জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর । আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন। 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর
জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর

জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর

অথবা, জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ বর্ণনা কর । 

উত্তর : ভূমিকা : জনসংখ্যা যেকোনো দেশের জন্য অমূল্য সম্পদ। জনসংখ্যা অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে আবার নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন সমস্যা সৃষ্টি করে তেমনি অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত করে। 

সামাজিক কারণে যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তেমনি অর্থনৈতিক নানা কারণেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় । জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত সমস্যা দীর্ঘদিন থেকেই চলে আসছে এবং আছে। 

একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অন্যতম উপাদান হলো শ্রমশক্তি । আর শ্রমশক্তির উৎকৃষ্ট উদাহরণ হলো জনসংখ্যা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিদ্যমান ।

→ জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণসমূহ : জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে যে সকল অর্থনৈতিক কারণ বিদ্যমান নিম্নে তা আলোচনা করা হলো :

১. জীবনযাত্রার মান নিম্ন : জীবনযাত্রার মান বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে । উদাহরণস্বরূপ মৌলিক চাহিদাসমূহ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদির উপর। এসব সুবিধাদি বাংলাদেশে অত্যন্ত নিম্ন পর্যায়ের। এদেশের একটা অংশ চরম দারিদ্র্যতার মাঝে বসবাস করে। 

এদেশের সন্তান লালন-পালন খরচ ব্যয়ভার কম। তাছাড়া অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের লালন-পালনের, শিক্ষিত করার প্রতি তেমন সচেতন নয়। ফলে তারা পরিবারে সন্তান কম রাখার প্রতি তেমন খেয়াল রাখে না ।

২. কৃষিনির্ভর অর্থনীতি : বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে অন্যান্য খাতের তুলনায় এ খাত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিকাজের জন্য অধিক শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। এ শ্রমিকের সংখ্যা মেটাতে গিয়ে দেখা যায় অনেক পরিবার তার নিজের কৃষিকাজের সুবিধার জন্য অধিক সন্তান জন্ম দেয় যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির নামান্তর ।

৩. দরিদ্রতা : বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক চরম দরিদ্রতার মাঝে বাস করে। এদেশের দরিদ্র পরিবারগুলো শিক্ষা থেকে অনেক পিছিয়ে। তাছাড়া ক্ষুধা দরিদ্র পরিবারে সন্তান প্রজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। সুতরাং শিক্ষার অভাব, দরিদ্রতা, অপরিকল্পিত জীবযাপন জন্মহারের জন্য দায়ী।

৪. মহিলাদের কর্মসংস্থানের অভাব : বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। নারীরা শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনও ছেলেদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে বিশেষ করে গ্রামীণ মেয়েরা। নারীদের কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে সন্তান জন্মদান ও লালন-পালনকেই তাদের অন্যতম কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করে। তাছাড়া তাদের কোনো কাজ না থাকায় গৃহে বেশি সময় দেয় এবং যৌনমিলন বেশি ঘটায় যা অধিক সন্তান জন্ম দেয় ।

৫. বেকার সমস্যা : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এদেশের শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত বিরাট একটা অংশ বেকার সমস্যার মাঝে ডুবে আছে। তারা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করতে পেরে ঘরে বসে থাকে। ফলে দেখা যায় কর্মক্ষম ব্যক্তি কর্মে নিয়োজিত না থাকায় তাদের প্রজনন ক্ষমতা অনেক বেশি। ফলে সন্তান জন্ম দেয় ।

৬. নির্ভরশীলতা : আমাদের দেশে সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের কারণে নির্ভরশীলতার হার অনেক বেশি। পিতামাতা মনে করে বৃদ্ধ বয়সে তাদেরকে সন্তানদের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। তাই তারা অধিক সন্তান জন্ম দেয়। 

দেশে সরকারিভাবে বৃদ্ধ বয়সে কোনো নিরাপত্তা না থাকার কারণে তারা অধিক সন্তান জন্ম দেয় যা সন্তান বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশে ক্রমেই জনসংখ্যা বেড়ে চলছে। অথচ সে হারে সম্পদ ও কর্মসংস্থান বাড়ছে না। ফলে অনেককে বেকার থাকতে হচ্ছে। বেকার সমস্যা প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। তাই জনসংখ্যা এখন সম্পদ না হয়ে আপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের জনসংখ্যা বৃদ্ধির অর্থনৈতিক কারণ সমূহ আলোচনা কর পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ