শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য জেনে নিবো। তোমরা যদি শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য টি। loan near me

শীতের সকাল রচনা  শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
শীতের সকাল রচনা  শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য

আর হ্যা আমরা তোমাদের সুবিধার জন্য আমরা খুব সহজ ভাবে আজকের শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য টি তুলে ধরেছি। loan house

শীতের সকাল রচনা

ভূমিকা: বাংলাদেশে ষড়ঋতুর প্রত্যেকটি ঋত তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে আবির্ভূত হয়। শীতের সকালের আবির্ভাব হয় কয়াশাচ্ছন্ন অনন্য সুন্দর রূপ । নিয়ে। বাংলাদেশের ঋতুচক্রে পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীতকাল। প্রকৃতির সর্বত্রই এসময় পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। শীতের সকালে জীবনের চাঞ্চল্য ম্লান হয়ে আসে। সকলেই রৌদ্রের প্রত্যাশায় থাকে। কিন্ত পর্ব দিকে তখনও আলাের সুষমা পুরােপুরি ফুটে ওঠে না; অথচ বনে বনে পাখিদের হৃদয়ে । তার গােপন সংবাদ সবার অলক্ষ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এখনই সবদিকে রাখালের বেশে আবির্ভূত হবে সকাল, স্নিগ্ধ শীতের সকাল। তাকে স্বাগত জানাতে বনে বনে পাখির কণ্ঠে ভেসে ওঠে মধর আবাহন-গীতি। কুয়াশাজড়িত বনভূমি প্লাবিত করে তাদের গানের সুর-লহরী ছড়িয়ে পড়ে দিগ্‌দিগন্তে। অল্প সময়ের মধ্যেই কুয়াশার ধুম্রজাল ছিন্ন ভিন্ন করে আমাদের দ্বারে এসে দাঁড়ায় আলাে ঝলমল একটি সুন্দর সকাল।। গাম্ভীর্যময় বৈশিষ্ট্যের জন্যে শীতের সকাল বছরের অন্যান্য ঋতুর সকাল থেকে স্বতন্ত্র। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাই বলেন
‘শীতের সকাল দরিদ্রের বস্ত্রের আকাল
শীতের সকাল।
অসাম্যের কাল। ধনীর সুখ আর আনন্দ
শ্রেণিসংগ্রাম এ নিয়ে চলে দ্বন্দ্ব। 
সূর্যোদয়ের পূর্বে শীতের সকাল: লেপের তলা থেকে উঠি উঠি করেও উঠতে ইচ্ছে হয় না। শিয়রে হিংস্র শীত কেশর ফুলিয়ে থাবা পেতে বসে আছে ।। গরম বিছানার উত্তাপ ছেড়ে উঠতে গেলে কেমন এক দুর্নিবার আলস্য সমস্ত চেতনাকে ঘিরে ধরে। কর্মের আহ্বান সত্ত্বেও এক বিশেষ জড়তায় মানুষ। আরামের শয্যায় পড়ে থাকে। 
শীতের সকালের রূপ বা প্রাকৃতিক দৃশ্য: কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি, শিশিরসিক্ত রাস্তা-ঘাট, হিমেল বাতাসের মিষ্টিমধুর আমেজ ইত্যাদি সব মিলিয়ে শীতের সকালের এক স্বতন্ত্র রপ পরিলক্ষিত হয়, যা অন্য কোনাে ঋতুর সকালের মতাে নয়। পত্র-পল্লবহীন গাছপালাকে অলংকারশনা বিধবা বলে মনে হয়। কুয়াশা আচ্ছাদিত আকাশে কয়াশাকে ভেদ করে যখন সুযি উকি দেয় তখন শীতের সকালের এক অসামান্য রূপ পরিলক্ষিত হয়। তখন পূর্ব দিকে । ধীরে ধীরে আলাে ফুটতে থাকে। উত্তর দিক থেকে ঠাণ্ডা বাতাস একটা দীর্ঘশ্বাসের মতাে হঠাৎ শিরশির করে বনের গাছপালার ফাক দিয়ে বয়ে যায় । পাতাগুলাে সহসা কেঁপে ওঠে। টুপ টুপ করে শিশির ঝরে পড়ে। বনের পথ শিশিরসিক্ত হয়ে ওঠে। ঘাসে ঘাসে শিশিরের বিন্দু জমে ভােরের আলােয় ঝলমল করতে থাকে। দূরে কোথাও খেজুর রস জ্বাল দেওয়া হয়। বাতাসে তার লােভনীয় মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসে। জ্বাল দেওয়া খেজুর রসের গন্ধে। বাতাস মৌ মৌ করে। গ্রামের কৃষকরা হালের গরু নিয়ে মাঠের দিকে চলে । মক্তব-মাদ্রাসায় ছােট ছােট ছেলেমেয়েরা স্বর উঁচিয়ে সুর করে কোরআন তেলাওয়াত করে। সকালে এমন মধুর ব্যঞ্জনার মধ্যে বিছানায় পড়ে পড়ে গভীর আলস্যে তন্দ্রাসুখ উপভােগ করা অনুচিত। তাই অগত্যা গায়ের লেপ। সরিয়ে রেখে বিছানা থেকে বের হওয়ার জন্যে সচেষ্ট হতে হয়।
লীতের সকালের বৈরাগ্য মূর্তি: ততক্ষণে বাইরের পৃথিবীর ঘম ভেঙেছে। দিকে দিকে কর্মের মুখরতায় শীতের সকাল কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। পূর্ব দিগন্তে আলাে ছড়িয়ে সূর্যের রথ আকাশ পরিক্রমায় বের হয়ে পড়েছে। একটি নীলকণ্ঠ পাখি রিপত্র বাবলার ডালে বসে রােদ পােহাচ্ছে। এক জোড়া নাম । জানা পাখি বাতাসে ডানা ঝাপটিয়ে কুয়াশার ভেতর দিয়ে কোনাে অজানার পানে ছটছে। শীতের সকাল যেন এক প্রৌঢ়া কুলবধূ। তার মুখখান ও বিস্তৃত কুয়াশার অবগুণ্ঠনে ঢাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের সকালও তার কুয়াশার অবগুণ্ঠন ধীরে ধীরে খুলতে থাকে। ত্যাগের মূর্তি: শীতের সকালের হাতে যেন বৈরাগীর একতারা। সে তার একতারার নিঃসঙ্গ তারে আঘাত হানে নির্মমভাবে। বনের শুষ্ক বিবর্ণ। পাতাগুলাে একে একে ঝরে পড়ে। উত্তরের হিমগর্ভ হাওয়া তাদের দু হাতে লুফে নিয়ে অবলীলায় উড়িয়ে দেয়। 
গ্রামে শীতের সকাল: গ্রামে ভিন্ন এক রূপ নিয়ে শীতের সকাল উপস্থিত হয়। শীত নিবারণের জন্যে দরিদ্র মানুষেরা আগুনের কুণ্ড জ্বালিয়ে তার চারপাশে বসে গা গরম করে। গাছপালার ফাঁক দিয়ে রােদের ঝলকানি এসে পড়ে। সেখানে বসে সবাই গল্পে মেতে ওঠে। শিশুদের কাছে এ রােদের আকর্ষণ বেশি। খেজুরের রস, শীতের পিঠা, কোচড় ভরা মুড়ি, গুড় বা পাটালি নিয়ে শীতের সকালকে অভ্যর্থনা জানানাের পরিচিত দৃশ্য পল্লিগ্রামের সর্বত্রই লক্ষ করা যায়। কৃষকেরা তাদের সবজি বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকে। শিশুরা চাদর মুড়ি দিয়ে মক্তবে যায়। এভাবে গ্রামে শিশির-ভেজা সকাল আসে। 
শীতের সকালে নদনদীর দৃশ্য: কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সকালে নদীতে যেন ধমজালের সষ্টি হয়। শীতে নদীর পানি শুকিয়ে যায়। শীতের কুয়াশাকে ভেদ করে, স্বল্প পানির নদীতে নৌকা, ফেরি, লঞ্চ চলতে খুব অসুবিধা হয়। নদীগুলাের দিকে তাকালে মনে হয় তারা যৌবন হারিয়ে ফেলেছে। 
শীতের সকালের সুবিধা: শীতের সকালে গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠাপুলি তৈরি হয়। এসব পিঠা, চিড়া-মুড়ি-গুড় এবং খেজুর রসের পাটালি গুড়ে তাের পায়েস খেতে ভারি মজা লাগে। তীব্র শীতে খেজুর রস খেয়ে পরিতৃপ্তি লাভ করা যায়। শীতের সকালের মিষ্টি রােদ দারুণ প্রশান্তি নিয়ে আসে মানুষের দেহে-মনে। ঠাণ্ডার জন্যে কোনাে খাবার সহসা নষ্ট হয় না। 
শীতের সকালের অসুবিধা: শীতের সকালে কুয়াশার জন্যে সবকিছু অস্পষ্ট দেখায় এবং প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তা-ঘাটে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এসময়টা বস্তুহীন দরিদ্র মানুষের কাছে অভিশাপস্বরূপ। শিশুরা ও বৃদ্ধরা শীতে বেশি কষ্ট পায়। প্রচণ্ড শাতের জন্যে মানুষ শীতের সকালে নিত্যনৈমিত্তিক কাজে বেরােতে অস্বস্তি বােধ করে। প্রকৃতির সর্বত্রে এক ধরনের শূন্যতা পরিলক্ষিত হয়। 
শহরের শীতের সকাল: শহরের শীতের সকালের মূর্তি, গ্রামবাংলার শীতের সকালের মতাে নয়। ভােরে কাকের ডাকে শহুরে জনতার শীতের সকালের ঘুম ভাঙে। সেখানেও শিশির পড়ে, কিন্তু তাতে সবুজ ঘাসের করুণ গভীর ঘ্রাণ মিশে থাকে না। সেখানেও উত্তরের শীতল হাওয়া বয়ে যায়, কিন্তু তাতে খেজুরের রস কিংবা পাকা ধানের মৌ-মৌ গন্ধ হদয়কে আন্দোলিত করে না। শহরের শীতের সকাল কেবল কাকের ডাক কলের পানির শব্দ, ফেরিওয়ালার হাকডাকের মধ্যেই সীমিত থাকে। এক কথায় শহরের ইট-কাঠ-পাথরের কৃত্রিম কাঠিন্যের মধ্যে গ্রামবাংলার উদাস করুণ শীতের। সকালের স্নিগ্ধ মধুর রূপটিকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। 
রূপ-বদল; ধীরে ধীরে বেলা বাড়তে থাকে। শীতের সূর্য পূর্ব দিগন্তের কুয়াশার জাল ছিন্ন-ভিন্ন করে ওপরে উঠতে থাকে। তার কিরণ-বাণে পর্যদস্ত হয় শীতের তীব্রতা। সােনালি রােদে চারিদিক ভেসে যায় । 
উপসংহার: শহরের ইট-কাঠ-পাথরের নিদারুণ চাপে শীতের সকাল তার নিজস্ব মূর্তিতে প্রকাশিত হতে পারে না। এখানে কুয়াশার সেই স্নিগ্ধ জৌলস নেই। তবে শহরের রাজপথে শীতের রূপ ম্লান হলেও গরম চা ও পরােটার গন্ধে তাকে সংগােপনে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা যায় । কিন্তু শীতের সকালের প্রধান আকর্ষণ খেজুরের রস, পায়েস, ভাপাপিঠা, পুলিপিঠা ইত্যাদির মন মাতানাে ঘ্রাণ শহরে বিরল।

শীতের সকাল রচনা

ভূমিকা: ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। প্রত্যেকটি ঋতুরই রয়েছে আলাদা আলাদা রূপবৈচিত্র্য, আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য। তবে শীতকালের বৈশিষ্ট্যাবলি অন্যান্য ঋতুর থেকে একেবারে পৃথক। শীতের সকালের আবির্ভাব কুয়াশাচ্ছন্ন অনন্যসাধারণ রূপ নিয়ে। বাংলাদেশের ঋতুচক্রে পৌষ ও মাঘ এ দুই মাস শীতকাল। প্রকৃতির সর্বত্রই এ সময় পরিবর্তন লক্ষ করা যায় । শীতের সকালে জীবনের চাঞ্চল্য তেমন চোখে পড়ে না । শীত আড়ষ্ট করে তোলে জনজীবন । সকলেই রৌদ্রের প্রত্যাশায় থাকে । কিন্তু পূর্ব দিকে তখনো আলোর সুষমা পুরোপুরি ফুটে ওঠে না; অথচ বনে বনে পাখিদের হৃদয়ে তার গোপন সংবাদ সবার অলক্ষে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কুয়াশার পর্দা সরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে ভোরের ছায়ামাখা আলো, বনে বনে পাখির কণ্ঠে ভেসে ওঠে মধুর আবাহনগীতি । তাদের গানের সুরলহরি ছড়িয়ে পড়ে দশদিগন্তে। অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের দ্বারে এসে দাঁড়ায় আলো ঝলমল একটি সুন্দর সকাল ।

সূর্যোদয়ের পূর্বের শীতের সকাল: লেপের ভেতর থেকে উঠি উঠি করেও উঠতে ইচ্ছে হয় না। শিয়রে শীত যেন কেশর ফুলিয়ে থাবা পেতে বসে আছে। গরম বিছানার উত্তাপ ছেড়ে উঠতে গেলে কেমন এক অপ্রতিরোধ্য . আলসেমি সমস্ত চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রাখে। কর্মের আহ্বান সত্ত্বেও কেমন এক মধুর জড়তায় মানুষ আরামের শয্যায় পড়ে থাকে।

শীতের সকালের রূপ: পূর্ব দিকে ধীরে ধীরে আলো ফুটতে থাকে। উত্তর দিক থেকে ঠান্ডা বাতাস একটি দীর্ঘশ্বাসের মতো হঠাৎ শিরশির করে বনের গাছগুলোর পাতার ফাঁক দিয়ে বয়ে যায়। পাতাগুলো সহসা কেঁপে ওঠে। টুপ টুপ করে শিশির ঝরে পড়ে। বনের পথ শিশিরসিক্ত হয়ে ওঠে টিনের চালে এবং ঘাসে ঘাসে শিশিরের বিন্দু জমে ভোরের আলোয় ঝলমল করতে থাকে। দূরে কোথাও খেজুর রস জ্বাল দেওয়া হচ্ছে। বাতাসে তার লোভনীয় মিষ্টি গন্ধ ভেসে আসছে। জ্বাল দেওয়া খেজুর রসের ম-ম গন্ধ চারদিক মাতাল করছে। গ্রামের কৃষকরা বলদ হাঁকিয়ে মাঠের দিকে চলছে। দূরে কোনো মাদ্রাসায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সুর করে কোরআন তেলাওয়াত করছে। তখনই মন শাসন করে, সকাল হয়েছে । এখন বিছানায় পড়ে পড়ে গভীর আলস্যে তন্দ্রাসুখ উপভোগ করা অনুচিত। তাই অগত্যা গায়ের লেপ সরিয়ে বিছানা থেকে বের হওয়ার জন্য সচেষ্ট হতে হয়।

শীতের সকালের বৈরাগ্য মূর্তি: ততক্ষণে বাইরের পৃথিবীর ঘুম ভেঙেছে । দিকে দিকে কর্মের মুখরতায় শীতের সকাল কর্মব্যস্ত হয়ে উঠেছে। পূর্ব দিগন্তে আলো ছড়িয়ে সূর্যের রথ আকাশ পরিক্রমায় বের হয়ে পড়েছে। একটি নীলকণ্ঠ পাখি রিক্তপত্র বাবলার ডালে বসে রোদ পোহাচ্ছে । এক জোড়া নাম না জানা পাখি ডানায় বাতাস তুলে কুয়াশার ভেতর দিয়ে কোন অজানার পানে ছুটছে। শীতের সকাল যেন এক প্রৌঢ়া কুলবধূ। তার মুখখানি দিগন্ত বিস্তৃত কুয়াশার অবগুণ্ঠনে ঢাকা। বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীতের সকালও তার কুয়াশার অবগুণ্ঠন ধীরে ধীরে খুলতে থাকে । রূপবদল: ধীরে ধীরে বেলা বাড়তে থাকে। শীতের সূর্য পূর্বদিগন্তের কুয়াশার জাল ছিন্নভিন্ন করে এক গভীর আলস্যে ওপরে উঠতে থাকে । তার কিরণবাণে কমতে থাকে শীতের তীব্রতা। সোনালি রোদে চারদিক ভেসে যায়। সে রোদের স্পর্শ শীতের সকালে যেন একবিন্দু-শিশিরের মতো টলমল করে কাঁপতে থাকে ।

গ্রামীণজীবনে শীতকাল: গ্রামের অধিকাংশ মানুষ পেশাগত দিক থেকে কৃষির সাথে জড়িত। তাই শীতের সকালেও তাদের শীতের আরাম ও আনন্দকে উপভোগ করার সময় থাকে না। শীতের কুয়াশা ভেদ করে লাঙল নিয়ে তারা ছোটে ফসলের মাঠে। শীতকাল ইরি ধান রোপণের প্রধান সময়। এ সময়ে কৃষকের বসে থাকলে চলে না। অন্যদিকে কৃষাণি বধূরাও সবজি খেতে শুরু করে পরিচর্যা, আবার কেউ তোলে শাকসবজি। শীতের কনকনে ঠান্ডা বার্ধক্য পীড়িতদের খানিকটা বেশিই চেপে ধরে। তাই ভোর হলেই খড়কুটোর আগুন জ্বালিয়ে তারা উষ্ণ করে নেয় তাদের শরীর। এ সময় শিশুরাও এসে যোগ দেয় আগুন পোহানোয়। আর মাঝেমধ্যে চলতে থাকে রসপূর্ণ গল্পকথা। ওদিকে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যায় রান্নাঘরে। গরম গরম পিঠা আর মিঠে রোদ সব মিলিয়ে যেন অভূতপূর্ব আনন্দের আয়োজন । 

নগরজীবনে শীতকাল: নগরজীবনে সাধারণত শীতকে উপভোগ করার সুযোগ কম। নগরের উঁচুতলার মানুষেরা গরম কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে কাটায় শীতের প্রভাত। ফলে তাদের পক্ষে সকালের কুয়াশাচ্ছন্ন সুন্দর রূপ অবলোকন সম্ভব হয় না। অন্যদিকে চাকরিজীবী ও নিম্নবিত্ত মানুষ অফিসে আর কাজে বেরিয়ে পড়ে নগরের পথে পথে। কুয়াশা ভেদ করে ছুটে চলে তারা নিজ নিজ গন্তব্যে। জীবনের ব্যস্ততা চোখে পড়ে নিয়ত। গাড়িগুলো দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে ছুটে চলে অবিরাম। এখানে শিশিরে পা ভেজে না, পিঠার গন্ধে বাতাস ব্যতিক্রম হয়ে ওঠে না। আমাদেও দরিদ্র এ দেশে শীত বস্তিবাসীর জন্য নিয়ে আসে দুর্ভোগ। নগরে ভাসমান মানুষ হয় শীতের নির্মম শিকার। বাস্তুহীন শিশু-বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ফুটপাতে, রেলস্টেশনে গরম কাপড় ছাড়াই প্রচণ্ড শীতের সাথে লড়াই করে ।

উপসংহার: শহরে এবং গ্রামে শীতের সকাল দু' রকমভাবে উপস্থাপিত হয় । শহরের ইট-কাঠ-পাথরের নিদারুণ চাপে শীতের সকাল তার নিজস্ব মূর্তিতে প্রকাশিত হতে পারে না। এখানে কুয়াশায় ঢাকা গ্রামের স্নিগ্ধ জৌলুস নেই। তার পরিবর্তে আছে কুয়াশা উপেক্ষা করে বিচিত্র সব গরম পোশাকে শরীর ঢেকে জীবিকা সন্ধানী মানুষের ছুটে চলা। শহরের রাজপথে শীতের রূপ ম্লান হলেও গরম চা ও পরোটার গন্ধে তাকে সংগোপনে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা যায়। কিন্তু শীতের সকালের প্রধান আকর্ষণ খেজুরের রস, পায়েস, ভাপাপিঠা, পুলিপিঠা ইত্যাদির মনমাতানো ঘ্রাণ শহরে বিরল ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য টি। যদি তোমাদের আজকের এই শীতের সকাল রচনা | শীতের সকাল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। loan with low interest rate
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ