কৌটিল্যের শাসনতত্ত্ব কি । কৌটিল্যের শাসনতন্ত্র কাকে বলে

কৌটিল্যের শাসনতত্ত্ব কি । কৌটিল্যের শাসনতন্ত্র কাকে বলে
কৌটিল্যের শাসনতত্ত্ব কি । কৌটিল্যের শাসনতন্ত্র কাকে বলে

কৌটিল্যের শাসনতত্ত্ব কি । কৌটিল্যের শাসনতন্ত্র কাকে বলে

  • অথবা, কৌটিল্যের শাসনতন্ত্র বলতে কি বুঝ ? 

উত্তর : ভূমিকা : প্রাচীন ভারত যেসব ব্যক্তিরা চিন্তাধারায় বিকাশ লাভ করেছিল তাদের মধ্যে কৌটিল্য অন্যতম। তিনি ছিলেন বাস্তববাদী একজন রাজনীতি বিশেষজ্ঞ। 

রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু তিনি বিশেষ করে তার শাসনতত্ত্ব অর্থশাস্ত্রে আলোচনা করেছেন।

→ কৌটিল্যের শাসনতত্ত্ব : কৌটিল্য তার শাসনতত্ত্বে রাজাকেই বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। রাজাকেই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।

১. রাজা : রাজা সহিংসতা দমন করে ব্যক্তি জীবনের জান ও মাল রক্ষা করবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইন তৈরি করবে। সেই সাথে কৃষি ও শিল্পের সকল আর্থসামাজিক উন্নতি সাধন করবে। ছাত্রদের নিরাপত্তা বিধান ও তাদের সাহায্য করা রাজার দায়িত্ব ।

২. অমাত্যবৃন্দ : রাজাকে বিভিন্ন মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া এবং তাদের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। রাজা প্রশাসনব্যবস্থার মূল দায়িত্ব পালন করেন। 

দক্ষতা ও সততার সাথে জনগণের নিরাপত্তা বিধান এবং তাদের উন্নয়নে কাজ করা, ভাষণ প্রদান, বাগ্মিতা, গল্প বলা ও সহনশীলতা হলো জনগণের প্রতি অমাত্যবৃন্দের কাজ। তাছাড়া অমাত্যদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় হলো প্রজ্ঞা, সততা, সাহস ও আনুগত্য দেখানো ।

৩. দণ্ড : দণ্ড এমন একটি জিনিস এটি প্রত্যেক মানুষকে তার দায়িত্ব ও কর্তব্যকে যথাযথভাবে পালন করতে সাহায্য করে। ফলে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে। এতে মানুষের লোভ লালসা হ্রাস পায়।

→ সমালোচনা : কৌটিল্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজতন্ত্রকে প্রাধান্য দিয়েছেন। বলা যায় তিনি রাজতন্ত্রের অনুসারী ছিলেন। বর্তমানে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় রাজতন্ত্র পূর্ণবীতে চালু আছে মাত্র কয়েকটি দেশে।

উপসংহার : উপরের আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, একটি রাষ্ট্রের শাসন, প্রশাসন, পররাষ্ট্রনীতি, কূটনীতি, ধর্ম, দর্শন কৌটিল্য অত্যন্ত সফলতার সাথে ব্যাখ্যা করেছেন। তবে কৌটিল্যের শাসনব্যবস্থা প্রাচীন ভারতের রাষ্ট্র ব্যবস্থার ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ