর অবজেক্টকে বিভিন্ন ভাবে রূপায়ন, চিত্রায়ন, অর্থাৎ মনের ইচ্ছেমত উপস্থাপনার জন্য Palette (প্যালেট) এর গুরুত্ব অপরিসীম । Adobe Illustrator (অ্যাডৌবি ইলাস্ট্রেটর) প্যাকেজে নিম্নোক্ত Palette (প্যালেট) গুলো রয়েছে:

(1). Appearance Palette

(2). Navigator Palette

(3). Info Palette

(4). Color Palette

(5). Attributes Palette (6). Transparency Palette

(7). Stroke Palette

(8). Gradient Palette

(9). Style Palette

(10). Brushes Palette

(11). Swatches Palette

(12). Layers Palette

(13). Actions Palette

(14). Links Palette

(15). SVG Interactivity

(16). Transform Palette

(17). Align Palette

(18). Pathfinder Palette

(19). Character Palette

(20). Paragraph Palette

(21). MM Design Palette (22). Tab Palette

আশাকরি আপনি উপরে উল্লেখিত Palette (প্যালেট) গুলোর সাথে ভালভাবে পরিচিত হতে পেরেছেন । উপরোক্ত Palette (প্যালেট) সমুহের মধ্যে অধিকাংশ Palette (প্যালেট) Window মেনুতে বিদ্যমান রয়েছে । 

কিছু Palette (প্যালেট) অন্যান্য মেনুতেও আছে । যে Palette (প্যালেট) যে মেনুতে বিদ্যমান সেই মেনু থেকে ঐ Palette (প্যালেট) Show/Hide (খোলা/বন্ধ) করা যায় । উক্ত Palette (প্যালেট) গুলোর বিস্তারিত কাজ পরবর্তীতে শিক্ষকের নিকট থেকে জানতে পারবেন। 

Palette (প্যালেট) সমূহ Show/Hide (খোলা/বন্ধ), Move (স্থানান্তর), Maximize/Minimize (ছোট / বড়), Add/ Shaparate (একত্রিত/আলাদা) করা না পারলে শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন ।

Summary On Pull Down Menu

Adobe Illustrator (এডৌবি ইলাস্ট্রেটর) Package Program (প্যাকেজ প্রোগ্রাম) এর মধ্যে নয়টি Menu বিদ্যমান । প্রতিটি মেনুর অধীনে অপশনসমূহের উপস্থিতি সম্বলিত মেনুর নাম Pull Down Menu. এই Pull Down Menu ই সমগ্র প্রোগ্রামের পরিচ্ছন্ন ছবি । অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামে কি কি কাজ করা যায় এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য কমান্ড কি তা এক নজরে এই Pull Down Menu তে পাওয়া যায় । নিােক্ত আলোচনাতে অবগত হতে পারবো Adobe Illustrator (এডৌবি ইলাস্ট্রেটর) মেনুসমূহের পরিচিতি এবং কোন কাজের জন্য কি কমান্ড । একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কাছে যে কোন Package Program (প্যাকেজ প্রোগ্রাম) এর Pull Down Menu থেকে কমান্ড জেনে নিয়ে সংশ্লিষ্ট Package Program (প্যাকেজ প্রোগ্রাম) এ কাজ করা মোটেও অসম্ভব হতে পারে না । তবে প্রতিটি Menu (মেনু এর অধিনস্থ Sub Menu সমূহের পরিচিতি বা কার্যকারিতা সম্পর্কে সম্যক ধারনা অর্জন করা অত্যাবশ্যক । এতদুদ্দেশ্যে এই অধ্যায়ের অবতারনা । Adobe Illustrator (এডৌবি ইলাস্ট্রেটর) এর Editting Window তে অবস্থানকালে যে কোন সময়ে যে কোন Menu (মেনু) Open করা যায় । Keyboard & Mouse উভয় পদ্ধতিতে Menu (মেনু) সমূহ Open করার পদ্ধতি শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন

File Menu

1. To Create a New Document (নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরী করা) :

  • File Click
  • New Click করলে New Document Dialog Box আসবে তখন Name Box এ Document এর নাম লিখে এর Color Mode & Artboard Size Select করে ।

  • Ok Click করলে পছন্দমত নতুন একটি ডকুমেন্ট তৈরী হবে ।

[ Or : Keyboard Key {Ctrl + N} Press করলে New Document Dialog Box আসবে । পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলো একই পদ্ধতিতে করতে হবে ।

2. To Open a File (একটি ফাইল খোলা) :

  • File Click
  • Open Click করলে Open Dialog Box আসবে। এখানে Files of Type এর স্থলে Illustrator সিলেক্ট করতে হবে । ফলে ইলাস্ট্রেটর ফোল্ডারে সংরক্ষিত ফাইল সমূহ দেখা যাবে। তখন যে File টি Open করতে চাই সেই File টি Select করে বা File Name Box এ File এর নামটি লিখে
  • Open Click করলেই Select কৃত File টি Open (খোলা) হয়ে প্রদর্শিত হবে ।

[ Or : Keyboard Key {Ctrl + O Press করলে Open Dialog Box আসবে। পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলো একই পদ্ধতিতে করতে হবে । ]

3. To Open The Recent Files (তৈরীকৃত ফাইল দ্রুত খোলা) :

  • File Click
  • Open Recent Files Select করলে এর ডান দিকে কিছু সংখ্যক তৈরীকৃত File Location দেখা যাবে। এই অবস্থায় যে File (ফাইল) টি দ্রুত খোলতে চাই সেই
  • File Name Click করলেই তৈরীকৃত ফাইলটি দ্রুত Open (খোলা) হয়ে প্রদর্শিত হবে ।

4. To Revert The File (ফাইলের সর্বশেষ সংরক্ষিত অবস্থায় যাওয়া) :

  • পূর্বে সংরক্ষিত একটি File (ফাইল) Open করে বা নতুন একটি File (ফাইল) Create করে এর মধ্যে নতুন করে কোন পরিবর্তন বা কোন কিছু যুক্ত করার পর পুনরায় সংরক্ষন না করে ।
  • File Click 
  • Revert Click করলে Adobe illustrator Dialog Box আসবে তখন 
  • Ok Click করলেই ফাইলের সর্বশেষ সংরক্ষিত অবস্থায় চলে যাবে। 

[Or Keyboard Key {F12} Press করলে Adobe Illustrator Dialog Box আসবে । পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলাে একই পদ্ধতিতে করতে হবে।]

5. To Close The File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট বন্ধ করা);

  • কোন File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট) Open (খােলা) থাকাবস্থায়
  • File Click : 
  • Close এ Click করলে Open কৃত File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট) বন্ধ হয়ে যাবে। তবে যদি ফাইলের মধ্যে তৈরীকৃত কোন অংশ অসংরক্ষিত থাকে তবে Adobe Illustrator Dialog Box আসবে। তখন No Click করলে File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট) টি অসংরক্ষিত অবস্থাতেই বন্ধ হবে। অপরদিকে Yes Click করলে File/Document (ফাইল ডকুমেন্ট) টির অসংরক্ষিন অংশ সংরক্ষিত হয়ে বন্ধ হবে। 

[ Or Keyboard Key {Ctrl+W} Press করলে Open কৃত File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট) বন্ধ হয়ে যাবে । পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলাে একই পদ্ধতিতে করতে হবে।]

6. To Save The Document (ডকুমেন্ট সংরক্ষন করা) :

  • File Click 
  • Save Click করলে সাথে সাথে 
  • Save Dialog Box টি চলে আসবে। তখন উপরের দিকে 
  • Save in Box এ Folder Select করে নিচের দিকে File Name Box এ যে নামে সংরক্ষন করতে চাই সেই নামটি লিখে
  • Save Click
  • Save Click 
  • Ok Click করলেই তৈরীকৃত ডকুমেন্টটি সংরক্ষিত হবে। 

Or Keyboard Key {Ctrl+S} Press করলে সাথে সাথে Save Dialog Box টি চলে আসবে। পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলাে একই পদ্ধতিতে করতে হবে।]

7. save As (সংরক্ষিত ফাইল অন্য কোন নামে সংরক্ষন করা) : 

  • সংরক্ষিত যে ফাইলটি অন্য কোন নামে সংরক্ষন করতে চাই সেই ফাইলটি Open করে
  • File Click 
  • Save As Click করলে Save Dialog Box আসবে তখন যদি ঐ নামেই ফাইলটি পূনরায় সংরক্ষন করতে চাই তবে সরাসরি
  • Save Click
  • Yes Click 
  • Ok Click করতে হবে। অপরদিকে অন্য কোন নামে ঐ ফাইলটি সংরক্ষন করতে চাইলে File Name Box এ অন্য একটি নাম লিখে
  • Save Click
  • Save Click 
  • Ok Click করতে হবে । 

[Or Keyboard Key {Ctrl+Shift+S} Press করলে সাথে সাথে Save Dialog Box টি চলে আসবে। পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলাে একই পদ্ধতিতে করতে হবে।] 

৪. Save a Copy (ফাইলকে কপি করে সংরক্ষন করা) : 

  • সংরক্ষিত যে ফাইলটি কপি করে সংরক্ষন করতে চাই সেই ফাইলটি Open করে
  • File Click 
  • Save a Copy Click করলে Save a Copy Dialog Box আসবে তখন
  • Save Click 
  • Ok Click করলেই ঐ ফোল্ডারে ঐ নামেরই অন্য একটি কপি তৈরী হয়ে সংরক্ষিত হবে । তৈরীকৃত কপিটি অন্য কোন ফোল্ডারে করতে চাইলে ফোল্ডার সিলেক্ট করতে হবে। 

[ Or : Keyboard Key {Ctrl+Alt+S} Press করলে সাথে সাথে Save a Copy Dialog Box টি চলে আসবে। পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলাে একই পদ্ধতিতে করতে হবে।]

9. save for web (ফাইলকে ওয়েব সাইডে সংরক্ষন করা) :

  • কোন ফাইলকে ওয়েব সাইডে সংরক্ষন করার জন্য এই Sub Menu (সাব মেনু) টির সাহায্য নিতে হয়। শিক্ষকের নিকট থেকে বিস্তারিত জেনে নিন । এর জন্য Keyboard Key{Ctrl+Shift+Alt+S}

10. Place (লেখা বা ছবি বা গ্রাফিক্স আমদানী করা) :

  • File Click 
  • Place Click করলে সাথে সাথে Place Dialog Box চলে আসবে তখন যে Folder থেকে Text (লেখা) অথবা Picture (ছবি) আমদানী করতে চাই Look in Box এ সেই Folder টি Select করে ঐ Folder টির অন্তর্গত যে File টি আমদানী করতে চাই তা Block/Select করে। 
  • Place Click করলেই Select কৃত File টি আমদানী হবে।

11. Export (লেখা বা ছবি বা গ্রাফিক্স রপ্তানী করা) :

  • অন্য প্রােগ্রামে পাঠানাের উপযােগী করে একটি File তৈরী করে
  • File Click 
  • Export Click করলে সাথে সাথে Export Dialog Box চলে আসবে তখন Save in Box এ Folder Select করে Save as type Box এর মধ্যে Program (Photoshop) Name Select করার পর File Name Box এ File এর নাম লিখে 
  • Save Click করলে Photoshop Options Dialog Box আসবে তখন। 
  • Ok Click করলেই তৈরীকৃত ফাইল Adobe Photoshop Program এ রপ্তানী হবে। পরে আমদানীকারক প্রােগ্রাম। Adobe Photoshop Program Open করে নিদ্রিষ্ট Folder থেকে Photoshop Mode এ File টি Open করা যাবে। তৈরীকৃত ফাইল অন্যান্য প্রােগ্রামেও পাঠানাে যায়। তবে আমদানীকারক ঐ কম্পিউটারে থাকতে হবে।

12. Document Info (ফাইল/ডকুমেন্টের তথ্য অবলােকন) :

  • কোন File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট) Open থাকাবস্থায়
  • File Click 
  • Document Info Click করলে Document Info নামে একটি Palette প্রদর্শিত হবে। তখন তৈরীকৃত ঐ। File/Document (ফাইল/ডকুমেন্ট) এর মধ্যে অবজেক্ট সংখ্যা, Font, Document Name, Brush Scripts, Spot Color Object, Pattern Object, Gradient Object, Linked Images, Embedded Images Toth 4a feres তথ্য অবলােকন করা যায়।

13. Document Setup (ডকুমেন্ট / ফাইলকে ইচ্ছেমত সেটিং করা) :

  • File Click
  • Document Setup Click করলে সাথে সাথে Document Setup Dialog Box আসবে তখন
  • Size অপশন ক্লিক করে Drop down থেকে আর্ট বোর্ডের সাইজ বেছে নিতে হবে
  • Units অপশন ক্লিক করে আর্টবোর্ডের পরিমাপের একক কি হবে উহা নির্ধারন করতে হবে সাধারণত দেশীয় পরিমাপের জন্য ইঞ্চি (Inches) নিতে হবে
  • Width অপশন নির্ধারন করে আর্ট বোর্ডের চওড়া কত হবে তা নির্ধারন করতে হবে
  • Height আর্ট বোর্ডের উচ্চতা নির্ধারন করতে এই অপশনে কাজ করতে হবে
  • Use Print Setup অপশনটি নির্বাচন করে পিন্টের কাজ করা যায়।
  • Orientation অপশনে Portrait & Landscape দ্বারা Art Board টি লম্বালম্বি ভাবে না আড়াআড়ি ভাবে প্রদর্শিত ও
  • গ্রিট হবে তা নির্ধারন করা যায় । পরে এই Dialog Box এর অধিনস্থ
  • Print Setup Click করে প্রিন্টের সবকিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারি । (শিক্ষকের নিকট জানুন) পরে
  • Ok Click করলে পছন্দমত Document Setup হয়ে যাবে ।

[ Or : Keyboard Key { Ctrl + Alt + P Press করলে সাথে সাথে Document Setup Dialog Box টি চলে আসবে । পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলো একই পদ্ধতিতে করতে হবে। ]

14. Document Color Mode (কালার আউটপুট সেটিং করা) :

  • File Click
  • Document Color Mode Select করে এর অধিনস্থ যে কোন একটি
  • Color Mode Click করলে স্বক্রিয় ডকুমেন্টটি ঐ Color Mode এ প্রদর্শিত হবে এবং প্রিন্ট হবে ।

15. Separation Setup (কালার আলাদা করা) : নিষ্প্রয়োজন। শিক্ষকের নিকট থেকে জানুন ।

16. Print setup (ডকুমেন্ট। ফাইল কৈ প্রিন্ট উপযােগী করা) :

  • ডকুমেন্ট বা ফাইল প্রিন্ট করার আগে প্রিন্ট সেটআপ করা প্রয়ােজন হয় । প্রিন্ট সেটআপ করার নিয়ম 
  • যে ডকুমেন্ট বা ফাইল প্রিন্ট সেটআপ করতে হবে তা স্বক্রিয় থাকাবস্থায়
  • File Click 
  • Print Setup Click করলে Print Setup Dialog Box আসবে তখন 
  • Printer Name ঃ এখানে Drop Down key তে ক্লিক করে যে প্রিন্টারের সাহায্যে প্রিন্ট করতে হবে তা সিলেক্ট করতে হয়। তারপর 
  • Paper Size 8 যে সাইজের কাগজ প্রিন্টের জন্য ব্যবহার করা হবে তা সাইজ অপশনের Drop Down key তে ক্লিক করে তা বেছে নিতে হবে । 
  • Paper Source ঃ প্রিন্টের সময় যে সাের্স থেকে কাগজ যােগান দেওয়া হবে উহা সিলেক্ট করতে হবে 3 
  • Orientation অপশনে Portrait & Landscape দ্বারা Art Board টি লম্বালম্বি ভাবে না আড়াআড়ি ভাবে প্রদর্শিত ও প্রিন্ট হবে তা নির্ধারন করা যায়। 
  • Properties Setting শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন । পরবর্তীতে Ok Click করলে মনের ইচ্ছেমত Print Setup হবে । 

[ Ora Keyboard Key {Ctrl+Shift+P} Press করলে সাথে সাথে Print Setup Dialog Box টি চলে আসবে। পরবর্তীতে উক্ত কাজগুলাে একই পদ্ধতিতে করতে হবে।]

17. Print তৈরীকৃত ফাইল/ডকুমেন্ট এর আউটপুট দেওয়া);

তৈরীকৃত ফাইল বা ডকুমেন্ট কে প্রিন্ট করে আউটপুট দেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন । মনে রাখবেন এর Keyboard Key{Ctrl+P}.

18. Exif (প্রস্থান করা);

  • File Click 
  • Exit Click করলে Adobe Illustrator থেকে বের হয়ে Operating system Windows এর ক্রীনে চলে আসবে। কোন সমস্যা হলে শিক্ষকের সাহায্য নিন।

Edit Menu : এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল বাংলা | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি | Adobe illustrator Tutorial Bangla

1. Undo (পূর্বাবস্থায় ফিরে যাওয়া):

  • Edit Click
  • Undo Click করলে সাথে সাথে ফাইল/ডকুমেন্ট পূর্বাবস্থায় চলে যাবে ।

[ Or : Keyboard Key { Ctrl+Z} Press করলে সাথে সাথে ফাইল/ডকুমেন্ট পূর্বাবস্থায় চলে যাবে। ]

2. Redo (পূর্বাবস্থায় ফিরে আবার সঠিক অবস্থানে যাওয়া) :

  • Edit Click
  • Redo Click করলে এইমাত্র পূর্বাবস্থায় নিয়ে আসা ফাইল/ডকুমেন্ট পূনরায় সঠিক অবস্থানে চলে যাবে ।

[ Or : Keyboard Key (Ctrl + Shift + Z Press করলে এইমাত্র পূর্বাবস্থায় নিয়ে আসা ফাইল/ডকুমেন্ট পুনরায় সঠিক অবস্থানে চলে যাবে । ]

3. Cut & Paste (স্থানান্তর করা) :

  • যাহা (লেখা/অবজেক্ট) স্থানান্তর করব তাহা Block / Select করে
  • Edit Click
  • Cut Click করলে Select কৃত অংশ অদৃশ্য হয়ে যাবে । তখন যেখানে স্থানান্তর করব সেখানে Cursor নিয়ে
  • Edit Click
  • Paste Click করলেই কার্সর রাখা স্থানে Select কৃত অদৃশ্য অংশ স্থাপিত হবে ।

[NB ঃ এই একই কাজ আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করতে পারি। পদ্ধতিগুলো শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন । ইহা খুবই গুরুত্বপূর্ন । ]

4. Copy & Paste (একই লেখা/অবজেক্ট কে একাধিক অনুরূপ কপি করা) :

  • যাহা (লেখা/অবজেক্ট) একাধিক অনুরূপ কপি করব তাহা Block/Select করে। 
  • Edit Click 
  • Copy Click করলে Select কৃত অংশ অদৃশ্য হবে না। তখন যেখানে অনুরূপ কপি করতে চাই সেখানে Cursor নিয়ে।
  • Edit Click 
  • Paste Click করলেই কার্সর রাখা স্থানে Select কৃত দৃশ্যমান অংশের অনুরূপ আরেকটি কপি তৈরী হবে। এভাবে কার্সর। রাখার মাধ্যমে অনেকগুলাে কপি করা সম্ভব । 

I NB : এই একই কাজ আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে করতে পারি। পদ্ধতিগুলাে শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন । ইহা খুবই গুরুত্বপূর্ন।]

5. Paste (পেষ্ট করা);

  • নির্দিষ্ট অংশ Cut (স্থানান্তর) অথবা Copy (অনুরূপ কপি) করে অন্যত্র সংযােগ সাধনে এই অপশন নির্বাচনের প্রয়ােজন হয় । আশাকরি এই অপশন সম্পর্কে আর কিছু লেখার প্রয়ােজন নেই। এ সম্পর্কে পূর্বে আলােচনা করা হয়েছে। মনে না থাকলে শিক্ষকের সাহায্য নিন।

6. Paste In Front (অবজেক্টের উপরে পেষ্ট করা) :

  • পূর্বেই আমরা জেনেছি নিদ্রিষ্ট অংশ Cut (স্থানান্তর) অথবা Copy (অনুরূপ কপি) করে অন্যত্র সংযােগ সাধনে Paste Option নির্বাচনের প্রয়ােজন হয়। এক্ষেত্রে একাধিক অবজেক্টের মধ্যে একটি অবজেক্টকে অন্যান্য অবজেক্টের সন্মুখে (উপরে) সংযােজন করার জন্য এই Paste In Front Option এর সাহায্য নিতে হয় । {প্রয়ােজনে শিক্ষকের সাহায্য নিন।

7. Paste In Back (অবজেক্টের নিচে পেষ্ট করা) :

পূর্বেই আমরা জেনেছি নিদ্রিষ্ট অংশ Cut (স্থানান্তর) অথবা Copy (অনুরূপ কপি) করে অন্যত্র সংযােগ সাধনে Paste Option নির্বাচনের প্রয়ােজন হয়। এক্ষেত্রে একাধিক অবজেক্টের মধ্যে একটি অবজেক্টকে অন্যান্য অবজেক্টের পিছনে (নিচে) সংযােজন করার জন্য এই Paste In Back Option এর সাহায্য নিতে হয় ।

{প্রয়ােজনে শিক্ষকের সাহায্য নিন}

৪. clear (মােছা বা বাদ দেওয়া) :

  • যেটুকু লেখা বা যে অবজেক্টটি/অবজেক্টসমূহ মুছে দিতে চাই তাহা Block/ Select করে।
  • Edit Click 
  • Clear Click করলেই Block/ Select কৃত অংশ মােছে যাবে। 

OR Keyboard Key{Delete} Press এর মাধ্যমেও Block/ Select কৃত অংশ মােছা যায়।]

9. Select All (সবকিছু একসঙ্গে সিলেক্ট করা)

  • Edit Click 
  • Select All Click করলে স্বক্রিয় ফাইলডকুমেন্ট এর মধ্যে তৈরীকৃত সবকিছুই একসাথে সিলেক্ট হয়ে যাবে। 

[OR Keyboard Key {Ctrl+A} Press করামাত্রই স্বক্রিয় ফাইল/ডকুমেন্ট এর মধ্যে তৈরীকৃত সবকিছুই একসাথে সিলেক্ট হয়ে যাবে।]

10. Deselect All (সবকিছু একমন্সে সিলেমুক্ত করা) :

  • কোন স্বক্রিয় ফাইল/ডকুমেন্ট এর মধ্যে সবকিছু সিলেক্ট থাকাবস্থায়
  • Edit Click 
  • Deselect All Click করলে স্বক্রিয় ফাইল/ডকুমেন্ট এর মধ্যে সিলেক্টকৃত সবকিছুই একসাথে সিলেক্টমুক্ত হয়ে যাবে । 

[ OR Keyboard Key {Ctrl+Shift+A} Press করামাত্রই স্বক্রিয় ফাইল/ডকুমেন্ট এর মধ্যে সিলেক্টকৃত সবকিছুই একসাথে সিলেক্টমুক্ত হয়ে যাবে ।]

11. Select (একই শ্রেনীভুক্ত অবজেক্ট সিলেক্ট করা);

Object (অবজেক্ট) এর শ্রেনী অনুসারে একসাথে একই শ্রেনীভুক্ত সবগুলাে অবজেক্টকে সিলেক্ট করার জন্য এই Select option এর অধিনস্থ বিদ্যমান Sub-Option সমূহের সাহায্য নিতে হয়। এর ব্যবহারগুলাে শিক্ষকের নিকট থেকে জেনে নিন।

12. To Define a Pattern (একটি প্যাটার্ন নির্ধারন করা) :

একটি আর্টওয়ার্ককে প্যাটার্ন হিসাবে ব্যবহার করার জন্য উক্ত আর্টওয়ার্ককে প্যাটার্ন হিসাবে ডিফাইন করা প্রয়ােজন। তজ্জন্য নির্দেশনা নিরূপঃ

  • যে আর্টওয়ার্ককে প্যাটার্ন হিসাবে ডিফাইন করতে হবে তা তৈরী করে সিলেক্ট করতে হবে । তারপর ✓ Edit Click 
  • Define Pattern Click করলে একটি Dialog Box আসবে তখন 
  • Swatch Name : এর স্থলে প্যাটার্ন এর নাম দিতে হবে। 
  • Ok বাটন ক্লিক করতে হবে । ফলে উক্ত প্যাটার্নটি Swatch প্যালেটে অবস্থান নিবে এবং আমরা তা ব্যবহার করতে পারবাে। 

[ OR ঃ উপরােক্ত পদ্ধতিতে অনেক সময়ই এই কাজটি করা যায় না। এই কাজটি খুব সহজে করার জন্য আর্টওয়ার্কটিকে সিলেক্ট করার পর Swatches Palette এর অধিনস্থ New Swatch Click করলেই তৈরীকৃত অবজেক্টটি Swatches Palette এর মধ্যে অবস্থান নিবে । পরবর্তীতে এর বিভিন্ন প্রকার ব্যবহার করা, ব্যবহার পরবর্তী ইচ্ছেমত মােছা ইত্যাদি শিক্ষকের নিকট থেকে ভালকরে জেনে নিন ।]

13. Edit Original : (প্রয়ােজন নাই)

14. Assign Profile : (প্রয়ােজন নাই) 

15. Color Settings (রং সেটিং করা) : 

বিভিন্ন প্রকার Color Setting করার জন্য এই অপশনের সাহায্য নিতে হয়। শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করবেন না।

16. Keyboard Shortcuts (কী বােডের সর্টকাট কী দেখা);

বিভিন্ন প্রকার Keyboard Shortcuts Key দেখার জন্য এই অপশনের সাহায্য নিতে হয়। শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করবেন না।

17. Perferences (কম্পিউটারের অনেক কিছু সেটিং করা) :

বিভিন্ন প্রকার Default Setting করার জন্য এই অপশনের সাহায্য নিতে হয়। শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করবেন ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ Adobe illustrator Tutorial Bangla | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম Adobe illustrator Tutorial Bangla | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি। আশা করি আমাদের আজকের এই Adobe illustrator Tutorial Bangla | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি আরটিকেল টি আপনাদের ভালো লাগবে। যদি আজকের এই Adobe illustrator Tutorial Bangla | এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি ভালো লাগে তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন আরটিকেল পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়বেসাইট টি ভিজিট করুন। এডোবি ইলাস্ট্রেটর ডাউনলোড, এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল বাংলা, এডোবি ইলাস্ট্রেটরের প্রধান কাজ কোনটি, এডোবি ইলাস্ট্রেটর pdf, এডোবি ইলাস্ট্রেটর বই pdf, এডোবি ইলাস্ট্রেটর কি, এডোবি ইলাস্ট্রেটর বই, এডোবি ইলাস্ট্রেটর টিউটোরিয়াল, এডোবি ইলাস্ট্রেটর টুল পরিচিতি, এডোবি ইলাস্ট্রেটর এর প্রধান কাজ কোনটি, এডোবি ইলাস্ট্রেটর সিসি ডাউনলোড

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ