ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন  টি।

ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন
ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন

ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় শিরোনামে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

প্রতিবেদকের নাম : মোজাম্মেল হোসেন জুয়েল

প্রতিবেদনের শিরোনাম : “ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়

প্রতিবেদনের তারিখ : ২৮ জুলাই, ২০২২

প্রতিবেদকের ঠিকানা : আজিমপুর, ঢাকা

“ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়'

সম্প্রতি ইভটিজিং সমস্যা দেশব্যাপী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটছে। এমনকি এর ফলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। যদিও অনেকে এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দিতে চাইছেন, কিন্তু কার্যকারণ সম্পর্ক অনুসন্ধান করলে আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, প্রতিটি ঘটনার মূলে রয়েছে একটি অভিন্ন কারণ। সেটি হচ্ছে সামাজিক মুল্যবোধের অবক্ষয় । বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ভাবিয়ে তুলছে। তারা বলছেন, সমস্যাটি নিয়ে সরকারকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। কারণ, কঠোর শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে সাময়িকভাবে এই ইভটিজিংয়ের সংস্কৃতি থেকে নিবৃত্তি পেলেও অদূর ভবিষ্যতে তা পুনরায় দেখা দিতে পারে। তাই, সমাজ থেকে এই বিষবৃক্ষকে চিরতরে উচ্ছেদ করতে হবে।

ইভটিজিংয়ের একাধিক ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মূলত স্কুল-কলেজগামী বিভিন্ন বয়সী তরুণী, গণ-পরিবহনে ভ্রমণকারী নারী-শিশু এবং পথচারী নারীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। এক্ষেত্রে, তাদের লক্ষ্য করে বাজে মন্তব্য, শিস, অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা হয়। কখনো ঢিল ছুঁড়ে মারা, এমনকি শারীরিক লাঞ্ছনাও কখনো করা হয়। ইভটিজাররা হয়ে থাকে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার; উঠতি তরুণ, বখাটে, উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া ছেলে, নেশাখোর, ছিনতাইকারী, এমনকি ভদ্রবেশধারী শিক্ষিত যুবক বা ছাত্র। নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধের চরম অধপতনের ফলে এসব ইভটিজাররা নারীদের ব্যাপারে ঘৃণ্য মানসিকতা পোষন করে। তাছাড়া, পূঁজিবাদী পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বিলবোর্ড থেকে শুরু করে নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপনসহ সবকিছুতে নারীদের পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করছে। ফলে, নারীরা কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে নিজ গৃহ, কোথাও নিরাপদ নেই। ইভটিজিংয়ের শিকার নারীরা এক ধরনের মেন্টাল ট্রমার মধ্য দিয়ে যান। অনেক সময় তারা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারেন না, অনেক সময় তাদের বেছে দিতে হয় মৃত্যুর পথ। আর প্রতিদিন দেশব্যাপী যে পরিমাণ ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে তার সিকিভাগ আসে প্রকাশ্যে, প্রায় সব ঘটনাই থেকে যায় পর্দার অন্তরালে। বেশিরভাগ নারীই লোকলজ্জার ভয়ে প্রকৃত সত্য গোপন করেন বা পুরো ঘটনাই চেপে যান। এভাবে প্রতিদিন অদৃশ্যে সংঘটিত হয়ে যায় অসংখ্য ট্র্যাজেডি, যার প্রমাণ সম্প্রতি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছে। সুতরাং ইভটিজিংয়ের ভয়াল থাবা দেশকে পেছনে ঠেলে দেওয়ার আগেই সর্বস্তরে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ, জাগ্রত করতে হবে সামাজিক মূল্যবোধ ।

[এখানে প্রতিবেদকের ঠিকানাসহ খাম আঁকতে হবে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ইভটিজিং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রতিবেদন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ