হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন  টি।

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন
হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন

হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন

 উত্তর : ভূমিকা : ইসলামের ইতিহাসে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছেন। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ উমাইয়া শাসন আমলের একজন প্রতিনিধি ছিলেন। উমাইয়া শাসনের জন্য তার অবদান ইতিহাসে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। উমাইয়া বংশের অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারে এবং এর গৌরবার্জনে হাজ্জাজের অবদান ছিল অসামান্য ।

→ হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পরিচয় : নিম্নে হাজ্জাজ বিন ইউসুফের পরিচয় তুলে ধরা হলো :

১. জন্ম ও পরিচয় : হাজ্জাজ হেজাজ প্রদেশের তায়েফের অধিবাসী ছিলেন। ৬৬১ খ্রি. তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম জীবনে তিনি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। খলিফা আব্দুল মালিক হাজ্জাজ বিন ইউসুফকে নিজ দরবারে চাকরিতে নিযুক্ত করেন ।

২. শাসক ও সেনাপতি পদ লাভ : খলিফা আব্দুল মালিক হাজ্জাজকে মক্কায় প্রেরণ করেন আব্দুল্লাহ বিন যুবায়েরকে দমন করার জন্য। ৬৯২ সালে আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের আরাফাতের যুদ্ধে হাজ্জাজের হাতে পরাজিত ও নিহত হন। এরপর হাজ্জাজ ইরাকের শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। অতঃপর উমাইয়া সাম্রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহ দমনের জন্য আব্দুল মালিক হাজ্জাজকে পূর্বাঞ্চলীয় শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন।

৩. বিজেতা হিসেবে : খলিফা ওয়ালিদের পূর্বাঞ্চলীয় শাসনকর্তা হাজ্জাজ বিন ইউসুফের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মুসলিম সাম্রাজ্য পূর্ব দিকে সম্প্রসারিত হয়। তিনি একজন শ্রেষ্ঠ বিজেতা ছিলেন। তিনি ইয়াজিদ বিন মুহাল্লা ও কুতাইবা ইবনে মুসলিকে মধ্য এশিয়ায় প্রেরণ করে উমাইয়া সাম্রাজ্যের সীমা বৃদ্ধি করেন। তার নির্দেশে জামাতা মুরশাদ বিন ৭১২ সালে সিন্ধু ও মুলতান জয় করেন। এরপর ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনা করেন।

৪. নিষ্ঠুর শাসক : ইসলামের ইতিহাসে হাজ্জাজ নিষ্ঠুর শাসক ছিলেন। তাকে ইতিহাসের নরহত্যার কসাই বলা হয় ।

৫. শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন : প্রদেশসমূহে শান্তি স্থাপনের পর হাজ্জাজ অর্থনৈতিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন। রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য তিনি প্রজাদের ওপর কিছু নতুন কর ও খাজনা ধার্য করেন। ফলে রাষ্ট্রের আয় বৃদ্ধি পায়।

৬. আরবি ভাষার উৎকর্ষ সাধন : সাধারণ মানুষ যাতে . কুরআন শরীফ সুষ্ঠুভাবে পড়তে পারে সেজন্য হাজ্জাজ আরবি ভাষায় হরকত ও নোকতার প্রচলন করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, উমাইয়া খিলাফতে আব্দুল মালিক ও আল ওয়ালিদের আমলে যেসব শাসনতান্ত্রিক ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা যা কিছু গৌরবের ও উল্লেখযোগ্য তার অধিকাংশই হাজ্জাজ বিন ইউসুফের অবদান। ইতিহাস যে হাজ্জাজকে নরহত্যার কসাই বলা হয় তার শাসনতান্ত্রিক নিয়ম নীতির কাছে তা প্রায় ম্লান হয়ে যায়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কে ছিলেন  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ