খলিফা আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর।

আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর
আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

আবু জাফর আল মনসুরের কৃতিত্ব মূল্যায়ন কর

  • অথবা, স্থাপত্যশিল্পে আবু জাফর আল মনসুরের অবদান তুলে ধর।

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় শাসনামল সভ্যতার সর্বশ্রেষ্ঠ যুগ রূপে চিহ্নিত হওয়ায় সাহিত্য, বিজ্ঞান ও শিল্পকলার প্রতিটি স্তরের এ সময় সাফল্য লাভ করে। স্থাপত্যশিল্প এ থেকে বাদ যায়নি। উমাইয়া শাসনামলে স্থাপত্যের যে ধারা সূচিত হয়েছিল আব্বাসীয় শাসনামলে নতুন গতি ও বৈশিষ্ট্য লাভ করে। আর খলিফা আবু জাফর আল মনসুরের শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত বাগদাদ নগরী, রাক্কা শহর এবং মাহদীয়া শহর এই সাম্রাজ্যের স্থাপত্যশিল্পকে আরো বেশি গৌরবান্বিত করেছিল।

আল মনসুরের স্থাপত্যকীর্তি : আব্বাসীয় খলিফা আবু জাফর আল মনসুরের সময়ে নির্মিত আব্বাসীয় স্থাপত্য কর্মসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলো :

১. বাগদাদ নগরী প্রতিষ্ঠা : আব্বাসীয় স্থাপত্যের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো বাগদাদ নগরীর প্রতিষ্ঠা। খলিফা আল মনসুরের গৌরবময় কীর্তি বাগদাদ প্রতিষ্ঠা। খলিফা আল মনসুর ৭৬২ খ্রিস্টাব্দে রাজধানী দামেস্ক থেকে বাগদাদে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। এ নগরী নির্মাণের জন্য লিবিয়া, পারস্য ও ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকৌশলী, স্থপতি ও কারিগর আনা হয়। অবশেষে এক লক্ষ লোকের অবিরাম পরিশ্রমের বিনিময়ে ৪০ লক্ষ দিরহাম ব্যয়ে ৭৬৬ খ্রিস্টাব্দে এ নগরী নির্মিত হয়।

২. রাক্কা শহর : খলিফা আল মনসুর বাগদাদ নগরীর অনুকরণে ৭৭২ খ্রিস্টাব্দে রাক্কা শহর নির্মাণ করেন। এই শহরের প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ ও রাক্কা জামে মসজিদ আজও আব্বাসীয় স্থাপত্য কীর্তির চিহ্ন বহন করে। রাক্কার নির্মিত মসজিদ মেসোপটেমীয় ও সিরীয় স্থাপত্যের সংমিশ্রণে এক জলন্ত নিদর্শন

৩. মাহদীয়া নির্মাণ : খলিফা আল মনসুরের সময়কালে বাগদাদের মত আর একটি শহরও যুবরাজ মাহদীর তত্ত্বাবধায়নে দজলা (টাইগ্রিস) নদীর পূর্ব তীরে নির্মিত হয়। যুবরাজের নামানুসারে এই শহরটির নামকরণ করা হয় “মাহদীয়া” I

৪. অন্যান্য স্থাপত্যকীর্তি : এছাড়াও খলিফা আল মনসুর কাসর উল খুলদ ও রুসাফা নামে রাজপ্রাসাদ এবং অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও সরাইখানা নির্মাণ করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খলিফা আবু জাফর আল মনসুর স্থাপত্য শিল্পের একজন উদার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। আব্বাসীয় সাম্রাজ্যকে বিশ্ব দরবারে একটি সুসজ্জিত সাম্রাজ্য রূপে প্রতীয়মান করার লক্ষ্যে খলিফা আল মনসুর তার সময়কালে বেশ কিছু স্থাপনা স্থাপিত করেন যা এই রাজবংশের পাশাপাশি মুসলিম সভ্যতাকেও উজ্জ্বল করে তোলে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  স্থাপত্যশিল্পে আবু জাফর আল মনসুরের অবদান তুলে ধর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম স্থাপত্যশিল্পে আবু জাফর আল মনসুরের অবদান তুলে ধর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ