হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা

আপনি কি হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা খুজতেছেন? যদি হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা খুজে থাকেন তাহলে সাবগতম জানাই আপনাকে।

হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী  হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা
হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী  হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা

কারন আজকে আমরা হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা নিয়ে লিখেছি। আশা করি আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি তোমাদের ভালো লাগবে। তো চুলুন বন্ধুরা আমরা জেনে নিই হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা।

হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা

১.”ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী করতে চায়।”

২.”ভালোবাসা ও ঘৃনা দুটাই মানুষের চোখে লেখা থাকে।”

৩.“পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনো কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।”

৫.“এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সাথে প্রেমে পড়ে।”

৬. ” যদি আপনি অন্তর থেকে কাউকে চান, জেনে রাখুন সেই মানুষটিও আপনাকে ভেবেই ঘুমাতে যায়। ”

৭.“ কাউকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এই ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়। ”

হুমায়ুন আহমেদের প্রেম ও ভালোবাসা বিষয়ক উক্তি

৮.” যে ভালবাসা যত গোপন,সেই ভালবাসা তত গভীর। ”

৯ ” কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই। ”

১০.” প্রত্যেক ভালবাসায় দুইজন সুখী হলেও তৃতীয় একজন অবশ্যই কষ্ট পাবেই, এটাই হয়তো প্রকৃতির নিয়ম। ”

১১. ” ভালোবাসার মাঝে হালকা ভয় থাকলে, সেই ভালোবাসা মধূর হয়। কেননা, হারানোর ভয়ে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা আরো বেড়ে যায়। ”

১২. “ যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা। ”

১৩. ” বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভিতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে। ”

১৪. ” যার রাগ বেশি সে নীরবে অনেক ভালোবাসতে জানে, যে নীরবে ভালোবাসতে জানে তার ভালোবাসার গভীরতা বেশি, আর যার ভালোবাসার গভীরতা বেশি তার কষ্টও অনেক বেশি। ”

হুমায়ূন আহমেদ এর বিখ্যাত উক্তি

১৫. ” করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্থ করে দেয়। ”

১৬. ” গভীর প্রেম মানুষকে পুতুল বানিয় দেয়। প্রেমিক প্রেমিকার হাতের পুতুল হন কিংবা প্রেমিকা হয় প্রেমিকের পুতুল। দুজন এক সঙ্গে কখনো পুতুল হয় না। কে পুতুল হবে আর কে হবে সূত্রধর তা নির্ভর করে মানসিক ক্ষমতার উপর। মানসিক ক্ষমতা যার বেশী তার হাতেই পুতুলের সুতা। ”

১৭. “ চট করে কারও প্রেমে পড়ে যাওয়া কোনো কাজের কথা না। ”

হুমায়ুন আহমেদের নারী নিয়ে কিছু উক্তি

১৮. ” কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মত। ”

১৯. ” মেয়েদের তৃতীয় নয়ন থাকে। এই নয়নে সে প্রেমে পড়া বিষয়টি চট করে বুঝে ফেলে। ”

২০. ” প্রতিটা মেয়ে হয়ত তার স্বামীর কাছে রানী হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু প্রতিটা মেয়েই তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে। ”

২১. “একটি ছেলে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝা যায় ছেলেটি মিথ্যা বলছে। কিন্তু একটি মেয়ে যখন মিথ্যা বলে তখন বোঝার উপায় নেই মেয়েটি মিথ্যা বলছে। ”

২২. “ মেয়েরা গোছানো মানুষ পছন্দ করে না। মেয়েরা পছন্দ করে অগোছালো মানুষ। ”

২৩. ” রূপবতী নারীদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে নেই । প্রত্যাখ্যান করলে অভিশাপ লাগে। রূপের অভিশাপ । রূপ তখন ধরা দেয় না । রূপের অভিশাপে পরা ভয়াবহ ব্যাপার। ”

২৪.” অতিরিক্ত রূপবতীরা বোকা হয়, এটা জগতের স্বঃতসিদ্ধ নিয়ম। ”

হুমায়ুন আহমেদের অনুপ্রেরণামূলক কিছু উক্তি

২৫.” পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে। “

২৬. ” সবাই তোমাকে কষ্ট দিবে, কিন্ত তোমাকে এমন একজনকে খুজে নিতে হবে, যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে। “

২৭. ” কিছু কিছু মানুষ ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়ে, আবার কারো কারো কাছে ভাগ্য আপনি এসে ধরা দেয়। “

২৮. ” তুমি একটা খারাপ কাজ করেছো তার মানে তুমি একজন মানুষ, তুমি সেই খারাপ কাজটার জন্য অনুতপ্ত তার মানে তুমি একজন ভাল মানুষ। “

২৯. ” বেঁচে থাকার মত আনন্দ আর কিছুই নেই। কত অপূর্ব দৃশ্য চারিদিকে। মন দিয়ে আমরা কখনো তা দেখি না। যখন সময় শেষ হয়ে যায়, তখনি শুধু হাহাকারে হৃদয় পূর্ণ হয়। “

৩০. ” মানুষ শুধু যে মানুষের কাছ থেকে শিখবে তা না। পশু পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। “

৩১. ” কখনো কখনো তোমার মুখটা বন্ধ রাখতে হবে। গর্বিত মাথাটা নত করতে হবে এবং স্বীকার করে নিতে হবে যে তুমি ভুল। এর অর্থ তুমি পরাজিত নাও, এর অর্থ তুমি পরিণত এবং শেষ বেলায় জয়ের হাসিটা হাসার জন্য ত্যাগ স্বীকারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। “

৩২. ” মানুষ ট্রেনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়। “

৩৩. “ মনে রেখো, আজকের দিনটিই তোমার সেই ভবিষ্যৎ যা নিয়ে তুমি গতকাল চিন্তিত ছিলে। ”

৩৪. ” জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না। কারন,যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সেই তোমাকে ঠকাবে। ”

৩৫. ” তুমি যখন ভাল করতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা করতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমার শত্রু জন্মাবে। ”

হুমায়ূন আহমেদের জীবনদর্শন বিষয়ক কিছু উক্তি

৩৬. ” অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে। ”

৩৭. “ এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই। ”

৩৮. “ পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিনে-এ আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সেজন্যই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটা। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রং এই তিনের মিশ্রণ। ”

৩৯. “ বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়। ”

৪০. “ কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে । যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ। ”

৪১.” প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে। ”

৪২. ” আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবণতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নীচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে। ”

৪৩.“ সেই বেশী হাসে, যে গোপনে কাঁদে । সেই বেশী নিজেকে হ্যাপি দেখায়, যে নীরবে একা থাকে। সেই বলে সুখের কোন অভাব নেই, যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু নাই। ”

৪৪. “ অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দূর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। ”

৪৫. “ খুব বুদ্ধিমান মানুষদের এটা একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি কথা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরা ধরা পড়ে। ”

৪৬. “ মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে, যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না। ”

৪৭. “ মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে। ”

৪৮. “ সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না। ”

৪৯. “ এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্রতো আর কিছু নেই । এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি- সব মালিন্য কেটে যায়। ”

৫০. “ আয়না দেখলে আয়নার সামনে দাড়াতে ইচ্ছা করে । খুবই ক্ষুদ্র ইচ্ছা এবং নির্দোষ ইচ্ছা । তবু অতি ক্ষুদ্র ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে নেই। একবার প্রশ্রয় দিলে সব ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে মন চাইবে। ”

৫১.“ একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। ”

৫২.“ তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও, সত্য সত্যই থেকে যাবে আর মিথ্যা হবে না। সত্য আসলেই সুন্দর। ”

৫৩.“ হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায় । সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই, কি যেন নাই। ”

৫৪.“ মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক। ”

৫৫.“ আবেগ প্রবণ মানুষ খুব বোকা হয়ে থাকে। তারা খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে। তাই তারা প্রতারিত হয় বেশি, কষ্টও পায় বেশি। ”

৫৬.“ অনেক কিছুই বই পড়ে শেখা যায় না। যে কোনোদিন মিষ্টি খায় নাই, সে কি কোনো বই পড়ে বুঝতে পারবে মিষ্টির স্বাদ কী ! যে কোনোদিন লাল রঙ দেখে নাই, বই পড়ে সে কি বুঝবে লাল রঙ কী ? ”

৫৭. ” বাবা-মা’র প্রথম সন্তান হচ্ছে চমৎকার একটি জীবন্ত খেলনা। এই খেলনার সবই ভালো। খেলনা যখন হাসে, বা-মা হাসে। খেলনা যখন কাঁদে বাবা-মা’র মুখ অন্ধকার হয়ে যায়। “

৫৮. ” মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্রপূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন। “

৫৯. “ শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না । তারপরেও সব মানুষই কোনও – না – কোনও সময় অনুভব করে তার হাত – পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার – বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল । দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে । এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায়। ”

৬০.” পৃথিবীতে নিজে ভালো থাকতে চাইলে স্বার্থপর হয়ে যাও, আর মানুষের কাছে ভালো হয়ে থাকতে চাইলে নিঃস্বার্থ হও। “

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি নারী | হুমায়ূন আহমেদ এর উক্তি ভালোবাসা। আশা করি আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি আপানাদের ভালো লেগেছে। যদি ভালো লাগে তাহলে নিচে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আর এই রকম নিত্য নতুন ঊক্তি পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইট টি ভিজিট করুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ