মীর জাফরের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল
মীর জাফরের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল |
মীর জাফরের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল
- অথবা, নবাব সিরাজের পরাজয়ের পর মীর জাফরের অবস্থা সম্পর্কে লিখ।
উত্তর : ভূমিকা : নিউটনের তৃতীয় সূত্রে বলা হয়েছে, “প্রত্যেক ক্রিয়ার সম্মুখী ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে।” এটা শুধু মাত্র বস্তু ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এমনটি নয়, রাজনীতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
সিরাজ উৎখাতে পলাশিতে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল। ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে তাদেরও হয়েছিল মর্মান্তিক পরিণতি। কাউকে পাগল হতে হয়েছিল, কারো হয়েছিল অপঘাতে মৃত্যু ।
→ মীর জাফরের শেষ পরিণতি : পলাশি ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান নায়ক ছিলেন মীর জাফর আলী খান।। তিনি পবিত্র কুরআন মাথায় রেখে নবাব সিরাজের সামনে তার পাশে থাকবেন বলে অঙ্গীকার করার পরও বেঈমানী করেছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে ষড়যন্ত্রের মধ্যমণি ছিলেন জগৎশেঠ, মীর জাফর নয়, তিনি ছিলেন ষড়যন্ত্রের শিখণ্ডী। মীর জাফরের শেষ পরিণতি অনেক করুণ হয়েছিল।
তার মৃত্যু হয় অত্যন্ত মর্মান্তিকভাবে। তিনি দুরারোগ্য কুষ্ঠ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। নিখিল নাথ রায় লিখেছেন, “ক্রমে অন্তিম সময় উপস্থিত হলে ১৭৬৫ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি কুষ্ঠ রোগে ৭৪ বছর বয়সে পরলোকগত হন।
তার মৃত্যুর পূর্বে নন্দ কুমার কিরীটেশ্বরীর চরণামৃত তার মুখে প্রদান করা হয়েছিল এবং তাই ছিল তার শেষ জল পান ৷
উপসংহার : পরিশেষে বাংলায় ব্যবহৃত এই কথাটিই বলতে হয়, “পাপ কখনো বাপকেও ছাড়ে না”। সত্যিকার অর্থে তাই যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে।
মীর জাফর সরলমনা নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে যে ভুল করেছিলেন শেষ জীবনে তাকে সে ভুলের মাসুল দিতে হয়েছিল। আর মীর জাফরের করুণ মৃত্যুই তার প্রমাণ ।