ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৪ | কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করব

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৩ | অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম passport check bd online - আজকের পোস্ট টাইটেল দেখে হয়তো বুঝে গেছেন। আজকে আমরা জানতে চলেছি অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম। 

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

পাসপোর্ট কি?

আপনি যদি পৃথিবীর কোন দেশে বৈধ ভাবে যেতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পাসপোর্ট করতে হবে। পাসপোর্ট ছাড়া আপনি পৃথিবীর কোনো দেশেই যেতে পারবেন না। 

ধরেন আপনি যদি কোন দেশে যান তাহলে আপনার পরিচয় কি? আপনার পরিচয় তুলে ধরার জন্যই এই পাসপোর্ট।

আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিশ্চয় জানেন আপনার নাগরিকতার পরিচয় বহন করে আপনার ভোটার আইডি কার্ড। 

এই ভোটার আইডি কার্ড যদি অন্য দেশে নিয়ে যান তাহলে আপনার এই ভোটার আইডি কার্ডের কোন গুরুত্ব নেই, সেখানে পাসপোর্ট এর গুরুত্ব অনেক।

আপনি যদি বৈধভাবে বা সঠিক ভাবে বিদেশ যেতে চান তাহলে পাসপোর্ট ছাড়া কখনোই যেতে পারবেন না। দেশের একজন সু নাগরিক হিসেবে বিদেশ যাওয়ার আগে বৈধভাবে পাসপোর্ট তৈরি করা উচিত।

যদি হঠাত কখনো আপনার বিদেশ যাওয়ার দরকার হয় তাহলে এত কম সময়ে পাসপোর্ট বানানো সম্ভব না। 

প্রত্যকের উচিত আগে থেকে একটা পাসপোর্ট বানিয়ে রাখা দরকার কারন বলা যায়না হঠাত অসুস্থতার কারনে চিকিৎসার জন্য বা  বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনার জন্য অথবা চাকরির জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন পরে তখন এই পাসপোর্ট টি অনেক কাজে দিবে।

পাসপোর্ট দুই ধরনের যথাঃ

০১। হাতে লেখা পাসপোর্ট

০২। মেশিন রেডিবেল পাসপোর্ট

হাতে লেখা পাসপোর্ট

হাতে লেখা পাসপোর্ট অনেক পুরনো একটি পদ্ধতি। হাতে লেখা পাসপোর্ট টি ২০১৯ সালের শেসের দিক পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য ছিল। বর্তমানে এই হাতে লেখা পাসপোর্ট টি বন্ধ রয়েছে। যাদের হাতে লেখা পাসপোর্ট রয়েছে তারা নতুন করে তা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এ রুপান্তর করছে।

মেশিন রেডিবেল পাসপোর্ট

মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে আবেদনকারীর তথ্য জলছাপের নিচে গোপন ভাবে লুকায়িত থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে একটি মেশিন রিডেবল জোন। 

যার মধ্যে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য এবং তার সকল বিবরণী থাকে। মেশিন রিডেবল জোন শুধুমাত্র মেশিন দিয়েই রিড করা সম্ভব। ফলে ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য তথা নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। 

এছাড়াও এটি মেশিন দিয়ে রিড করা হয় বলে করা হয় বলে ইমিগ্রেশন এর প্রক্রিয়াও অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। 

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৩ | অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

আপনার পাসপোর্টের সকল যাবতীয় তথ্য যেমন পুলিশ ভেরিফিকেশন সঠিকভাবে হয়েছে কিনা, পাসপোর্টটি প্রিন্ট হয়েছে কিনা পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা কি? 

আপনার পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত কিনা এই সকল বিষয় আপনি বর্তমানে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই বের করতে পারবেন। 

সেজন্য আপনাকে বাংলাদেশ পাসপোর্টের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে আপনার পাসপোর্ট নং দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। 

একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে আমাদের অনেক সময় এবং ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে এমন একটি দেশ যেখানে একটি পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে আপনাকে অনেক ধৈর্য্য ধরতে হবে। কেননা একই পাসপোর্ট রিনিউ করার প্রসেস অনেক লম্বা সময়ের হয়ে থাকে। 

একটি পাসপোর্ট পরিপূর্ণভাবে বের হয়ে আসতে সাধারণত ৭ দিন বা ১৫ দিন কিংবা সর্বোচ্চ ২১ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। 

যারা পাসপোর্টের বিষয় একদমই নতুন আর যাদের এই সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই তারা অনেক অল্প সময়ে কাজ আদায় করার জন্য প্রায়ই দালালের খপ্পরে পড়ে থাকে।

তাই অনেকেই পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানার জন্য দালালদের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে আমরা খুব সহজে ঘরে বসেই পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবো। 

আরেকজন আমরা ব্যবহার করবো ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক পোর্টাল। ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক পোর্টাল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা বর্তমান পাসপোর্টের অবস্থা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারবেন। 

অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

১। সর্বপ্রথম আপনি আপনার মোবাইল বা আপনার কম্পিউটারের যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে এই লিঙ্কে ভিজিট করুন অথবা সেখানে টাইপ করুন http://www.passport.gov.bd/। 

২। এটি একটি বাংলাদেশী অথরাইজড সরকারি ওয়েবসাইট। এখানে ঢোকার পর পরই আপনি অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস চেক করার একটি অপশন দেখতে পারবেন। এই Application Status অপশনটিতে ক্লিক করুন।

৩। যখন আপনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন তখন পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে একটি স্লিপে এনরোলমেন্ট আইডি (Enrolment ID) এবং জন্ম তারিখ (Date of Birth) দেওয়া হয়েছিল। 

৪। অ্যাপ্লিকেশান স্ট্যাটাস অপশনটিতে ক্লিক করার পর আপনি মোট দুটি বক্স দেখতে পাবেন, একটি এনরোলমেন্ট আইডি এবং অন্যটি জন্ম তারিখের। 

৫। স্লিপ হতে সেই দুটি বক্সে যথাক্রমে এনরোলমেন্ট আইডি এবং জন্ম তারিখ বসিয়ে নিবেন এবং এগুলো সঠিকভাবে টাইপ করার পরে আপনাকে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে। এই অপশনগুলো সঠিকভাবে পূরণ করার পরে আপনি খুব সহজেই আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২২ - Passport Check BD Online

উপরের ধাপগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ঘরে বসেই ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসপোর্ট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

SMS এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক

আপনি যদি আপনার নতুন পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন, তাহলে আপনি অনলাইনের পাশাপাশি এসএমএস এর মাধ্যমে পাসপোর্ট চেক করতে পারেন। এটি সহজ তবে কিছু জিনিস মনে রাখতে হবে।

প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। আগে লোকেদের তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করার প্রয়োজন আছে কিনা তা দেখার জন্য লাইনে অপেক্ষা করতে হতো। 

এটা খুব বিভ্রান্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ ছিল. আজ আপনি একটি টেক্সট বার্তা পাঠিয়ে এবং একটি অনলাইন পাসপোর্ট চেক সম্পূর্ণ করে সহজেই আপনার ই-পাসপোর্টের অবস্থা জানতে পারবেন।

অনলাইনে এসএমএস এর মাধ্যমে পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক করা সহজ।

পাসপোর্ট তৈরির সময় আপনি অবশ্যই একটি নাম্বার প্রবেশ করেছিলেন যে নাম্বারটিতে আপনাকে পরবর্তীতে সব ধরনের পাসপোর্ট সংক্রান্ত আপডেট জানিয়ে দেয়া হয়। 

SMS এর মাধ্যমে জানতে নিচের ধাপগুলি অনুসরন করতে হবে:

  • ফোনের এসএমএস অপশনে যান।
  • দ্বিতীয়ত, নিশ্চিত করুন যে বার্তাটি সঠিকভাবে ফরম্যাট করা হয়েছে। এমআরপি (স্পেস) ইআইডি নম্বর সঠিকভাবে লিখুন। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তি যিনি 2233442 একটি EID নম্বর পেয়েছেন। তাকে "MRP 2234242" লিখতে হবে।
  • তারপর, 6969 নম্বর দিয়ে একটি টেক্সট বার্তা পাঠান।
  • অবশেষে, আপনি ফিরতি SMS এর মাধ্যমে পাসপোর্টের অবস্থার একটি বিজ্ঞপ্তি পাবেন।

এই সমস্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করার পরে, আপনি আপনার ই-পাসপোর্ট স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনি অনলাইন পোর্টালে পাসপোর্ট বের করতে পারেন।

 আপনার পাসপোর্ট সম্পর্কে জানতে আপনি যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন। আপনি কোনটি পছন্দ করেন তা আপনার উপর নির্ভর করে।

পাসপোর্ট চেক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর

১: আমার পাসপোর্ট চেকিং করতে গিয়ে দেখেছি এখনও ভেরিফাই হয়নি?

উত্তর: যদি দেখেন পাসপোর্ট চেকিং করতে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট এখনও ভেরিফাই হয়নি তাহলে আগে দেখবেন নির্ধারিত সময়ের আগেই আপনি চেকিং করছেন কিনা। কারন একটি সাধারণ পাসপোর্ট হতে 21 দিন, জরুরী পাসপোর্ট হতে সাত দিন এবং অতি জরুরী পাসপোর্ট হতে দুই থেকে তিন দিনের প্রয়োজন পড়ে। 

২: পুলিশ ভেরিফিকেশন এর পরপরই কি আমি পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাব?

উওর: জি পুলিশ ভেরিফিকেশন যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় তাহলে তার কিছুদিনের মধ্যেই আপনি আপনার পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন।

৩: পাসপোর্ট চেক করতে গিয়ে দেখলাম আমার পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে এর কারণ কি?

উওর: পাসপোর্ট বাতিলের কারণ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে আপনার ইনফর্মেশন ভুলের কারনে হতে পারে অথবা পুলিশ ভেরিফিকেশনে আপনার কোন খারাপ দিক উঠে আসতে পারে। সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে আপনি এই বিষয়ে যোগাযোগ করলে অবশ্যই সমাধান পেয়ে যাবেন।

প্রতিটি মানুষেরই পাসপোর্ট তৈরি করা দরকার কারণ কখনো কোন কাজে আপনাকে দেশ থেকে পাড়ি জমাতে হয় আপনি নিজেই জানেন না। আর পাসপোর্ট চেকিং এর এই সহজ বিষয়গুলো নিজেরাই আয়ত্ত করার চেষ্টা করবেন।

বাংলাদেশি পাসপোর্ট

বাংলাদেশের পাসপোর্ট হল একটি ICAO অনুবর্তী, মেশিন-পাঠযোগ্য এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট যা পাসপোর্টধারীর বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয়। 

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা সকল [DIP] যোগ্য নাগরিকদের জন্য ই-পাসপোর্ট ইস্যু করে। পাসপোর্ট বুকলেটটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন এবং পাসপোর্ট বিভাগ দ্বারা তৈরি, মুদ্রিত এবং জারি করা হয় । 

এই ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ এমবেডেড ই-পাসপোর্টে একচল্লিশটি বিভিন্ন নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে হলোগ্রাফিক ছবিগুলি পাতলা-ফিল্ম ল্যামিনেটে এমবস করা রয়েছে, যা আলোর নিচে রঙ পরিবর্তন করে এবং নড়াচড়া করতে দেখা যায়। 

ই-পাসপোর্টধারীর জনসংখ্যাগত এবং বায়োমেট্রিক তথ্য ই-পাসপোর্টের ভিতরের চিপে সংরক্ষিত থাকে। এই তথ্যে পাসপোর্টধারীর দশটি আঙুলের আঙুলের ছাপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে; উভয় চোখের আইরিস স্ক্যান ; বহনকারীর মুখের একটি রঙিন ছবি; তাদের ডিজিটাল স্বাক্ষর , ইত্যাদি । 

কূটনৈতিক মিশন , যোগ্য বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য যারা জন্মগতভাবে, বংশগতভাবে বা স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে নাগরিক। 

বাংলাদেশ সরকার তিনটি ভিন্ন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে। এগুলি হল একটি লাল কভার সহ কূটনৈতিক পাসপোর্ট; একটি নীল কভার সঙ্গে সরকারী পাসপোর্ট; এবং সবুজ কভার সহ নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট। 

পাসপোর্টের কভারটি একটি টিয়ার-প্রুফ টেক্সটাইল উপাদান দিয়ে তৈরি যা রাসায়নিক, ঘাম, স্যাঁতসেঁতে এবং তাপ প্রতিরোধী। কূটনৈতিক পাসপোর্ট শুধুমাত্র বাংলাদেশের কূটনীতিকদের দেওয়া হয়। 

অফিসিয়াল পাসপোর্ট শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকারী কর্মচারী, সরকারী কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রদূতদের ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশের বাকি নাগরিকদের নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। 

সম্পূর্ণ পাসপোর্ট পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে তৈরি। এটি নান্দনিকভাবে ডিজাইন করা হয়েছে পাসপোর্টের সমস্ত ফাঁকা ভিসা পৃষ্ঠাগুলির সাথে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং ভবনগুলির ছবি, সেইসাথে জনপ্রিয় বাংলাদেশী পর্যটন আকর্ষণগুলি, বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় তাদের নাম লেখা। পাসপোর্টের পৃষ্ঠা নম্বরও দ্বিভাষিক – বাংলা এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় লেখা।

পাসপোর্ট এর ইতিহাস 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর , 1973 সালের আইন নম্বর 9 (যাকে বলা হয় The Bangladesh Passport Order, 1973) যা 8 ফেব্রুয়ারি 1973 তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আইনে স্বাক্ষরিত হয়, যা প্রথম পাসপোর্ট তৈরি এবং ইস্যু করার দিকে পরিচালিত করে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের। 

এই পাসপোর্ট পুস্তিকাগুলি ছিল ঐতিহ্যবাহী, হাতে লেখা বা ম্যানুয়াল, পাসপোর্ট এবং সেই সময়ে কার্যকর প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন ও প্রবিধানগুলির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। 

পরবর্তীকালে, পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য পরবর্তী বছরগুলিতে বাংলাদেশে অতিরিক্ত আইন প্রণয়ন করা হয়; একাধিক বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট রাখার অযোগ্যতা বলবৎ করা; পাসপোর্টের জন্য নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা; ইত্যাদি। 1972 সাল থেকে একটি বিশেষ পাসপোর্ট, যা ভারত-বাংলাদেশ বিশেষ পাসপোর্ট নামেও পরিচিত, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এবং ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে বসবাসকারী বাংলাদেশী নাগরিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের জন্য জারি করা হত। এই বিশেষ পাসপোর্টে মেরুন কভার ছিল। এটি শুধুমাত্র ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণের জন্য বৈধ ছিল। ICAO বিধিতে পরিবর্তনের কারণে এই পাসপোর্ট ইস্যু করা 2013 সালে শেষ হয়েছিল। 

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট চালু করার আগে বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ ঐতিহ্যবাহী হাতে লেখা বা ম্যানুয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করত । 2010 সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 6.6 মিলিয়নেরও বেশি হাতে লেখা পাসপোর্টকে নতুন বায়োমেট্রিক মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট দিয়ে প্রতিস্থাপন করার একটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার ( আইসিএও ) নির্দেশিকা অনুসরণ করে, বাংলাদেশ সরকার 2010 সালের এপ্রিল মাসে মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) এবং মেশিন-রিডেবল ভিসা (MRV) ইস্যু করা শুরু করে। যাইহোক, সমস্ত ঐতিহ্যবাহী হাতে লেখা পাসপোর্ট তাদের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক জারি করা ভ্রমণ নথি হিসাবে সম্মানিত ছিল। ICAO এর নভেম্বর 2015 এর আন্তর্জাতিক সময়সীমার আগে সমস্ত ঐতিহ্যগত হাতে লেখা পাসপোর্ট সফলভাবে প্রচলন থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

2016 সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করে । 

তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করেছিলেন যে এটি বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য অভিবাসন, ভ্রমণ এবং ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করবে। নতুন বাংলাদেশী ই-পাসপোর্ট একটি জার্মান কোম্পানির সহযোগিতায় এবং প্রবেশের সকল প্রধান বন্দরে পঞ্চাশটি ই-গেট সহ প্রদান করা হয়। 
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট সম্পূর্ণরূপে সমস্ত মেশিন-পাঠযোগ্য পাসপোর্ট প্রতিস্থাপন করবে। যাইহোক, সমস্ত মেশিন-পঠনযোগ্য পাসপোর্ট প্রকৃতপক্ষে এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ পর্যন্ত বৈধ ভ্রমণ নথি।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট বিতরণ উদ্বোধনকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যতিক্রমী নেতৃত্বে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের বহুল প্রত্যাশিত প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার ডিজিটাল রূপান্তরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। 

বুধবার, 22 জানুয়ারী 2020। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ এবং বিশ্বের 119তম দেশ যেখানে সমস্ত যোগ্য নাগরিকদের জন্য একটি ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছে।

শেষ কথা : ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২২ | কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করব

অনলাইনে পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা চেক করার সময় যদি আপনারা সার্ভার ডাউন পান, তাহলে দয়া করে উত্তেজিত হবেন না। 

যেহেতু এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট তাই ওয়েবসাইটটিতে প্রায়ই প্রচুর চাপ থাকে। সার্ভার ডাউন থাকলে আপনি আবার ১-২ ঘন্টা পর পর চেষ্টা করে দেখতে পারেন। 

পাসপোর্ট অনলাইনে চেক করা নিয়ে যদি আপনার কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তাহলে দয়া করে আপনারা আপনাদের নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। 

অথবা আপনি আপনার কাঙ্খিত মন্তব্যটি কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আপনার মন্তব্যটির সঠিক ব্যাখ্যা দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ