মালপিজিয়ান অঙ্গ কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মালপিজিয়ান অঙ্গ কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মালপিজিয়ান অঙ্গ কি

মালপিজিয়ান অঙ্গ কিমালপিজিয়ান অঙ্গ কি

মি. সালাম প্রস্রাবের সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যান। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, আপনার দেহের মূত্র তৈরির অঙ্গ ঠিকমত কাজ করছে না। ডাক্তার তাকে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করেন। 

ক. ইউরোক্রোম কী?

খ. মালপিজিয়ান অঙ্গ কি?

গ. উদ্দীপকের অঙ্গটির আণুবীক্ষণিক এককের গঠন বর্ণনা করো ।

ঘ. ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মি. সালামের কী করণীয়? মতামত দাও ।

প্রশ্নের উত্তর

. ইউরোক্রোম হলো এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ যার উপস্থিতিতে মূত্র স্বাভাবিক হলুদ বা খড় রং প্রাপ্ত হয় 

. নেফ্রনের সম্মুখ ভাগকে মালপিজিয়ান বডি বা মালপিজিয়ান অঙ্গ বলে। কর্টেক্স অঞ্চলে অবস্থিত এটি প্রায় ০.২ মিলিমিটার ব্যাসের একটি গোলাকার অংশ। বোম্যান্স ক্যাপসুল বা রেনাল ক্যাপসুল এবং গ্লোমেরুলাস সমন্বয়ে মালপিজিয়ান অঙ্গ গঠিত।

. মি. সালামের দেহের যে অঙ্গটি ঠিক মতো কাজ করছে না তা বৃক্ক এবং এর আণুবীক্ষণিক একক হলো নেফ্রন।

দেহের প্রতিটি নেফ্রন রেনাল করপাসল এবং রেনাল টিউব্যুল নিয়ে গঠিত। রেনাল করপাসল আবার গ্লোমেরুলাস ও বোম্যান্স ক্যাপসুল এই দুটি অংশ নিয়ে গঠিত। বোম্যান্স ক্যাপসুলটি দ্বিস্তরবিশিষ্ট পেয়ালার মতো প্রসারিত একটি অংশ। 

এতে একগুচ্ছ কৈশিক জালিকা থাকে (প্রায় ৫০টি)। এই জালিকাগুলো আবার সূক্ষ্ম রক্তজালিকা তৈরি করে।  ইফারেন্ট আর্টারিওল সৃষ্টির মাধ্যমে জালিকার কৈশিক নালিকাগুলো ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে আসে। 

গ্লোমেরুলাস ছাঁকনির মতো কাজ করে রক্ত থেকে পরিস্রুত তরল উৎপন্ন করে। বোম্যান্স ক্যাপসুলের অক্ষীয়দেশ থেকে সংগ্রাহী নালি পর্যন্ত চওড়া নালিটি হলো রেনাল টিউব্যুল । 

প্রতিটি রেনাল টিউব্যুল তিনটি অংশে বিভক্ত যথা- গোড়াদেশীয় প্যাচানো নালিকা, হেনলির লুপ ও প্রান্তীয় প্যাঁচানো নালিকা ।

ঘ. মি. সালামের মূত্র তৈরির অঙ্গ অর্থাৎ বৃক্ক ঠিক মতো কাজ করছে না । ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে, ডাক্তার মি. সালামকে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও চিকিৎসা প্রদান করেন। 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মি. সালামের বৃক্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য নিম্নলিখিত নিয়ম মেনে চলা উচিত:

– দৈনিক ৮ গ্লাস বা ২ লিটারের বেশি পানি পান করা ।

- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ।

- উচ্চ রক্তচাপ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা।

-ধূমপান ত্যাগ করা ।

-ব্যথা নিরাময়ের ঔষধ পরিহার করা।

-নিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করা ।

এই দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চললে মি. সালাম বৃক্কের সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভ করবে। আমার মতে ডাক্তারের দেয়া পরামর্শগুলো মি. সালামের মেনে চলা উচিত

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মালপিজিয়ান অঙ্গ কি

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মালপিজিয়ান অঙ্গ কি যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ