মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর
মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর

মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর

  • অথবা, মার্কিন সিনেটের ২টি ক্ষমতা উল্লেখ কর। 
  • অথবা, মার্কিন সিনেটের গুরুত্বপূর্ণ, কার্যাবলি বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষের নাম সিনেট। সিনেটকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রতিনিধিমূলক সভা হিসেবে গণ্য করা হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রীয় নীতি অনুসারে অঙ্গরাজ্যগুলো সমপ্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সিনেট গঠিত হয়। আয়তন ও জনসংখ্যা নির্বিশেষে প্রত্যেক অঙ্গরাজ্যে ২ জন করে প্রতিনিধি সিনেটে প্রেরণ করে। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অঙ্গরাজ্যের সংখ্যা ৫০। তাই সিনেটের মোট সদস্য সংখ্যা হলো ১০০। মার্কিন সিনেটে এই সমপ্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা অনেকের মতানুসারে অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক ।

→ ক্ষমতা ও কার্যাবলি : সিনেট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ হলেও এর কর্তৃত্ব ও মর্যাদা দ্বিতীয় কক্ষ অপেক্ষা অনেক বেশি। 

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহের উচ্চকক্ষের মধ্যে মার্কিন সিনেট সর্বাধিক শক্তিশালী হিসেবে সর্বজনবিদিত। নিম্নে মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :

১. আইনবিষয়ক ক্ষমতা : সাধারণ বিলের ক্ষেত্রে মার্কিন কংগ্রেসের দুটি কক্ষ সিনেট ও প্রতিনিধি সভা সমক্ষমতাসম্পন্ন। সাধারণ বিল প্রতিনিধি সভার মতো সিনেটেও উত্থাপিত হতে পারে। আবার কোনো বিল পাসের জন্য প্রতিনিধি সভার সমর্থনই যথেষ্ট নয়, সিনেটের অনুমোদনও আবশ্যক।

২. শাসনবিষয়ক ক্ষমতা : সরকারি কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও মার্কিন সিনেটে ব্যাপক ক্ষমতা ভোগ করে। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, পদস্থ কর্মচারী, রাষ্ট্রদূত, বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রভৃতি উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে ন্যস্ত থাকে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাসন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন পদ যে সমস্ত নিয়োগ করেন তা সিনেটের অনুমোদন সাপেক্ষ।

৩. পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক ক্ষমতা : সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির মতামতকে আগ্রাহ্য করে রাষ্ট্রপতির পক্ষে বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ে নীতিনির্ধারণ বা তা কার্যকর করা সহজ ব্যাপার নয়।

 রাষ্ট্রপতির পক্ষে সাধারণত বৈদেশিক ও সামরিক বিষয়ে সিনেটের উক্ত কমিটি ও নেতৃদলীয় সিনেটের সঙ্গে পরামর্শ করে থাকেন। কোনো বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বিষয়ে আলাপ আলোচনা করার জন্য সিনেট রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করতে পারে।

৪. বিচার বিষয়ক ক্ষমতা : সিনেট গুরুত্বপূর্ণ বিচারবিষয়ক ক্ষমতার অধিকারী। মার্কিন রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি সভা অভিযোগ আনতে পারে।

 সিনেটই এই অভিযোগের অনুসন্ধান ও বিচার করে। ইমপিচমেন্ট পদ্ধতিতে বিচার করার ক্ষমতা একমাত্র সিনেটেরই আছে। এই রকম বিচারকার্যসম্পাদনের সময় সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি সভাপতিত্ব করে।

৫. নির্বাচনবিষয়ক ক্ষমতা : মার্কিন সংবিধান অনুসারে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে কেউ প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে সিনেট অধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্ত প্রথম দুজন প্রার্থীর মধ্যে একজনে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত করে না।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মার্কিন শাসনবস্থায় সিনেটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; ক্ষমতা ও কার্যাবলির বিচারে সিনেট প্রতিনিধিসভার ঊর্ধ্বে অবস্থিত। 

পৃথিবীর অন্য কোনো দেশের আইনসভার উচ্চকক্ষের হাতে এত বেশি ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়নি। তাই মার্কিন সিনেটকে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী উচ্চকক্ষ বলে আখ্যায়িত করা হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর। যদি তোমাদের আজকের মার্কিন সিনেটের ক্ষমতা ও কার্যাবলি বর্ণনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ