বঙ্গভঙ্গ কি | বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বঙ্গভঙ্গ কি | বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বঙ্গভঙ্গ কি | বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায় ।

বঙ্গভঙ্গ কি  বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়
বঙ্গভঙ্গ কি  বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়

বঙ্গভঙ্গ কি | বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়

উত্তর ভূমিকা : ব্রিটিশ ভারত শাসন আমলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন বা ঘটনা হলো বঙ্গভঙ্গ করা। বাংলার বিভক্তি এবং আমাদের সঙ্গে এর একটি অংশ যুক্ত করে নতুন প্রদেশ গঠনের মাত্র ৬ বছরের মধ্যে তা ব্রিটিশ কর্তৃক বাতিল ঘোষিত হয়। যদিও ব্রিটিশ শাসকরা বঙ্গ বিভাগকে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। আলোচ্য অধ্যায়ের বঙ্গভঙ্গের কারণ ব্রিটিশদের রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, হিন্দু সম্প্রদায়ের বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধিতার কারণ, বঙ্গভঙ্গ ও বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়া প্রভৃতি বিষয় স্থান পেয়েছে।

→ বঙ্গভঙ্গ : ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন ভারতকে দুটি ভাগে ভাগ করেছিল। শাসনকার্যের সুবিধার্থে ব্রিটিশ সরকার বাংলা প্রেসিডেন্সি বিভক্তিকরণের কথা চিন্তা করতে থাকে। এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করে স্যার র‍্যাডক্লিফ ফুলার এবং স্যার এন্ড্রু ফ্রেজার। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বড়লাট লর্ড কার্জনও বহুবার বিষয়টি আলোচনা করেন। অতঃপর ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়ে দুটি ভাগে ভাগ হয়-

১. বাংলা প্রদেশ : পশ্চিম বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা নিয়ে - গঠিত হয়েছিল বাংলা প্রদেশ। কলকাতা ছিল এর রাজধানী ।

২. পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ : ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও আসামকে নিয়ে পূর্ববঙ্গ ও আসাম নামে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয় এবং এর রাজধানী হয় ঢাকায়। নতুন প্রদেশের আয়তন ছিল ১,০৬,৫০৪ বর্গমাইল। এর লোকসংখ্যা ছিল ৩ কোটি ১০ লক্ষ। জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ছিল মুসলমান।

বঙ্গভঙ্গের কারণসমূহ : নিম্নে বঙ্গভঙ্গের কারণগুলো দেওয়া হলো : 

১. শাসনতান্ত্রিক কারণ; 

২. রাজনৈতিক কারণ; 

৩. ভাগ কর শাসন কর নীতি; 

৪. অর্থনৈতিক কারণ; 

৫. সামাজিক কারণ এবং 

৬. সাংস্কৃতিক কারণ ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বঙ্গভঙ্গের কারণ হিসেবে শাসনকার্যের সুবিধাকে প্রাধান্য দিলেও মূলত এর পিছনে কারণ ছিল “ভাগ কর শাসন কর” নীতি কায়েম করা। তবে বঙ্গভঙ্গকে মুসলমানরা স্বাগত জানালেও হিন্দু সম্প্রদায় বঙ্গমাতার অঙ্গচ্ছেদ বলে আখ্যা দিয়ে তা বর্জন করে। ফলে বঙ্গভঙ্গ ১৯১১ সালে রদ করতে বাধ্য হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বঙ্গভঙ্গ কি | বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বঙ্গভঙ্গ কি | বঙ্গভঙ্গ বলতে কি বোঝায়  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ