কিন্তু, সুখ ভোগ ভাগ্যে নাহি বৎস, তব।" - ব্যাখ্যা কর

কিন্তু, সুখ ভোগ ভাগ্যে নাহি বৎস, তব।" - ব্যাখ্যা কর।
কিন্তু, সুখ ভোগ ভাগ্যে নাহি বৎস, তব। - ব্যাখ্যা কর।
কিন্তু, সুখ ভোগ ভাগ্যে নাহি বৎস, তব।" - ব্যাখ্যা কর।

উত্তর অনুজ লক্ষ্মণের শোকে শোকাকুল রাম দেবতাদের সহযোগিতায় প্রেতপুরীতে স্বর্গদাতা পিতা দশরথের নিকট গিয়ে হাজির হলে দশরথ তাকে দেখে বলেছে যে, স্বর্গে বসবাস করলেও রামের সদা মঙ্গলের জন্য সর্বদা ধর্মরাজে পূজা করে। রাম যে লক্ষ্মণের জীবন ফিরে পেতে এসেছে তা দশরথ জানে। 

তাই রামকে সে বলেছে, লক্ষ্মণের দেহে এখনও প্রাণ রয়েছে। তবে সুগন্ধমাদনগিরির শৃঙ্গভাগ হতে বিশল্যকরণী হেমলতা সংগ্রহ করে নিতে পারলে লক্ষ্মণ জীবন ফিরে পাবে এবং এও বলেছে যে, যমরাজ নিজেই এসে দশরথকে একথা জানিয়ে গেছে। 

রাম যেন তার সহযোগী দ্রুতগামী হনুমানকে সুগন্ধমাদনগিরিতে পাঠিয়ে দেয়। রামকে তার পিতা আশীর্বাদ করে যে, রাম রাবণকে বিনাশ করবে এবং রামের শরে রাবণ সবংশে ধ্বংস হবে। 

সীতাকেও সে ফেরত পাবে, কিন্তু রামের ভাগ্যে সুখ হবে না। ধূপের মত সে পুড়ে পুড়ে তার মাতৃভূমিকে গন্ধ বিলাবে। রামের ললাটে এ দুর্ভোগের জন্য রাম দায়ী নয়, দায়ী দশরথ নিজেই।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ