খালিদ বিন ওয়ালিদ কে ছিলেন
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো খালিদ বিন ওয়ালিদ কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের খালিদ বিন ওয়ালিদ কে ছিলেন টি।
![]() |
খালিদ বিন ওয়ালিদ কে ছিলেন |
খালিদ বিন ওয়ালিদ কে ছিলেন
উত্তর : ভূমিকা : খালিদ বনি ওয়ালিদ ছিলেন ইসলামের একজন সর্বশ্রেষ্ঠ সেনাপতি। তিনি নিজ যোগ্যতা দ্বারা নব প্রবর্তিত ইসলাম ধর্ম ও ইসলামি রাষ্ট্র রক্ষা করে ইসলামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর বীরত্বপূর্ণ ও প্রজ্ঞাপূর্ণ ভূমিকা ইসলামের ইতিহাসে অনস্বীকার্য।
→ খালিদ বিন ওয়ালিদের পরিচয় : খালিদ বিন ওয়ালিদ মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সমসাময়িক ছিলেন। প্রথম জীবনে ইসলামের ঘোর শত্রু হলেও পরবর্তীতে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে এর সেবা এবং সম্প্রসারণে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন।
নিম্নে খালিদ বিন ওয়ালিদের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
১. জন্ম ও পরিচয় : বিখ্যাত সাহাবি খালিদ বিন ওয়ালিদ কুরাইশ বংশের মাখযুম গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল ওয়ালিদ ও মাতার নাম ছিল লুবাবা বিনতে হারিস।... কিশোর বয়সেই খালিদ বিন ওয়ালিদ অশ্বচালনা, তীরান্দায়ী, তলোয়ার চালনায় পারদর্শী হয়ে উঠেন। হিজরী ষষ্ঠ সাল পর্যন্ত তিনি মহানবির একজন ঘোরতর শত্রু ছিলেন। ৮ম হিজরি সনে তিনি ইসলাম কবুল করেন। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে খালিদ বিন ওয়ালিদ কাফিরদের দলভুক্ত হয়ে মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেন। উহুদ যুদ্ধে তিনি ছিলেন কাফিরদের দলে। তাঁর সুনিপুণ যুদ্ধ পরিচালনায় মুসলমানগণ এক পর্যায়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছিলেন । ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর সুদক্ষ পরিচালনায় মুসলিম বাহিনী বিভিন্ন রণাঙ্গনে বিজয়ের গৌরব অর্জন করেন।
২. বীরত্ব ও রণকৌশল : ৬২৯ সালে খালিদ মুতার যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করেন। মুতার যুদ্ধে একে একে তিন জন মুসলিম সেনাপতি শহিদ হন। এতে মুসলিম বাংলার মন ভেঙে পড়ে । এ সংকটময় মুহূর্তে হজরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) বিস্ময়কর উদ্দীপনা ও শৌর্যবীর্য প্রদর্শন করেন। খালিদ এর বীরত্বের কারণে মুতার যুদ্ধে মুসলমানগণ বিজয় লাভ করেন। মুতার যুদ্ধে | হজরত খালিদ (রা.)-এর বীরত্ব ও সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে মহানবি (সা.) তাঁকে উপাধি দেন সাইফুল্লাহ বা আল্লাহর তরবারী । তিনি মক্কা বিজয়ে অংশগ্রহণ করেন।
৩. সেনাপতি পদ লাভ : হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হজরত আবু বকর (রা.) খলিফা হয়ে তিনি খালিদ বিন ওয়ালিদকে সেনাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। ভণ্ড নবি তোলায়হাকে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.) পরাজিত করেন। ইয়ামামার যুদ্ধে মুসায়লামাকে পরাজিত করে হত্যা করেন। ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে আজদাইনের যুদ্ধ তিনি যোগ্যতার পরিচয় দেন। ৬৩৬ সালে ইয়ারমুকের যুদ্ধে খালিদ রোমান বাহিনীকে পরাজিত করে সমগ্র সিরিয়া দখল করেন। পরে তিনি সিরিয়ার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।
৪. সেনাপতির পদ থেকে অপসারণ: খালিদ বিন ওয়ালিদ, জীবনে কোনো যুদ্ধে পরাজিত হননি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাঁর শেষ জীবন বড় দুঃখময় হয়েছিল। হঠাৎ কতিপয় অভিযোগে খলিফা তাঁকে প্রধান সেনাপতি পদ থেকে অপসারণ করেন। ৬৪২ সালে তিনি মারা যান ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খালিদ বিন ওয়ালিদ প্রথম অবস্থায় ইসলামের শত্রু ছিলেন। কিন্তু হুদায়বিয়ার সন্ধির পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করে ইসলামের খেদমতে আত্মনিয়োগ করেন। ইসলামকে সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা এবং এর সম্প্রসারণে খালিদের ভূমিকা অমর হয়ে থাকবে।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ খালিদ বিন ওয়ালিদ কে
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম খালিদ বিন ওয়ালিদ কে টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।