উনিশ নং কবিতা অবলম্বনে রাধার বিরহ দশার বর্ণনা দাও
উনিশ নং কবিতা অবলম্বনে রাধার বিরহ দশার বর্ণনা দাও
অথবা, “ভ্রমরা ভ্রমরী সমে করে কলাহল।”- এখানে কার কথা বলা হয়েছে?
![]() |
উনিশ নং কবিতা অবলম্বনে রাধার বিরহ দশার বর্ণনা দাও |
উত্তর : কৃষ্ণ বিরহে রাধা কদমতলে বসে অনবরত অশ্রু বিসর্জন করছে। চারদিকে ঘোর অন্ধকার, কোথাও কৃষ্ণকে দেখা যাচ্ছে না। পৃথিবী বিদীর্ণ হলে রাধা তাতে প্রবেশ করে আপনাকে লুকাবে। বড়ায়িকে রাধা বলছে যে, এ যৌবন রাখতে পারবে না।
কানাইকে দেখতে সারাক্ষণ তার মন কাঁদে। ভ্রমর-ভ্রমরী মনের সুখে গুঞ্জন করছে। আমগাছের ডালে বসে কোকিল কুহু ধ্বনি করছে। কোকিলের গান রাধার নিকট মোটেই সুখদায়ক নয়; যমদূতের তাড়নার মতো রাধার চিত্তকে পীড়া দিচ্ছে। যশোদার পুত্র কৃষ্ণ কবে রাধার এ দুঃখ দূর করবে। বড়ো আশায় রাধা বনে এসেছিল, কিন্তু তবু কৃষ্ণ দর্শন মিলল না।
দিনে দিনে রাধার উন্নত যৌবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। বসন্ত সমরে মলয় পবন প্রবাহিত হয়, বিকশিত ফুলের গন্ধ বহুদূর বাতাসে ভেসে বেড়ায়। রাধা বড়ায়িকে অনুরোধ করে কৃষ্ণকে এনে দিতে। কৃষ্ণ রাধার মনোব্যথা কেন বুঝতে পারছে না, এটাই রাধার দুঃখ ।