অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অ তৎসম শব্দের বানানের ৫টি নিয়ম জেনে নিবো। তোমরা যদি অ তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম  টি।

অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম
অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম

প্রশ্ন-০৭ বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের আধুনিক নিয়ম অনুসারে অ তৎসম শব্দের যে কোনো পাঁচটি বানান সূত্র উদাহরণসহ লিখ ।

উত্তর বাংলা একাডেমি প্রণীত বাংলা বানানের আধুনিক নিয়ম অনুসারে অ-তৎসম শব্দের যে কোনো পাঁচটি বানান সূত্র উদাহরণসহ নিম্নে বর্ণিত হলো :

১. সকল অ-তৎসম শব্দে অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি ও মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ-কার ব্যবহৃত হবে । এমনকি জাতিবাচক ও স্ত্রীবাচক শব্দের ক্ষেত্রেও এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে । যেমন— বাড়ি, শাড়ি, তরকারি, ইংরেজি, জাপানি, ইতালি, পিসি, দিদি ইত্যাদি ।

2.‘আলি’ প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে। যেমন— মিতালি, বর্ণালি, সোনালি ইত্যাদি । তবে নাম বিশেষ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যয় চলতে পারে ।

৩. সর্বনাম, বিশেষণ ও ক্রিয়া বিশেষণ পদরূপে ‘কী’ শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে । যেমন— কী করছ? কী পড়? অন্য সব ক্ষেত্রে অব্যয় পদরূপে ই-কার দিয়ে শব্দটি লেখা হবে । যেমন— সে কি এসেছিল? তুমিও কি যাবে?

৪. পদাশ্রিত নির্দেশকটিতে ই-কার হবে । যেমন— মেয়েটি, বইটি ।

৫. তৎসম শব্দের বানানে ‘ক্ষ’ অপরিবর্তনীয় । যেমন— ক্ষেত, ক্ষীর, ক্ষুর ইত্যাদি। তবে অ-তৎসম শব্দে খুদ, খুর, খিদে ইত্যাদি লেখা চলবে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অ-তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম  টি। যদি তোমাদের আজকের এই অ তৎসম শব্দের বানানের পাঁচটি নিয়ম  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ