একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ | একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা জেনে নিবো। তোমরা যদি একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা  টি।

একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা
একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

বাঙালির জীবনে একুশে ফেব্রুয়ারি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এ দিনের ইতিহাস আমাদের সংগ্রামী চেতনার ইতিহাস। এ সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বিভিন্ন ধরনের আয়ােজন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম আয়ােজন হলাে মহান একুশে বইমেলা। | একুশে ফেব্রুয়ারিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য বাংলা একাডেমী | প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে একুশের বইমেলার আয়ােজন করে থাকে। বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গণে ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এ মেলা চলে। বইমেলা উপলক্ষে বইবিক্রেতা ও প্রকাশকরা নানা সাজে বইয়ের স্টল বা দোকান সাজিয়ে বসে। এখানে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সমাহার ঘটে। বইমেলা উপলক্ষে প্রচুর নতুন বই মেলায় আসে। পুরাতন লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও পাওয়া যায় এখানে। প্রতিদিন বইয়ের আকর্ষণে বই প্রেমিক মানুষেরা মেলা প্রাঙ্গনে ছুটে আসে। বিভিন্ন ধরর মানুষের ঢল। নামে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি লেখক, ভাষাবিদ ও বরেণ্য সব ব্যক্তিত্বরা বইমেলায় আসে। লেখক ও পাঠকদের অন্যরকম এক মিলনমেলা তৈরি হয় এ বই মেলায়। এটি বাংলা একাডেমীর একটি মহৎ উদ্যোগ ও মহাআয়ােজন। এ বই মেলার ফলে পাঠকরা এক জায়গা। থেকে তাদের পছন্দের বই কিনতে পারে। এছাড়া বই কেনার প্রতি। সাধারণ মানুষের আগ্রহও তৈরি হয়। এ কারণে এ ধরনের বইমেলার প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে। একুশের বইমেলা আমাদের মধ্যে সাহিত্যসংস্কৃতিবােধ জাগ্রত করে। এ বইমেলা এখন আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত। ঢাকার বাইরে প্রতিবছর বইমেলার আয়ােজন করে | বইমেলার প্রতি ও বইয়ের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

বইমেলা অনুচ্ছেদ

বইমেলা হলাে বইকে উপলক্ষ করে লেখক ও পাঠকের মিলনমেলা। আনন্দঘন পরিবেশে বই কেনা-বেচার। সুযােগ ঘটে বইমেলায়। এই মেলাতে বইয়ের প্রকাশকগণ তাদের নতুন ও পুরনাে বই নিয়ে দোকান সাজান, পাঠক সেখান থেকে তার পছন্দের বই দেখেশুনে কিনতে পারেন। এটা বইমেলার সবচেয়ে বড় সুবিধা। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলার আয়ােজন করা হয়। বাংলাদেশে বইমেলার সূচনা হয়। ১৯৭২ সালে মুক্তধারার প্রকাশক চিত্তরঞ্জন সাহার উদ্যোগে। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু হয় বাংলা একাডেমি ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা'। এই মেলায় শুধু বই কেনাবেচাই নয়, নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক কর্মকাণ্ড বাংলা একাডেমি গ্রহণ করে। ২০১৪ সাল থেকে বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী। সােহরাওয়ার্দী উদ্যান পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতি বছর এই মেলার উদ্বোধন করেন। বইমেলা মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষভাবে শিশু-কিশােররা বাবামার সাথে বইমেলায় গিয়ে নিজেদের পছন্দের বইটি সংগ্রহ করতে পারে, নতুন নতুন বইয়ের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। বইমেলাকে কেন্দ্র করে অনেক লেখক তাঁদের নতুন বই প্রকাশ করেন; পাঠকও নতুন নতুন ধারণার সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা  টি। যদি তোমাদের আজকের এই একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ বা একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ