একতাই বল ক্ষুদে গল্প

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো একতাই বল ক্ষুদে গল্প জেনে নিবো। তোমরা যদি একতাই বল ক্ষুদে গল্প টি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের একতাই বল ক্ষুদে গল্প  টি।

একতাই বল ক্ষুদে গল্প
একতাই বল ক্ষুদে গল্প

একতাই বল ক্ষুদে গল্প

“রিমি আজও তুই ঠিকমতো ভাত খাসনি'— বলেই মা বাইরে বেরিয়ে এলো। ততক্ষণে আমি কলেজ বাসে উঠে গিয়েছি। হাত নাড়িয়ে মাকে বিদায় জানাচ্ছি। আর মা রাগ মেশানো হাসিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বাসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প শুরু হলো। সারাদিনে কে কী করব সেসব প্ল্যান। মাধবী ওর নতুন ডায়েরিটা আমাদের দেখাল । বেশ অভিনব ডায়েরি; তালা দেওয়া যায় তাতে। আমরা সবাই সেটা নিয়ে নানারকম মজা করতে লাগলাম। লিজা নতুন একটা এইচপি ব্র্যান্ডের নোটবুক কিনেছে। সেটা নিয়েও বেশ খানিকক্ষণ কথা হলো। আসলে কলেজ বাসই আমাদের সকল গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। সারাদিন সবাই পড়াশোনা নিয়ে এত ব্যস্ত থাকি যে, কারও সঙ্গে কারও তেমন কোনো কথাই হয় না। মাঝে ২৫ মিনিটের একটা ব্রেক থাকে। তখন সবাই হালকা খাবার-দাবার সেরে নিই। এ সময় আবার একটু আড্ডা হয়। আজ ব্রেকের সময় বিন্দুকে খুব উদাসভাবে বসে থাকতে দেখলাম। ভাবলাম, হয়তো বাড়ির কেউ ওকে কিছু বলেছে তাই মন খারাপ করে বসে আছে। দ্বিতীয় দিন আবার একই জায়গায় ওকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখলাম। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কী? কিন্তু ও তেমন কিছু না বলেই উঠে গেল । রাতে পড়ার টেবিলে বসে চিন্তা করছি বিন্দুর কথা। পড়াশোনায় ও খুবই ভালো, তেমনি ভালো আচরণ। কলেজের শিক্ষকরাও ওকে খুব স্নেহ করেন । তাহলে কী হলো ওর? পরদিন দেখি আবার ওভাবে বসে আছে। এবার আমরা কয়েকজন মিলে ওর সমস্যা জানতে চাইলাম। আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল বিন্দু। তারপর যা বলল তাতে আমার রাগে শরীর কাঁপতে থাকল। বিন্দুর বাড়ি কলেজের কাছে হওয়ায় ও প্রতিদিন হেঁটেই যাতায়াত করে। কিছুদিন থেকে নাকি কলেজের সামনে বেশ কিছু বখাটে ছেলে ওকে ইভটিজিং করছে। বাড়িতে ও বলেছিল কিন্তু উল্টো ওকেই কথা শুনতে হয়েছে। আমরা সবাই সবটা শুনলাম, তারপর ওকে আজ ছুটির পর গেটের বাইরে যেতে নিষেধ করলাম। এর মধ্যে আমরা বসে একটা প্ল্যান করলাম। আর সবাইকে থাকতে বললাম। কারণ সংঘবদ্ধ না হলে প্ল্যানটি সফল করা সম্ভব নয়। ছুটি শেষ হতেই বিন্দুকে আমাদের প্ল্যানটি বললাম। প্রথমে ও ভয় পাচ্ছিল কিন্তু অনেককে দেখে সাহস পেল। পরিকল্পনা মাফিক কলেজ গেট থেকে বেরিয়ে এগিয়ে গেল ও। বখাটেগুলোও ওকে দেখে এগিয়ে এলো। ঠিক এ সময়ে আমরা প্রত্যেকে মুখে রুমাল বেঁধে বখাটেগুলোর দিকে ঢিল ছুড়তে লাগলাম। ঢিল গিয়ে কারও মাথায়, কারও মুখে, কারও চোখে লাগল । মারাত্মক আহত অবস্থায় বখাটেগুলো কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচাল । রাস্তার দু'পাশের মানুষ আমাদের এ কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। কলেজের শিক্ষকরাও বেরিয়ে এসেছিলেন ততক্ষণে। তারপর পুরো ঘটনাটি শুনে তারা বাহবা দিয়েছিলেন আমাদের। আর আমরা সবাই মিলে বলেছিলাম হিপ হিপ হুররে...

আর্টিকেলের শেষকথাঃ একতাই বল ক্ষুদে গল্প

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম একতাই বল ক্ষুদে গল্প  টি। যদি তোমাদের আজকের এই একতাই বল ক্ষুদে গল্প  টি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ