বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর

বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর
বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর

বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর

  • বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য তুলে ধর ৷
  • বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসরত ও রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত্য প্রদর্শনকারী জনগোষ্ঠীই নাগরিক। নাগরিকত্ব অর্জনের পদ্ধতিকে ২টি ভাগে ভাগ করা যায়। 

যথা : 

(i) জন্মনীতি ও 

(ii) জন্মস্থাননীতি। 

একেক দেশ একেক পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব প্রদান করে থাকে। যেমন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মস্থান নীতির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দিয়ে থাকে। 

আবার বাংলাদেশে জন্মনীতি ও জন্মস্থান নীতির ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে। এ সকল পদ্ধতির বাইরেও রাজনৈতিক বিবেচনায় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে ।

বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য : বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একজন বাংলাদেশি পুরুষের বিদেশি স্ত্রী তার স্বামীর নাগরিকত্ব লাভ করে থাকে । 

অন্যদিকে একজন বাংলাদেশী স্ত্রীর বিদেশি স্বামী বাংলাদেশি নাগরিকত্ব পায় না ১৯৫১ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ১৯৭২ সালের বাংলাদেশে নাগরিকত্ব আইন [টেমপোরারি প্রভিশন] উভয় ক্ষেত্রেই এই বৈষম্য জিইয়ে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশি পিতা এবং বিদেশি মাতার সন্তানেরা বাংলাদেশের নাগরিক রূপে গণ্য হলেও বিদেশি পিতার বাংলাদেশি মায়ের সন্ত ানেরা নাগরিকত্বের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। 

১৯৯৭ সালের মালিকানা বনাম রাষ্ট্র মামলার আদালত দেশের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন সুপারিশ করে এবং একই সাথে আদালত মা এবং বিদেশি পিতার নাবালক সন্তানের নাম মায়ের পাসপোর্টে অনুমোদন দিলেও নাগরিকত্ব আইনের পরিবর্তন বা পাসপোর্টে নাবালক সন্তানের নাম সংযুক্ত পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে নারী ও পুরুষ বৈষম্য অদ্যাবধি পর্যন্ত বিদ্যমান। এ সকল বৈষম্য দূরীকরণে এখন পর্যন্ত কোন দৃষ্টিগ্রাহ্য পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করেনি। তবে জাতীয় আয়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের অবদান এবং সরকার কাঠামোতে নারীদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ গ্রহণের আশার সঞ্চার করেছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশে বিবাহসূত্রে নারীর নাগরিকত্ব বৈষম্য উল্লেখ কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ