আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন।

আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর
আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর

আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর

  • অথবা, ফরমান আওরঙ্গজেবের হিন্দু বিরোধী নীতি বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : মুঘল বংশের ইতিহাসে একমাত্র আওরঙ্গজেব ছিলেন খাঁটি মুসলমান। তিনি মুসলমানদের উপর কোনো প্রকার নির্যাতন করেননি। 

এজন্য তৎকালীন মৌলবাদীরা আওরঙ্গজেবকে 'জিন্দাপীর' উপাধি দিয়েছিলেন। অপরদিকে তিনি হিন্দুদের উপর নির্যাতন করেন। তার 'নির্যাতনের ফলে হিন্দুরা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলনও করেছে।

→ আওরঙ্গজেবের হিন্দুধর্ম বিরোধী নীতি : জিন্দাপীর আওরঙ্গজেব সিংহাসনে আরোহণের পর তার ধর্মীয় নীতি হিসেবে জোরপূর্বক দারুল হারবকে দারুল ইসলামে পরিণত করার চেষ্টা করেন। নিম্নে হিন্দুধর্ম বিরোধী ফরমানগুলো আলোচনা করা হলো :

১. বিভিন্ন উৎসব নিষিদ্ধকরণ : ১৬৫৮ সালে সিংহাসনে আরোহণের পর আওরঙ্গজেব হিন্দুদের উপর কঠোর হন। তিনি হিন্দুদের আচার ব্যবহারের উপর কঠোর দৃষ্টি রাখেন। তিনি হিন্দুদের হোলি, দিওয়ালি ও বসন্তের উৎসব নিষিদ্ধ করেন।

২. মন্দির ধ্বংস : ১৬৬৯ সালে তিনি এক ফরমান দ্বারা হিন্দুদের মন্দির ও বিদ্যালয়গুলো ভাঙার জন্য প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের নির্দেশ দেন। - ঐতিহাসিক মুস্তাখাব-ই-লুকরের মতে, আওরঙ্গজেব এ নির্দেশ দেন যে, যে সকল মন্দির সরকারি অনুমতি ছাড়া হয়েছে তা ভাঙা হবে।

৩. হিন্দুমেলা যাত্রা নিষিদ্ধকরণ : সম্রাট আওরঙ্গজেব | হিন্দুদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হিন্দুদের মেলা পালন করার প্রতি অত্যন্ত কঠোর হন। তিনি হিন্দুদের সকল প্রকার হিন্দুমেলা যাত্রা নিষিদ্ধ করেন এবং এভাবে কঠোর আইন জারি করেন।

৪. জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন : সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৭৯ সালে হিন্দুদের উপর জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেন। তবে এ কর প্রদান থেকে কিছু লোক অব্যাহতি পেত। 

যেমন- নারী, অন্ধ, ক্রীতদাস, ব্রাহ্মণ, বিকলাঙ্গ, ১৪ বছরের কম বয়স্ক শিশু প্রভৃতি। অমুসলমানদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী জিজিয়ার হারের তারতম্য করা হতো। 

তিনি শুধু গুজরাট থেকে জিজিয়া বাবদ ৪ লক্ষ টাকা বছরে পেতেন। ঐতিহাসিক খাকী খানের মতে, সম্রাট আওরঙ্গজেব ইসলামের প্রসার ও বিধর্মীতাকে দমন করার উদ্দেশ্যে জিজিয়া কর চাপান। যে সকল রাজপুত মুঘল সেনাদলে কাজ করতো তাদের জিজিয়া থেকে অব্যাহতি দেয়া হতো।

৫. হিন্দুদের প্রতিক্রিয়া : সম্রাট আওরঙ্গজেব হিন্দুদের উপর, তাদের ধর্মের উপর আঘাত হানার কারণে এবং তাদের উপর জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তনের কারণে হিন্দুরা আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তার শাসনামলে জাঠ, মারাঠা, শিখ, রাজপুত, সাতনামী সকলেই বিদ্রোহী হয়েছিল।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সম্রাট আওরঙ্গজেব অমুসলমানদের উপর যে সকল ফরমান জারি করেন তার প্রতি হিন্দুরা বিদ্রোহী হলেও তা প্রকৃতপক্ষে অত্যাচারিত ছিল না। 

আওরঙ্গজেবের দক্ষতার উপর বর্ণনায় জনৈক ঐতিহাসিক যথার্থ বলেছেন, “সম্রাট আওরঙ্গজেব না থাকলে রাষ্ট্রতরী হিন্দু প্রতিবাদের পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা খেয়ে অনিবার্যভাবে ডুবে যেত।”

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের আওরঙ্গজেবের হিন্দু ধর্ম বিরোধী নীতি আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ