আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প  টি।

আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প
আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প

আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প

‘হারানো সে দিনের কথা বলব কিরে হায়’... কথাটি সেই কবেকার। রবি ঠাকুরের গানের এই কথাটা আমার স্মৃতিতে অম্লান। দিন যায় রাত আসে। রাত পেরিয়ে দিন। এভাবে কেটে যায় মাস, বছর। কিন্তু হারানো দিন সব সময় অমলিন। অতীতের সুখময় দিনগুলো কখনো ভুলবার নয়। আমারও আছে এক সুন্দর সুরভিত অতীত। ছোটোবেলায় আমাদের ছিল এক দুষ্ট ছেলের দল। ওই দলের কাজ ছিল সারাদিন হইচই করে বেড়ানো, পুকুরে সাঁতার কাটা, গ্রামের মাঠে-ঘাটে ফুটবল, ক্রিকেট, গোল্লাছুট খেলা আর ভোরবেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে আম, জাম কুড়ানো। আমাদের দলে রাজিব আর শফিক ছিল সবচেয়ে দুষ্ট। ওরা মানুষকে নানাভাবে জ্বালাতন করে মজা পেত। ওরা প্রায়শই বনভোজনের আয়োজন করত। আমরা সবাই সে বনভোজনে অংশ গ্রহণ করতাম। অধিকাংশ সময় এই বনভোজন হতো শফিকদের বাড়ির পেছনের সুবিশাল বাগানে। আমরা সবাই নিজ নিজ ঘর থেকে লবণ, মরিচ, পেঁয়াজ নিয়ে যেতাম । রহমত ছিল রান্নায় সিদ্ধহস্ত। সে সানন্দে রান্নার দায়িত্ব গ্রহণ করত। তবে সে যেহেতু রান্না করত এজন্য বাসা থেকে সে কিছু নিয়ে আসত না। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে সিরিয়াস ছিল মুন্না। একসাথে হাফ কেজি চালের ভাত সে হজম করতে পারত। এজন্য বনভোজনের দিন সে বাসা থেকে একাই এক কেজি চাল আনত । সারাদিন খাওয়া-দাওয়া করে আড্ডা দিয়ে দুপুরের পরে সবাই বাসায় ফিরতাম। এরপর বাবা-মায়ের বকুনি খাওয়ার পালা শুরু হতো। আমার মা অবশ্য খুব বেশি বকাঝকা করতেন না । শুধু কয়েকবার কড়া গলায় জিজ্ঞেস করতেন— কোথায় ছিলি সারাদিন? আমি দাঁড়িয়ে আমতা আমতা করতাম। আর মা ধমক দিয়ে বলতেন— যা, খাওয়া-দাওয়া করে পড়তে বস। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ত মুন্না। ওর বাবা লাঠি হাতে নিয়ে ওকে তাড়া করত। ও দৌড়াতে দৌড়াতে খড়ের গাদার নিচে আশ্রয় নিত। এরপর কোনো বন্ধুর বাসায় রাত কাটিয়ে পরের দিন পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে বাসায় ফিরে যেত । হারানো দিনের এসব অমলিন স্মৃতি কখনো ম্লান হবার নয় ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প  টি। যদি তোমাদের আজকের এই আমার শৈশব স্মৃতি খুদে গল্প  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ