বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ
বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ

বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ

  • বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতার চিত্র তুলে ধর
  • বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে লেখ ৷

উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশে লিঙ্গভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা হেতু লিঙ্গভিত্তিক শ্রম বিভাজনে নারীদের গৃহস্থালির কাজ এবং পুরুষদের পাবলিক গণ্ডিতে কাজ করতে দেখা যায়। গৃহস্থালির কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও নারীরা অন্যান্য উপার্জনমূলক কাজেও সম্পৃক্ত থাকেন। 

নারীরা কৃষি, শিল্প ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে নীরবে অবদান রেখে চলেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ও উন্নয়নে নারীর অংশিদারিত্ব বৃদ্ধি পেলেও কর্মক্ষেত্রে নারী গতিশীলতা ও নারী-পুরুষ শ্রম অসমতা এখনও বিদ্যমান ।

→ কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা : পূর্বের তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেলেও পারিশ্রমিক পাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। 

কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বিষয়ক আইএলও প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৫ সালে বিশ্বের ১৮৯টি দেশ চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে নারী পুরুষ সমতা অর্জনে যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তার অনেক লক্ষ্যই এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নারীরা এখনও অনেক বেশি কাজ করেও তারা পুরুষের তুলনায় কম পারিশ্রমিক পাচ্ছে। 

কর্মক্ষেত্রে নারীদের অবস্থা নিয়ে আইএলও-এর মহাপরিচালক গাই বাইডার বলেন, ২০ বছর আগে নারীরা যে পারিশ্রমিক পেতেন, এখন তারা আগের চেয়ে বেশি পেলেও এ পারিশ্রমিক যে হারে বাড়ার কথা ছিল সে হারে বাড়েনি, বর্তমানে মোট কর্মক্ষম নারীদের ৫২ শতাংশ শ্রমবাজারে আছে। পুরুষের ক্ষেত্রে এই হার ৭৭ শতাংশ। 

১৯৯৫ সালে মোট কর্মক্ষম নারীদের ৫০ শতাংশ শ্রমবাজারে কাজ করতেন অর্থাৎ ২০ বছরে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের মাত্রা বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ। 

শ্রমবাজারে নারী পুরুষের ব্যবধান ২৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারলে ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত ২০টি দেশে নারীদের জন্য অন্তত ১০ কোটি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যের নেতৃত্বেও নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। 

বিশ্ব ব্যবসা বাণিজ্যের ৩০ শতাংশ নেতৃত্ব এখন নারীরা দিয়ে থাকেন। তবে এ সকল ব্যবসা বাণিজ্যের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের। বহুজাতিক কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদে নারীদের উপস্থিতির হার মাত্র ১৯ শতাংশ ।

আরও হতাশাজনক বিষয় হলো বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতৃত্বাধীন পর্যায়ে নারীদের উপস্থিতি মাত্র ৫ শতাংশ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও কম। পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষের তুলনায় ২৩ শতাংশ কম মজুরি পায়। আইএলও (ILO) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এই মজুরি বৈষম্য দূর করতে ২০৮৬ সাল অথবা আরও ৭১ বছর সময় লাগতে পারে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দেশের জাতীয় আয়, মোট জাতীয় উৎপাদন এবং জাতীয় উন্নয়নে নারী অংশীদারিত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও নারীদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে এখনও পরিবর্তন আসেনি। ফলে নারী শ্রমকে নারীর এবং আয়কে ভিন্নভাবে দেখা হয়। 

নারী নেতৃত্বের অধীন কাজ করাকে পুরুষের অধস্তনতা বা মর্যাদাহানি বলে গণ করা হয় । ফলে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গীয় অসমতা এখনও বিরাজমান ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা বলতে কি বোঝ । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ