স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায়

স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায় - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায় । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

স্ত্রীধন কি  স্ত্রীধন কাকে বলে  স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায়

স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায়

উত্তর : ভূমিকা : হিন্দু ধর্মে অধিকার ও মর্যাদা পুরুষের চেয়ে অনেক কম। এ ধর্মে নারীর সম্পত্তির কোন অধিকার নেই । তবে হিন্দু ধর্ম অনুসারে নারীর উত্তরাধিকার লাভের অন্যতম নীতি হলো স্ত্রীধন । 

সাধারণত হিন্দু আইনে উত্তরাধিকার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয় । তার একটি হলো দায় ভাগ এবং অন্যটি হলো মিতক্ষরা । আর দায়ভাগ উত্তরাধিকার নীতির একটি দিক হলো স্ত্রীধন

→ স্ত্রীধন : হিন্দু আইনে স্ত্রীধন হিন্দু নারীদের এক ধরনের বিশেষ অধিকার। যে সমস্ত সম্পত্তিতে নারীদের চূড়ান্ত মালিকানা রয়েছে অর্থাৎ যে সমস্ত সম্পত্তিতে নারী সম্পূর্ণ স্বত্বের অধিকারী তাকে স্ত্রীধন বলা হয়। 

এসব সম্পত্তি নারীরা তাদের ইচ্ছানুযায়ী ভোগ দখল, দান, উইল, বিক্রি ইত্যাদি করতে পারে এবং এক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধা থাকে না । হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী একজন নারী বিধবা অবস্থায় কিংবা কুমারী অবস্থায় উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে কোনো সম্পত্তি অর্পণ করলে তা স্ত্রীধন হিসেবে গণ্য হবে। 

একজন হিন্দু নারী বিবাহিত অবস্থায় উত্তরাধিকার সূত্র ব্যতীত অন্য কোনো উপায়ে কোনো সম্পত্তি অর্জন করলেও তা স্ত্রীধন হিসেবে গণ্য হবে। পিতা মাতা বা নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত দানসামগ্রী (উত্তরাধিকারী সূত্রে স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি ব্যতীত) এবং তৃতীয় ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত দানসামগ্রী (কন্যা যাত্রার সময়) স্ত্রীধন বলে গণ্য হবে। 

স্ত্রীর নিজস্ব সম্পত্তি বা স্ত্রীধন সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে স্ত্রীর পূর্ণ অধিকার রয়েছে। সেসব সম্পত্তি স্ত্রী যেকোনোভাবে ব্যবহার করতে পারবে। 

স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীধন নিজস্ব উত্তরাধিকারীর কাছে যাবে। স্ত্রীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য স্ত্রী তার স্বামীর সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে না। এছাড়া স্ত্রীধন এর উত্তরাধিকার থেকেও বঞ্চিত হবে না ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হিন্দু আইনে হিন্দু নারীর অধিকার হলো স্ত্রীধন। কিন্তু বাস্তবতা অনেক ভিন্ন। হিন্দু নারীরা প্রকৃতপক্ষে অধিকারবিহীনভাবে অধিকার ভোগ করছে। তারা অনেক সময় নারীদের স্ত্রীধনও ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে না। 

যদিও ভারতে একটি আইনে ১৯৫৬ সালে আইন সংস্কার করে পিতার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিতে ছেলে-মেয়ের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই আইনের সংযোজন বা বাস্তবতা নেই। ফলে হিন্দু নারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। 

তারা তাদের অধিকার ভোগ করতে পারছে না। তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করার জন্য সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজে সচেতন নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্ত্রীধন কি | স্ত্রীধন কাকে বলে | স্ত্রীধন বলতে কী বোঝায় । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ