ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় - ১৩টি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

আমাদের আজকের বিষয় ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ এবং ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়। যদি আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে সবার আগে একটি প্রশ্ন আপনার মনে জাগতে পারে সেটি হলো  ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ও Freelancing এ কি কি কাজ করা যায় ২০২৪.
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় | ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় | ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

অনলাইনে যেসব সাইটে কাজ করা যায়।

অনলাইনে ইনকামের জন্য যেসব কাজ করা যায়, সেগুলাে লিস্ট করলে অনেক ক্যাটাগরি পাওয়া যায়। প্রায় কয়েকশ ক্যাটাগরি রয়েছে জনপ্রিয় Freelancing মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক, Freelancer, ফাইভার, People per hour ইত্যাদিতে।

কিন্তু তারপরও যারা নতুন তাদের একটু প্রশ্ন থেকেই যায়। “কোন কাজটি করলে সফল হওয়া যাবে, কোন কাজে বেশি Income হবে, কোন কাজ সহজ ইত্যাদি ইত্যাদি।”

ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায়

আসলে আগের পোষ্ট দেখানাে সব যে আপনাকে শিখতে হবে। তা কিন্তু নয়। সেখান থেকে যে-কোনাে একটি স্কিল বা অভিজ্ঞতা অর্জন করে আপনি অনলাইনে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। 

আমি একজন ফ্রিল্যান্সিং আলােচক হিসেবে বর্তমানে বেশি প্রচলিত কিছু কাজের নামের তালিকা দিচ্ছি যার মধ্যে কোনাে একটি শিখেই আপনি মােটামুটি ভাবে শুরু করতে পারেন। যেমন -

1. Web Design 

2. Web Development 

3. Mobile Apps Development 

4. Desktop Software Development 

5. Graphic Design 

6. Photo Editing/Clipping Path/Manipulation Etc 

7. Video Editing 

8. Seo - Search Engine Optimization 

9. Cartoon, 3d Animation 

10. Architecture Design 

11. Google Adsense (Youtube/Website)

12. Digital Marketing 

13. Dropshipping Etc.

এবারে পৃষ্ঠায় আমরা প্রায় ১৬টি ক্যাটাগরি দেখলাম। এবারের Category গুলাে সামান্য একটু ভিন্ন হয়েছে। কেন বলুন তাে? খুবই সহজ। এসব ক্যাটাগরি পূর্বের ক্যাটাগরি থেকে বাছাই করার পরে বের হয়েছে। সুতরাং আপনার জন্য নির্দিষ্ট কাজটি শেখা আরও সহজ হয়ে গেল।

ঠিক এই কাজগুলাে প্রায় ১০-১৫ বছর ধরে মানুষের প্রয়ােজন হয়ে আসছে। তাই অন্যান্য দেশের মানুষ তাদের অর্থ ও সময় বাঁচানাের জন্য বেশিরভাগ কাজই Online তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আরেক দেশের মানুষের থেকে করিয়ে নেয়। আর এটি একজন মানুষ মুক্তভাবে করতে পারে বলেই এটিকে Freelancing ও আউটসাের্সিং বলা হয়েছে।

আপনার জন্য এবারের পদক্ষেপ হলাে এই ১৬টি Category সম্পর্কে ভালাে ধারণা অর্জন করা। তবে আপনি আপনার ভালাে লাগার কাজটি নির্বাচন করতে পারবেন এবং আপনার কোনটি শিখলে ভালাে হবে সেটিও বুঝতে পারবেন। এই পর্বে আপনাকে সবচেয়ে বেশি মনােযােগ দিতে হবে, নয়তাে পুরাে বইটি পড়াই। আপনার বৃথা যাবে। তাে চলুন এক এক করে এসব কাজ সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

WEB DESIGN

ওয়েব বা ওয়েবসাইট শব্দটি আমাদের আর অপরিচিত নয়। আমরা সবাই ওয়েবসাইট চিনি। যেমন- ফেসবুক, গুগল। উইকিপিডিয়া, ইনস্টাগ্রাম, Linkedin ইত্যাদি। কিন্তু এগুলােই কি শুধু ওয়েবসাইট? না, নিচের ছবিটির দিকে তাকান - 

ভেবে দেখুন ছবিটি কোন ওয়েবসাইটের? অবশ্যই এটি Amazon নামে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের, যেখানে আমরা অনলাইনে যে-কোনাে ধরনের প্রােডাক্ট কিনতে পারি। একটু ভেবে দেখুন ফেসবুকে ভিজিট করলে আপনি এক রকম কালার কোয়ালিটি, আকার ও গঠন দেখতে পান, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, অ্যামাজন ইত্যাদি সব ধরনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে যে পরিবর্তন আমরা দেখি, সাধারণত এগুলােকেই Web Design বলে।

এখন ভাবছেন ওয়েব ডিজাইন কীভাবে করে? হ্যা প্রশ্ন থাকতেই পারে, কিন্তু সেটি আপনাকে আগে শিখতে হবে, তবেই আপনি জানতে পারবেন। এই বই শুধু আপনাকে গাইডলাইন দেবে। আপনি যদি আজ পর্যন্ত Amazon.Com-এ ভিজিট না করে থাকেন, তবে এখনই কম্পিউটারে ভিজিট করে নিন। 

যে হােমপেজটি আসবে সেটি ডিজাইন করতে হলে ওয়েবসাইটের মালিককে প্রায় ২০০-৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হয়, যা বাংলাদেশে ২০-২৫ হাজার টাকার সমতুল্য এবং এই এক পেজ ডিজাইন করতে সময় লাগে বেশ কয়েক ঘণ্টা অথবা ১ দিন। 

তবে ভেবে দেখুন এসব অনলাইন রিলেটেড কাজের মূল্য কত বেশি। একজন ফ্রিল্যান্সার ভালােমতাে কাজ করলে অনেক ভালাে স্যালারি পেয়ে থাকে, যা একজন সরকারি কর্মকর্তার চেয়ে কম নয় বরং ডাবল হতে পারে। যা-ই হােক, আলােচনায় ফিরে আসি।

এই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে অল্প কিছু ধারণা দিই, যা আপনার শিখতে গেলে কাজে লাগবে। ওয়েব ডিজাইন মূলত কোড ও প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে করতে হয়। ওয়েব ডিজাইন মূলগত দিক থেকে দুই প্রকার :

1. Static (স্থির)। 

2. Dynamic (প্রগতিশীল) 

ওয়েব ডিজাইন পুরােপুরি শিখতে গেলে আপনাকে যা যা শিখতে হবে

1. Html 

2. Css 

3. Javascript

4. Jquery 

5. Bootstrap

উপরের এই ৫টি জিনিস যদি আপনি শিখতে পারেন তাহলে আপনি যে-কোনাে ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিতে পারবেন এবং আপনি হয়ে যাবেন একজন (Static/Front End Web Designer)। তখন যে কেউ আপনাকে যদি টাকার বিনিময়ে কোনাে ওয়েবসাইটের ডেমাে বা নমুনা দিয়ে সিমিলার আরেকটি ওয়েবসাইট তার জন্য ডিজাইন করতে বলে, তবে আপনি সেটি করে দিয়ে তার কাছে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলােকোথায় শিখবেন? কোথায় শিখবেন তা নিয়ে মাথা ঘামানাের এখন প্রয়ােজন নেই। মনােযােগ দিয়ে পড়তে থাকুন। শেষের দিকে সেটি নিয়ে আলােচনা রয়েছে।

WEB DEVELOPMENT

বইয়ের ভাষায় খুব কঠিনভাবে বােঝাতে ইচ্ছুক নই। তাই খুব সহজ উদাহরণ দিয়ে বােঝাতে চাই, যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয়। একজন শুধু ওয়েব ডিজাইনার, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ধারণা না-ও রাখতে পারে। কিন্তু একজন ওয়েব ডেভেলপার ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভালাে ধারণা রাখেন। কারণ তাকে সেই ডিজাইন করা ওয়েবসাইটটি নিয়েই কোডিং করে কাজ করতে হবে। তাে চলন খুবই সহজভাবে জেনে নিই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কী জিনিস। 

প্রথমেই কল্পনা করুন একটি প্রাইভেট কারকে নিয়ে। কারটি তৈরির জন্য বিভিন্ন পার্টস তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ফ্রেম দিয়ে এবং সেগুলােকে রং করা হয়েছে। তারপরে ইঞ্জিন সেট করে। গাড়িটিকে চালানাে হয়। যদি ইঞ্জিন না থাকে তবে গাড়িটি চালানাে সম্ভব নয়। ইঞ্জিন ছাড়া গাড়িটিকে STATIC গাড়ি বলা হবে। STATIC কথার অর্থ “স্থির” কারণ গাড়িতে ইঞ্জিন নেই, সেটি চালানাে সম্ভব নয়। তাই এখন আমরা বলতেই পারি যে গাড়িটির পার্টস, ফ্রেম এবং রংগুলাে সেট করা হলে সেটি হয়ে গাড়ির STATIC DESIGN আর ইঞ্জিন সেট করে দিলে হয়ে গেল DYNAMIC বা প্রগতিশীল গাড়ি, যা চালানাে সম্ভব।

সুতরাং STATIC গাড়ি এবং STATIC WEB DESIGN ও DYNAMIC গাড়ি এবং DYNAMIC WEBSITE-এর তুল করলে ব্যাপারটি পুরােপুরি ক্লিয়ার হয়ে যায়।

DYNAMIC WEBSITE ওয়েবসাইট সেগুলােকেই বলা হয়, যে ওয়েবসাইটগুলে হালনাগাদ বা আপডেট করা যায় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বা ছবি/ভিডিও আপলােড করা যায়। ঠিক তেমনি ফেসবুকে ডেটাবেস না থাকত মেমােরি স্পেস না থাকত, তাহলে হয়ত আমাদের তথ্যগুলাে এবং ছবি ও ভিডিওগুলাে কিছুই থাকতে । 

অবশ্যই এসব যে মেশিন দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় যেত আমরা এক প্রকার ইঞ্জিনই ধরে নিতে পারি। আশা করি আপন বুঝতে পেরেছেন যে আপনার প্রতিদিনের ফেসবুক পােস্ট টাইম। 

টাইম সেট হয়ে থাকা, ছবি আপনার ফটোস-এর মধ্যে গতৰ হিসেবে আপলােড হয়ে থাকা এসব কাজ অটোমেটিক হয়ে যায় আর এসবই হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এর কাজ তাই ডিজাইনটি একজন করে এবং ডেভেলপমেন্টটি অন্যজন মত পারে, আবার ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট একই ব্যক্তিই করতে পারে যদি সে দুটোই জেনে থাকে। এবার জেনে নিই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে কী কী শিখতে হবে :

1. Php (Raw & Object Oriented) Or Asp.Net 

2. Mysqli Database 

3. Javascript 4. Jquery 

5. Ajax 

6. Wordpress Theme Development (Better)

উপরে দেওয়া ৬টি স্কিল জানলে আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবেন এবং কারও ডিজাইন করা ওয়েবসাইটের ডেভেলপমেন্ট-এর কাজটি আপনি করে দিতে পারবেন। জেনে রাখা ভালাে, ওয়েব ডিজাইনারের থেকে ওয়েব ডেভেলপারের কাজের পারিশ্রমিক বেশিরভাগ সময় বেশিই হয়ে থাকে।

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট কী?

যখন কোনাে ব্যক্তি একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন থেকে শুরু » ওয়েবসাইটটি ডায়নামিক করে কাজটি সম্পন্ন করেন তখন সেটিকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়। আর যখন সব কিছু বা দিয়ে শুধু HTML CSS, JAVASCRIPT ইত্যাদি দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয় তখন সেটাকে ওয়েব ডিজাইন বলা হয়।

তাই আপনি যদি শুধুই ওয়েব ডিজাইনের স্কিলগুলাে জেনে থাকেন, তাহলে আপনি শুধুই ওয়েব ডিজাইনার আর যদি ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলােপমেন্ট-এর স্কিলগুলাে জানেন ও ওয়েবসাইট ও ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট করেন তবে আপনি একজন ওয়েব ডেভেলপার। সেই সাথে আপনাকে Full Stack Web Developer ও বলা যেতে পারে। 

এর মধ্যে আপনি যদি প্রােগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ (PHP, ASP, PYTHON) ইত্যাদি ব্যবহার করে কোনাে ধরনের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়ার তৈরি করেন, তবে আপনাকে একজন Web Based Software/Application Developer ও বলা যেতে পারে। কিন্তু FullStack Web Developer নামের নিচে সাবটাইটেল ব্যবহার করলেই আপনার অভিজ্ঞতা মানুষ বুঝতে পারবে।

MOBILE APPS DEVELOPMENT

মােবাইল অ্যাপস আমরা সবাই চিনি। বর্তমান যুগে বেশি চলছে Android-এর ব্যবহার। আর তাই অ্যাপস কী কাজে ব্যবহার হয়, তা আর কারাে অজানা নেই। 

আমরা প্রতিনিয়ত যে অ্যাপসগুলাে ব্যবহার করি সেগুলাের মধ্যে হলাে, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হােয়াটসঅ্যাপ, বিকাশ, ইনস্টাগ্রাম, ক্যামেরা ইত্যাদি আরও অনেক। আমরা সবসময় শুধু ব্যবহারেই পারর্দশী হই। 

কিন্তু তৈরি কীভাবে, কেন তৈরি, কে তৈরি করেছেন এসব নিয়ে তেমন একটা ঘাটাঘাটি করি না। যেটি আমাদের একটি চরম বােকামি ও ভুল। একবার ভাবুন তাে, ফেসবুক, নির্মাতা মার্ক জুকারবার্গ কি সব কাজ একা করেছেন? 

ফেসবুক ওয়েবসাইট তৈরি, মােবাইলে অ্যাপসটি ও মেসেঞ্জার, হােয়াটসঅ্যাপ সব কি তিনিই নিজের হাতে তৈরি করেছেন? না, কখনােই না। তিনি বিভিন্ন কাজ তার কর্মচারীদের দিয়ে করিয়ে থাকেন।

এসব কাজ করে নেওয়ার জন্য যেমন ফেসবুক নির্মাতা তার কর্মচারীদের পেমেন্ট করেন, ঠিক তেমনি এই পৃথিবীতে লাখ লাখ কোম্পানি এজেন্সি ও সার্ভিস প্রদানকারী রয়েছে, যারা তাদের কোম্পানি ও সার্ভিস মানুষের হাতের কাছে খুব সহজেই পৌছে দেওয়ার জন্য মােবাইল অ্যাপস তৈরি করে নেয়। যেমন ধরুন, Daraz.com একটি প্রােডাক্ট কেনার ওয়েবসাইট। এখানে ভিজিট করলে আমরা অনলাইনে প্রােডাক্ট কিনতে পারি। কিন্তু এই

ওয়েবসাইটের আবার DARAZ APP কেন? তাহলেই এখন থেকেই বুঝতে হবে যে প্রতিটি কোম্পানি এখন তাদের অল্প তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। আর সেটি করে দিচ্ছে তারা যারা তা অ্যাপস ডেভেলপার।

একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের অ্যাপস তৈরি করে দিতে পারলে আনুমানিক ৩০০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব, যা বাংলাদেশে প্রায় দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা।

অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট শিখতে হলে যা যা শিখতে হবে : 

1. Java 

2. Sql 

3. Xml 

4. Android Studio Software 

5. Web Development

6. And More Apps Development Softwares If Needed

এসব স্কিল অর্জন করলে একটি ডাইনামিক অ্যাপস তৈরি করা সম্ভব।

ডাইনামিক ও সাধারণ অ্যাপস-এর পার্থক্য

মাঝে মাঝে দেখা যায় কিছু পিডিএফ বইয়ের অ্যাপস পাওয়া যায়, ক্যামেরা অ্যাপস পাওয়া যায়। অর্থাৎ যে সমস্ত অ্যাপস-এ ইন্টারনেট সংযােগ ছাড়া ব্যবহার করা যায় সেগুলাে সাধারণ স্ট্যাটিক অ্যাপস বলে। আর যেগুলাে ব্যবহার করতে ইন্টারনেট লাগে যেমন, ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হােয়াটসঅ্যাপ, বিকাশ ইত্যাদি। এসব ডায়নামিক অ্যাপস বলা হয়। সুতরাং ডাইনামিক অ্যাপস ডেভলপার হতে গেলে আপনাকে ওয়েব ডেভলপারও হতে হবে। কারণ ডায়নামিক অ্যাপস-এর অধিকাংশ কন্ট্রোলটি একটি ওয়েব অ্যাডমিন ড্যাশবাের্ড থেকে করা হয়।

DESKTOP SOFTWARE DEVELOPMENT

ডেক্সটপ সফটওয়্যার বলতে আমরা কম্পিউটার বা ল্যাপটপে যে সফটওয়্যারগুলাে ব্যবহার করে থাকি সেগুলােকে বােঝায়। উদাহরণস্বরূপ Microsoft Word, Excel, Powerpoint, AntiVirus, Skype Video Calling ইত্যাদি। এসব সফটওয়্যার আমরা সবাই চিনি। 

এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে গেলে দেখবেন টাকা উত্তোলন ও জমা দেওয়ার জন্য সিরিয়াল টোকেন দেওয়া হয়। সেগুলাে এক একটি সফটওয়্যার-এর মাধ্যমে ম্যানেজ করা হয়। ব্যাংকের হিসাবপত্র ঠিক রাখার জন্য রিপাের্ট জেনারেশনের সফটওয়্যারও তৈরি করা হয়ে থাকে। ঠিক এ ধরনের সফটওয়্যার এক-একজন ডেস্কটপ সফটওয়্যার ডেভলপার বা ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করে থাকেন।

প্রকৃতপক্ষে যারা ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স, সিএসই বা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করেন, তারা কেউ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হন, আবার কেউ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হন।

কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আপনি যদি অন্যকোনাে বিভাগে লেখাপড়া করেন তাহলে আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন না। এই ধরনের চিন্তাভাবনা কখনাে। মাথায় রাখবেন না। মানুষের ব্রেইনে যে-কোনাে জ্ঞান ধারণের ক্ষমতা মহান আল্লাহ তালা দিয়ে রেখেছেন। 

সুতরাং আপনি প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিয়ে এটি না শিখতে পারলে ও ট্রেনিং সেন্টার ইউটিউব দেখেও শিখতে পারবেন। যেমন আমি একজন সে বিভাগের ছাত্র হয়েও ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারি। এখানে আপনার চাই প্রবল ইচ্ছে শক্তি আর পরিশ্রম।

চলুন যেনে নিই ডেস্কটপ সফটওয়্যার তৈরি করতে হলে কী কী প্রােগ্রামিং লেঙ্গুয়েজ শিখতে হবে।

1. C 

2. C++ 

3. C# 

4. Java 

5. Java Swing 

6. Dot Net Framework 

7. Python

8. Ruby ইত্যাদি।

উপরে দেওয়া লিস্ট বাদ দিয়ে আরও নতুন কিছু প্রােগ্রামিং লেঙ্গুয়েজ বের হচ্ছেই। কিন্তু এসবের মধ্যে থেকে লিস্টে রাখা স্কিলগুলাে জেনে রাখলে একজন ভালাে মানের ডেস্কটপ সফটওয়্যার হওয়া সম্ভব। এগুলাে দিয়ে আপনি চাইলে MAC ও IOS, iphone-এর সফটওয়্যার ও তৈরি করতে পারবেন। 

একটু লক্ষ্য করে দেখুন Java Programming Language টি Android অ্যাপস ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। তাই ভালাে। মানের ডেভেলপার হতে গেলে এগুলাে সম্পর্কে ভালাে জ্ঞান থাকলে কাজ করতে গিয়ে কখনাে আটকে থাকবেন না।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও মােবাইল অ্যাপস ডেভলপমেন্ট করে যে ধরনের পারিশ্রমিক বা অর্থ উপার্জন করা যায়, প্রকৃত পক্ষে ডেস্কটপ সফটওয়্যার একটু বেশি ব্যয়বহুল্য বলে এই কাজ গুলাে করে তার চেয়ে বেশি আয় করা যায়। 

বিভিন্ন কোম্পানি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা তাদের কোম্পানির জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। তাই কাজের রয়েছে অনেক সুযােগ। ভালাে স্কিল থাকলে এই ক্যাটাগরিতেও কাজ করে উপার্জন করে আয় করা যায়। কিন্তু এগুলাে শিখতেও ভালাে সময় আর ধৈর্যের প্রয়ােজন হয়। অন্যদিকে সবার এসব কাজ শেখার ধৈর্য নাও, থাকতে পারে কিংবা ভালাে নাও লাগতে পারে। 

কারাে কাছে এগুলাে শেখা একটা ভালােলাগা আবার কারাে কাছে এগুলাে শিখতে গিয়ে বিরক্তও লাগে। কোনটি কোথায় কীভাবে শিখবেন এসব ব্যাপারে বইয়ের শেষের দিকে আলােচনা করা হয়েছে। সুতরাং, চিন্তার কোনাে কারণ নেই।


GRAPHIC DESIGN 

গ্রাফিক ডিজাইনের বিষয়ে বর্তমানে আমরা অনেকেই জানি। গ্রাফিক ডিজাইন অনেক অংশে বিভক্ত তাই ডিজাইন নিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ গ্রাফিক ডিজাইনের আওতায় পড়ে। যেমন ধরুন ছবি এডিট করে প্রিন্ট করাও এক ধরনের গ্রাফিক ডিজাইন। কারণ গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড সফটওয়্যারগুলাে ব্যবহার করেই ছবির কাজ করা হয়। অন্যদিকে কোনাে ধরনের ব্যানার, পােস্টার। মনােগ্রাম, বইয়ের কভার, সিডির ডিস্ক কাভার, সিনেমার পােস্টার ইত্যাদি এই সব গ্রাফিক ডিজাইনের আওতায় পড়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক অনলাইনের জন্য কোন কাজগুলাে গ্রাফিক ডিজাইন ক্যাটাগরিতে বেশি পাওয়া যায় 

1. Logo Design 

2. Banner Design 

3. Movie Poster Design 

4. Photo Editing 

5. Photo Retouch 

6. Book Cover Design 

7. Brouchar Design 

8. Brochure Design 

9. Abstract Design 

10. Leaflet Design ইত্যাদি।

উপরে দেওয়া ১০টি কাজের থেকে আরও অনেক ধরনের কাজ রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন ক্যাটাগরিতে। আসলে গ্রাফিক ডিজাইনের পুরাে ব্যাপারটি হলাে আপনার আর্ট করার অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে। 

আপনি যদি ভালাে আর্ট করার অভিজ্ঞতা রাখেন তবে যে-কোনাে ধরনের গ্রাফিক ডিজাইন আপনি করতে পারবেন, যদি গ্রাফিক ডিজাইন করার সফটওয়্যারগুলাে আপনি শিখে নেন। তাহলে সেই সফটওয়্যারগুলােতে আপনি আপনার কল্পনার আর্টটি করে ফেলতে পারেন।

গ্রাফিক ডিজাইন করতে হলে যে সফটওয়্যারগুলাের কাজ শিখতে হবে

1. Adobe Photoshop 

2. Adobe Illustrator 

3. Adobe Indesign ইত্যাদি।

গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য মূলত এই সফটওয়্যারগুলাে জানলেই হবে। কিন্তু কাজের গতি আরও বাড়ানাের জন্য আপনি নিচে দেওয়া সফটওয়্যারগুলােও শিখতে পারেন, যেখানে অনেক কিছুই রেডিমেড করা থাকে। আপনাকে শুধু সেগুলাে ব্যবহার জানতে হবে। যেমন ধরুন কোনাে মনােগ্রাম বা লােগাে ডিজাইন করবেন। আপনি বিভিন্ন প্রকার Shape এই সফটওয়্যারগুলােতে পাবেন এবং কালার মেচিং-এর একটি ব্যাপার থাকে, যার জন্য এই সফটওয়্যারগুলাে রিকমান্ডেড :

1. Gimp 

2. Inkscape 

3. Coreldraw 

4. Serif Drawplus 

5. Xara Xtreme

6. Coral Paintshop 7. Coral Photo Impact Buslini

ধরুন আপনাকে কেউ একটি লিফলেট ডিজাইন করতে দিল, এখন আপনি বিভিন্ন ফরম্যাটে এটি করতে পারেন। সবচেয়ে ভালাে কালার ও ফরম্যাট দিয়ে ডিজাইনটি করে দিলে আপনার ক্রেতাও খুশি থাকবেন।

সুতরাং, গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে হলে আপনাকে এসব জিনিস নিয়ে ভালাে ধারণা রাখতে হবে। ছবি এডিটিং সম্পর্কে যদি বলি, তবে একজন মানুষের একটি Raw Picture অর্থাৎ শুধু Default Camera দিয়ে তােলা একটি ছবিকে এডিটিং করে সুন্দর ও পরিষ্কার করে ফেলাই হলাে ফটো এডিটিং-এর কাজ। অন্য কাজগুলাের থেকে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজটি অনেক মজার এবং সহজও।

মজার ব্যাপার হলাে, আমাদের দেশে কোনাে স্টুডিওতে একটি ছবি তুলে ৬ ইঞ্চি বাই ৩ ইঞ্চি সাইজে প্রিন্ট করে নিলে হয়তাে ৫০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে এ রকম একটি ছবি তুলে কোনাে বিদেশি ব্যক্তি আপনাকে পাঠিয়ে সেটিকে পরিষ্কার করে এডিট করে দিতে বললে তিনি আপনাকে ২০-৩০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করবেন যা বাংলাদেশি টাকায় ১৫০০-২০০০ টাকা।

এছাড়াও বর্তমানে পৃথিবীর যত কোম্পানি রয়েছে এবং নতুন নতুন কোম্পানি তৈরি হচ্ছে, তারা তাদের সার্ভিসের ব্র্যান্ডিং ও মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন প্রকার লােগাে/মনােগ্রাম, ব্যানার, অ্যাডভারটাইজমেন্টের ছবি, লিফলেট, ব্রোচার ইত্যাদি ইত্যাদি অনেক প্রকার ডিজাইন ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা করিয়ে নেন যা একজন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে ভালাে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

সুতরাং, গ্রাফিক ডিজাইনেও একটি ভালাে ক্যারিয়ার রয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোনটি আপনি শিখবেন? কোনটি আপনার জন্য ভালাে হবে, সে ব্যাপারে এরপরের অধ্যায়ে আলােচনা করা হয়েছে।

PHOTO EDITING / CLIPPING PATH PHOTO MANIPULATION

এই স্কিলগুলােও প্রকৃতপক্ষে গ্রাফিক ডিজাইনের একএকটি অes ফটো এডিটিং, ক্লিপিং পাথ, ফটো মেনিপুলেশন বলতে আসলে স বােঝায় তা জানা আবশ্যক।

ফটো এডিটিং বলতে পূর্বের আলােচনার ব্যাপারগুলােই বােঝায়।

অন্যদিকে Clipping Path বলতে কোনাে ছবির Background মুছে দিয়ে একদম সাদা বা ট্রান্সপারেন্ট রাখাকেই বােঝায়। এখন আপনি ভাবতে পারেন যে ব্যাকগ্রাউন্ড তাে মােবাইলের অ্যাপস দিয়েও রিমুভ করা যায়। না, আসলে এই ব্যাপারটি এত সাধারণ নয়। আমরা যেভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করি, সেগুলাে খুব একটা পারফেক্ট হয় না। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন, তাহলে বুঝতে পারবেন Clipping Patch বলতে বস্তুত কী ধরনের কাজকে বােঝায় :

bangladata.info

এই ছবিটির দিকে লক্ষ করলে দেখবেন মেয়েটির চুলের কোনাে পরিবর্তন ঘটেনি, শুধু মাত্র পিছনের কালারটি চলে গেছে। এত নিখুঁতভাবে ব্যাকগ্রাউন্ডটি রিমুভ করা হয়েছে, যা মােবাইলের কোনাে অ্যাপস দিয়ে করা সম্ভব নয়। এই ছােট ছােট কাজগুলাে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রােডাক্টের ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা করে আপলােড করার জন্য করা হয়ে থাকে।

অন্যদিকে Photo Manipulation বলতে সহজ অর্থে একটি ছবিকে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে ছবির কালার পরিবর্তন করে আরও আকর্ষণীও করে তােলাকে বােঝায়। নিচের ছবিটি লক্ষ করুন ;

bangladata.info

যা-ই হােক, আশা করা যায় আপনি গ্রাফিক ডিজাইন সম্পক্রে একটি ভালাে ধারণা পেয়েছেন।

VIDEO EDITING

টেলিভিশনের আবির্ভাব হওয়ার পর থেকেই আমরা ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখি। বর্তমানে ভিডিও ছাড়া চলে বললেই হয়। জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইউটিউবে গেলেই দেখা যায় বিভিন্ন রকমের ভিডিও। 

নাটক, সিনেমা, মিউজিক ভিডিও, প্রােডাক্টের অ্যাডভারটাইজমেন্ট বা বিজ্ঞাপনের অ্যাডের ভিডিও দেখা যায়। আপনাকে ধরে নিতে হবে কেউ না কেউ এই ভিডিওগুলাে এডিটিং করেছেন এবং তারপরেই এগুলাে দেখতে কালারফুল এবং আকর্ষণীয় দেখায়। সুতরাং ভিডিও এডিটিং জানলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমেও বিদেশের ভিডিও এডিটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন অথবা বাংলাদেশি মিডিয়া কোম্পানিতেও আপনি চাকরি করতে পারবেন। 

এই স্কিল থাকলে কাজের ভালাে সুযােগ রয়েছে। তাে চলুন জেনে নিই কোন কোন সফটওয়্যার সম্পর্কে জানলে ভিডিও এডিটিং করা সম্ভব। নিচে ভালাে কিছু রিমান্ডেড ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যারের লিস্ট দেওয়া হলাে

1. Adobe Premiere Pro 

2. Adobe After Effects 

3. Adobe Premiere Elements 

4. Cyberlink Power Director 

5. Filmora

6. Vegas Pro 

7. Imovie 

8. Wideo 

9. Hitfilm 

10. Ulead Video Studio ইত্যাদি।

এসব ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু ভিডিও এডিটিং-এর কাজ করতে হলাে যে আপনাকে সব সফটওয়্যারগুলাে শিখতে হবে এমন কোনাে বাধ্যবাধকতা নেই। মজার বিষয় হলাে, এখানে সব ধরনের সফটওয়্যারে ফাংকশনালিটি প্রায় একই রকম। একটু কম বেশি হতে পারে। 

তাই আপনি ২-৩টি জানলে বাকিগুলাে সহজেই শিখে নিতে পারবেন। প্রথম সিরিয়ালে যেগুলাে দেওয়া আছে সেগুলােই সবচেয়ে ভালাে। এগুলাে দিয়েই আসলে Bollywood, Hollywood, Tollywood-এর সিনেমা এডিট করা হয়।

১টি ৪০ সেকেন্ডের অ্যাড তৈরি করে দিলে ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে প্রায় ২০০ ডলার পর্যন্ত পাওয়া সম্ভব, যা বাংলাদেশে ১৫ - ১৬ হাজার টাকা।

সুতরাং, ভিডিও এডিটিং-এর কাজেও ভালাে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব, যা কখনও থেমে যাবে না। কারণ বর্তমানে ভিডিও এডিটিংএর প্রচুর প্রয়ােজন হয় এবং সেটি আমরা একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই বুঝতে পারি, কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য একটি ভিডিও কত গুরুত্বপূর্ণ।

SEO | Search Engine Optimization

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হলাে এমন একটি কাজ, যা সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট ও বায়ার (যিনি কাজ করিয়ে নেন)-এর ওয়েবসাইট-এর সমন্বয়ে কাজ করে। সার্চ ইঞ্জিন আসলে কী জিনিস তা জানার জন্য নিচের ছবিটি লক্ষ করুন :

আমরা ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছি, তীর দিয়ে চিহ্নিত করা। ওয়েবসাইটের নামগুলাে। আরেকটু উপরে লক্ষ করুন গুগলে একটি সার্চ করা হয়েছে ‘buy camera online' যার অর্থ "অনলাইনে ক্যামেরা কিনুন'। এটি লিখে সার্চ করার পরে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট Amazon.com সবার প্রথমে এসেছে। 

তারপরেই রয়েছে Bagdoom.com ও ajkerdeal.com এই দুইটি আমাদের বাংলাদেশি ওয়েবসাইট। এরপরে যেগুলাে এসেছে সেগুলােও বিশ্বে ভালাে জনপ্রিয়। কিন্তু প্রথম পেজে Daraz.com. Alibaba.com, Alixpress.com, Ebay.com নেই কেন? 

কারণ একটাই, আর সেটি হলাে যে, সব ওয়েবসাইট প্রথম পেজে রয়েছে সেই ওয়েবসাইটগুলােতে ভালাে করে SEO-এর কাজ করা রয়েছে। যার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ করে এসব ওয়েবসাইট সরিয়ালি প্রথম পেজে শাে করেছে।

এখন প্রশ্ন হলাে, ওয়েবসাইটগুলাে সার্চ করার পরে প্রথমে আসলে মালিকের কী লাভ, তাই না? হ্যা এখানে মালিকের লাভ রয়েছে। আর যার জন্যই তারা ওয়েবসাইটে SEO-এর কাজ করিয়ে নেন।

উদাহরণ, ধরুন আপনি একটি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন, হঠাৎ আপনার মােবাইলে রিচার্জের প্রয়ােজন। এর জন্য আপনি হয়তাে ফ্লেক্সিলােডের দোকান খুঁজবেন। আর আপনি যেই ফ্লেক্সিলােডের দোকান সবচেয়ে কাছে পাবেন, সেখান থেকেই রিচার্জ করবেন। এক্ষেত্রে যে দোকানটি আপনার কাছে সে দোকান অন্য দোকানগুলাের চেয়ে কাস্টমার বেশি পেয়ে গেল। এ রকম আপনার মতাে করে হেঁটে যাওয়া অনেক মানুষ সেই দোকানে গিয়ে ফ্লেক্সিলােড করবে।

অন্যদিকে ধরুন, আমি সত্যি সত্যিই একটি ক্যামেরা কেনার জন্য গুগলে এভাবে সার্চ করলাম এবং আমার সামনে এই ওয়েবসাইটগুলাে এলাে। আমি অবশ্যই প্রথম পেজে থাকা ওয়েবসাইটগুলােতে আগে প্রবেশ করে ক্যামেরা মডেল চয়েজ।

করব। ভালাে লাগলে কিনেও ফেলতে পারি। তাই নয় কি? তাহলে পরের পেজ (২, ৩, ৪, ৫, ৬...।) কোনাে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী না-ও প্রবেশ করতে পারে। কারণ হাতের নাগালে। আমরা যেটি পাই সেটিকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে প্রবেশ করি। ঠিক এভাবেই একটি কোম্পানি তার প্রােডাক্ট বা সার্ভিস বেশি বেশি সেল করতে পারে এবং বেশি সেল হলে কোম্পানির লাভ। ওয়েবসাইটগুলাে মানুষ সহজে চিনবে এবং অনেক মানুষ ভিজিট করবে তখন ভিজিটরও বাড়বে। আর যার জন্যই SEO-এর কাজ করেন তারা।

তাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন-এর কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের কাজে লাগানাে হয়। এক্ষেত্রে যা যা শিখতে হবে :

1. Keyword Research 

2. Keyword Analysis 

3. Content Optimization 

4. On page & Off page SEO 

5. Link Building 

6. Backlink 

7. Seo Tracking 

8. Keyword Difficulty 

9. Keyword Objectives 

10. Modifier & Extenders 

11. Mix & Merge 

12. Google Traffic 

13. Google Adwords 

14. Being Keywords Bosini

একটি ওয়েবসাইট পুরােপুরি SEO করে দিতে ৪-৫ মাস পর্যন্ত লেগে যায় এবং এ ধরনের কাজ মাসিক সেলারি অথবা একটি নির্দিষ্ট বাজেটে চুক্তি করে দেওয়া হয়। আবার অনেকেই প্রতি ঘণ্টা কাজের জন্যও টাকা নিয়ে করেন। এক-এক জন এক, এক ভাবে এই কাজের চুক্তি করেন বায়ারদের সাথে। 

প্রতি ঘণ্টা হিসাবে যদি পেমেন্ট নেওয়া হয় তবে এখানে ৫-১৫ ডলার পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় পেমেন্ট পাওয়া যায়। সপ্তাহে ৬০-৭০ ঘণ্টা কাজ করলে প্রতি সপ্তাহে ৩০০ - ৪০০ ডলার পাওয়া সম্ভব, যা বাংলাদেশে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু সেই পরিমাণ কাজ অবশ্যই পেতে হবে।

সুতরাং উপরের বিষয়গুলাে জানলে আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে SEO-এর কাজ করে আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে এ। ধরনের কাজের চাহিদাও রয়েছে অনেক। কারণ আপনি যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে বুঝবেন বর্তমান ওয়ার্ল্ডে কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলাের প্রত্যেকটির মালিক রয়েছে এবং তারা সেগুলাে অবশ্যই কোনাে না কোনাে উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন। আর যার জন্য ওয়েবসাইটগুলাের মার্কেটিং-এর প্রয়ােজন হয় ভিজিটর বাড়ানাের জন্য।

ARCHITECTURE DESIGN 

ছবিটির দিকে লক্ষ্য করুন

আর্কিটেকচার ডিজাইন/অটোকেড-এর কাজ সম্পর্কে লেখাপড়া করার সুযােগ বাংলাদেশে রয়েছে। অন্যদিকে আপনি যদি এটি না জেনে থাকেন তাহলে কোর্স করতে হবে। যারা কম্পিউটার ডিপ্লোমা নিয়ে আর্কিটেকচার ডিজাইনের ওপরে কাজ করেন তারা বিভিন্ন বিল্ডিং-এর নকশা বা স্ট্রাকচার তৈরি করে থাকেন, যেটি দেখে বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়। তাই বিদেশে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বিল্ডিং, যেগুলাের নকশা ডিজাইনের কাজগুলােও এখন ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে করানাে হয়। আপনি যদি ইতােমধ্যে আর্কিটেকচার ডিজাইনের ওপর লেখাপড়া করে থাকেন, তবে আপনার জন্য এটি একটি প্লাস পয়েন্ট আপনি এটির পাশাপাশি অন্য কিছু শিখে কাজ শুরু করতে পারেন।

GOOGLE ADSENSE (YOUTUBE/WEBSITE/FB PAGE)

গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে ইনকামের ব্যাপারটি খুবই জনপ্রিয় এবং এটি একটি স্থায়ী আয়ের উৎস। কারণ এ ধরনের আয়ের মাধ্যম থাকলে অল্প কিছু কাজ করেই বসে বসে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায়। কীভাবে? চলুন আলােচনা করা যাক -

প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে যে Google Adsense কী এবং কীভাবে কাজ করে। Google Adsense হলাে গুগলের একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সি সার্ভিস। যারা আপনার কোম্পানির বিজ্ঞাপন চাইলে সারা বিশ্বে দিতে পারবে। 

একটু ভেবে দেখুন, বর্তমানে মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় দিচ্ছে কোথায় টেলিভিশনে নাকি ইন্টারনেট (ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি)-এর মাঝে? অবশ্যই উত্তর হবে ইন্টারনেটে। তাই যেহেতু এসব সােশাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে মানুষ বেশি প্রবেশ করে, গুগল এগুলাের মালিকের সাথে চুক্তি করে নিয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে গুগল বিজ্ঞাপন দেবে। 

আমরা যখন ইউটিউবে ভিডিও দেখি, তখন এ ধরনের জিনিস চোখে পড়ে। এগুলােই হলাে বিজ্ঞাপন, যা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আসছে। আর গুগল অ্যাডসেন্স এগুলাে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে নিয়েছে। 

এক্ষেত্রে গুগল একটি চার্জ কোম্পানি থেকে নেয় এবং সেটির কিছু অংশ ইউটিউব বা ফেসবুক/ইনস্টাগ্রামকে দেয়। কারণ সেখানে গুগল বিজ্ঞাপন দেয়।

কিন্তু ইউটিউব যেহেতু গুগলেরই একটি প্রােডাক্ট বা সার্ভিস, তাই এই অর্থ গুগলের কাছেই রয়ে যায়, যা ইউটিউব অফিসের আন্ডারে হিসাব থাকে।

যা-ই হােক, চলুন জেনে নিই আপনি কীভাবে গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে উপার্জন করবেন :

প্রথমে খুব সহজভাবে বােঝানাের চেষ্টা করছি।

‘আমরা অনেকেই সাপ খেলা দেখেছি। সেখানে একজন সাপুড়ে অনেকগুলাে সাপ নিয়ে আসেন এবং খেলা দেখানাের আগে মানুষের ভিড় জমায়। কীভাবে ভিড় জমায়? এই ভিড় জমানাের জন্যই এখানে সাপ নিয়ে আসা হয়েছে। এরপর তিনি অনেক ভালাে ভালাে নীতিকথা বলেন, যা শুনে আমাদের মাঝে অনেকেরই ভালো লাগে। 

আমরা সাপুরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করি। এরপর সাপুড়ের সাপ খেলা দেখানাের পরে তিনি কিছু প্রােডাক্ট অফার করে বসেন এগুলাে হলাে কোনাে তাবিজ, গাছের ছাল ইত্যাদি যা সাথে রাখলে নাকি বালা মুসিবত দূর হয় বলে তিনি বলেন। যাক এসব খুবই সেনসেটিভ জিনিস সেটি আমার আলােচনার বিষয় নয়। এরপর অনেকেই তাবিজ কিনেন।

এই গল্প থেকে বােঝা যায় যে, তিনি এখানে তাবিজ বিক্রি করলেন তার উদ্দেশ্য ছিল তাবিজ বিক্রি করা। আর তাই তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে না গিয়ে এমন কাজ করলেন যেন মানুষ তার কাছে আসে আর তিনি কোনাে এক সিস্টেমে তাদের মােটিভেট করে মজা দিয়ে তাবিজ বিক্রি করেছেন।

ঠিক এই প্রক্রিয়াটিই মার্কেটিং-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় ।

ধরুন আপনি বাংলাদেশ বনাম ভারতের ক্রিকেট ম্যাচ দেখছেন। এসময় লাখ লাখ মানুষ টিভি সামনে বসেন খেলা দেখার জন্য। কিন্তু খেলার মাঝে বিরতিগুলােতে বিভিন্ন শ্যাম্পু, কসমেটিক ইত্যাদির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। কারণ সেই সময় সবাই টিভি দেখে এবং এই সুযােগে ওই কোম্পানিগুলাে তাদের প্রােডাক্টের বিজ্ঞাপন করে ফেলে। আর এভাবে চ্যানেলের মালিক টাকা পায়।।

ঠিক তেমনি আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেলের মালিত হন, তাহলে আপনিও ইনকাম করতে পারবেন। এর জন্য প্রথম আপনাকে বেছে নিতে হবে যে আপনি কী নিয়ে ভিডিও করবে আপনার যদি কোনাে অভিজ্ঞতা থাকে যেটা মানুষের শিখলে কাজে লাগবে, আপনি ইউটিউবে তা শেখাতে পারেন। যখন মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে তখন গুগল অ্যাডসেন্স সেখানে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করবে আর আপনি সেখান থেকে টাকা পাবেন।

আমাদের সবার মাঝে কোনাে না কোনাে ট্যালেন্ট রয়েছে। আপনিও ভেবে দেখুন, আপনি কোন জিনিসটি ভালাে পারেন । সেটি দিয়ে ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে আপলােড করতে পারেন। যেমন ধরুন : Drawing, Cooking Racipe, Health Care, Cosmetic, Food Review Bustin gets faran খুঁজলেই আপনি পেয়ে যাবেন যে কী নিয়ে ইউটিউবিং শুরু করা যায়। 

এক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেলকে Google Adsense-এর অ্যাড বহন করার মতাে দর্শক থাকতে হবে। তারপর অ্যাডসেন্স কোম্পানিতে অ্যাপ্লাই করলে আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানাে শুরু করবে। এ নিয়ে অনেক ভিডিও রয়েছে ইউটিউবে। পরের অধ্যায়ে আলােচনা রয়েছে।

তাহলে এখানে আপনি জানলেন যে Google Adsense-এ কাজ করতে গেলে অবশ্যই ট্রাফিক তথা বেশি বেশি মানুষের প্রবেশ আপনার ইউটিউব চ্যানেল বা ওয়েবসাইট অথবা ফেসবুক পেজে থাকতে হবে। আর এটি তখনই হবে যখন আপনি মানুষের জন্য কাজ করবেন। মানুষ যেসব জিনিস পছন্দ করে বা যেসব শিখতে আগ্রহী সে ধরনের ভিডিও তৈরি করতে পারেন তবেই লাখ লাখ মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে।

CARTOON বা 3D ANIMATION

বর্তমানে কার্টুন বা থ্রিডি অ্যানিমেশন ভিডিও এবং মুভি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কার্টুন দিয়ে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন প্রকার সিনেমা তৈরি হচ্ছে, থ্রিডি অ্যানিমেশন দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে, যা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে বিজ্ঞাপনের ভিডিও তৈরিতে। 

সুতরাং কার্টুন ভিডিও তৈরি এবং থ্রিডি এনিমেশন দিয়ে বিভিন্ন ইফেক্টস ও বিজ্ঞাপনের ভিডিও তৈরি করেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। তবে এ ধরনের কাজ একটু অন্যান্য কাজের থেকে কম পাওয়া যায় । আশা করা যায় এ ধরনের কাজগুলােও ধীরে ধীরে অ্যাভাইঅ্যাবল হয়ে উঠবে।

DIGITAL MARKETING

ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং ব্যাপারগুলাে প্রায় একই রকমই। এগুলাে নিয়ে বেশি চিন্তিত হওয়ার কোনাে প্রয়ােজন নেই। উইকিপিডিয়া অনুযায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ডিজিটাল টেকনােলজি ব্যবহার করে যে সমস্ত মার্কেটিং বা প্রােডাক্টের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়, সেটিকেই বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। 

অর্থাৎ মূলত ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেসব মার্কেটিং করা হয়, সেগুলােই হলাে ডিজিটাল মার্কেটিং অন্যদিকে মােবাইল অ্যাপস এ ছােট ছােট বিজ্ঞাপন দেখা যায়, মােবাইলে এসএমএস-এর মাধ্যমে বিভিন্ন অফার চলে আসে, বিভিন্ন প্রােডাক্ট-এর বিজ্ঞাপন এসএমএস-এর মাধ্যমে আসে, কল করেও অনেকেই বিজ্ঞাপন দেয়। 

সুতরাং ডিজিটাল মাধ্যম বা মিডিয়াম ব্যবহার করে যেকোনাে মার্কেটিং করলেই সেটি ডিজিটাল মার্কেটিং-এর আওতায় পড়ে।

আর তাই আপনি যদি সিপিএ মার্কেটিং করেন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন, প্রকৃতপক্ষে এগুলােও হলাে এক প্রকার ডিজিটাল মার্কেটিং বা ইন্টারনেট মার্কেটিং।

DROPSHIPPING

ডপশিপিং বর্তমানে ঘড়ে বসে অল্প সময়ে একটি প্যাসিভ ও স্থায়ী ইনকামের জন্য বহু জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। তাই ড্রপশিপিং শিখতে হলে প্রথমে এই কাজ সম্পর্কে আপনার পুরাে ধারণা থাকতে হবে। নয়তাে শিখতে গিয়ে সমস্যা হতে পারে।

ড্রপশিপিং-এর মূল কাজ হলাে প্রােডাক্ট সেল করা; কিন্তু এখানে আপনি আপনার প্রােডাক্ট সেল করবেন না। অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্যকোনাে কোম্পানির প্রােডাক্ট সেল করবেন। কীভাবে? চলুন আলােচনা করা যাক :

মনে করুন, আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট রয়েছে, কিন্তু আপনার কোনাে প্রােডাক্ট বা পণ্য নেই। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি পণ্য না কিনেই অনলাইনে সেল করতে পারেন। এটি আপনি বাংলাদেশেসহ সারা বিশ্বে করতে পারবেন। 

কারণ বাংলাদেশেও এখন মানুষ অনলাইনে পণ্য কেনা-বেচা করেন। তাই আপনি আপনার ওয়েবসাইটে প্রােডাক্টের ছবি, বিবরণ, মূল্য ইত্যাদি সব কিছু দিতে পারেন। এবার ভাবছেন প্রােডাক্ট কোথায় পাবেন? 

খুবই সহজ এক্ষেত্রে আপনি বাংলাদেশের ভালাে কোনাে শপিংমল ও ইলেক্ট্রোনিক্স-এর সপের সাথে ডিল করতে পারেন। তারা যে মূল্য দেবে আপনি তার থেকে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে যখন কেউ অনলাইনে প্রােডাক্টটি অর্ডার করবে, পেমেন্ট আপনার হাতে চলে আসবে এবং ক্রেতার ফোন নাম্বার ও ঠিকানা ইমেইলে পেয়ে যাবেন এবং সেই ইমেইল ফরােয়ার্ড করে শপিংমলে পাঠালে তারা সেটিকে কুরিয়ার করে ক্রেতার কাছে পাঠাবেন। 

আপনি এর পরে আপনার লাভ রেখে মাসের শেষে তাদের পাওনা তাদের বুঝিয়ে দিয়ে আয় করতে পারেন। এটি হলাে লােকালভাবে প্রােডাক্ট ম্যানেজ করে ড্রপশিপিং। করা।

কিন্তু এভাবে করতে গেলে আপনি বাংলাদেশের অর্ডার বেশি পাবেন, বাইরের দেশের অর্ডার তেমন একটা পাবেন না। এক্ষেত্রে লাভ ঠিকমতাে না-ও হতে পারে। তাই বেশকিছু কোম্পানি দিচ্ছে ড্রপশিপিং করার জন্য কিছু Open Source-এর জন্য বেশকিছু সফটওয়্যার রয়েছে, নিচে কিছু তালিকা দেওয়া হলাে

1. AliExpress 

2. SaleHoo 

3. Doba 

4. Wholesale2B 

5. World Wide Brands 

6. Wholesale Central 

7. Dropship Direct 

8. Sunrise Wholesale 

9. MegaGoods 

10. Inventory Source 

11. National Dropshippers 

12. Dropshippers.com

এগুলাে হলাে ড্রপশিপিং প্ল্যাটফর্ম। এ রকম অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে গুগলে 'Best Dropshipping Platforms' লিখে সার্চ করলে আরও ভালাে করে বিস্তারিত পড়তে পারবেন। তবে

এখনকার মধ্যে AliExpress জনপ্রিয় বলে আমি মনে করি।

wর কাজ হলাে ম্যানুফ্যাকচারার ও সাপ্লাইয়ারদের কোম্পাইল করে প্রোডাক্ট বা পণ্য কাস্টমার পর্যন্ত পৌঁছাতে যাবতীয় কাজ করে। এগুলাের মধ্যে অনেক প্ল্যাটফর্ম কাজে লাগিয়ে আপনি Amazone.com, Alixpress.com, Alibaba.com, Ebay.com. Daru.com ইত্যাদি বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রােডাক্টও একসাথে নিয়ে কাজ করতে পারবেন। 

শুধু তা-ই নয়, এখানে আপনার কাজ শুধু ওয়েবসাইটটি তৈরি করে প্রােডাক্ট লিস্ট করা এবং ওয়েবসাইট টির মার্কেটিং করে ভিজিটর নিয়ে আসা। এর। জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে ওয়েবসাইট তৈরি ও SEO মার্কেটিং করার জন্য।

ড্রপশিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য সাজেস্টেড কিছু ওয়েবসাইট ফ্রেমওয়ার্ক দেওয়া হলাে :

1. Wordpress (Woocommerce) 

2. Sliopify 

3. Prestashop 

4. Magento ইত্যাদি।

এসমস্ত ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখে আপনি সহজেই একটি ড্রোপশিপিং ওয়েবসাইট নিজেই তৈরি করতে পারবেন। 

এর জন্য “How to make a dropshipping website easily" লিখে ইউটিউবে সার্চ করলেই আপনি অনেক ভিডিও পাবেন, যেখান থেকে আপনি শিখতে পারবেন কীভাবে ডুপশিপিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়। 

এছাড়াও আপনি কিছু টাকা দিয়ে কোনাে ওয়েবসাইট ডেভেলপারকে দিয়েও কাজটি করিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ২০০ ডলার বা ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।

সব কিছু ঠিকভাবে সেটাআপ করার পরে আপনাকে ওয়েবসাইটটির মার্কেটিং করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে অর্ডার আসলে এইসব “ওপেন সােস" সফটওয়্যার প্রদানকারী। প্রােডাক্টটি ক্রেতার কাছে পৌছানাে পর্যন্ত যাবতীয় কাজ করবে। তাই আপনাকে কুরিয়ার-এর ঝামেলা ফেস করতে হচ্ছে না।

সুতরাং, ড্রপশিপিং-এর মূল কাজ এটাই। আপনি চাইলে নিঃসন্দেহে এটিও করতে পারেন। একবার আপনার ওয়েবসাইট র্যাংকে উঠে গেলে আপনি হাজার হাজার ডলার উপার্জন করতে পারবেন। কারণ সারা বিশ্ব থেকে ক্রেতারা আপনার ওয়েবসাইটে প্রােডাক্ট কিনতে আসবে।

আসলে ব্যাপারগুলাে ভাবতে একটু অদ্ভুত লাগতে পারে। ওয়ার্ল্ড পরিবর্তন হয়েছে, যুগ পরিবর্তন হয়েছে, দিনের পর দিন পরিবর্তন হতেই চলেছে। তাই এসব এখন আর স্বপ্ন নয়। বাস্তবে সম্ভব। তাই দেরি না করে আপনার ভালাে লাগার কাজটি শিখে কাজ শুরু করতে পারেন। কোনাে কাজই সহজ নয়। সব কিছুর পেছনে পরিশ্রমের প্রয়ােজন রয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ | ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় ২০২৪

আমরা আজকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ জেনে নিলাম। আশা করি তোমাদের আজকের এই আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে এখনি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দাও। আর এই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করা যায় পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Next Post Previous Post
1 Comments
  • Tech Master
    Tech Master 20 August

    ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ ও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ