মদিনা সনদের শর্ত গুলি বর্ণনা করো
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মদিনা সনদের শর্ত কতটি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মদিনা সনদের শর্ত কতটি টি।
মদিনা সনদের শর্ত গুলি বর্ণনা করো |
মদিনা সনদের শর্ত গুলি বর্ণনা করো
উত্তর : ভূমিকা : পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্রই হলো মদিনা সনদ। মদিনায় নবপ্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা, মুসলিমরাসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা যেন সম্মানজনক সহাবস্থান করতে পারে তার জন্য হজরত মুহাম্মদ (সা.) একটি সনদ প্রণয়ন করেন। এই সনদের মধ্যে যারা সাক্ষর করবে তাদের জন্য সনদের ধারাগুলো মেনে চলা অত্যাবশ্যক হয়ে যাবে। এটি কোন ধর্মের জন্য এককভাবে প্রণীত ছিলনা বিধায় মদিনার ইহুদি, খ্রিস্টানসহ অন্যান্যরা এতে সাক্ষর করেছিল আর ইতিহাসে এটিই মদিনা সনদ নামে পরিচিত। ঐতিহাসিক PK. Hitte বলেন,মদিনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে ইসলামি সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্থাপন করে। “Out of religious community of Al-Madina the later and larger state of Islamic arose- Histoty of the Arabs
.→ মদিনা সনদের পাঁচটি ধারা :
১. জাতি গঠন : মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক এবং মুসলমানগণ মদিনা রাষ্ট্রে সমান অধিকার পাবে এবং সকলে মিলে একটি জাতি গঠন করবে।
২. ধর্মীয় স্বাধীনতা : মদিনা রাষ্ট্রে বসবাসরত সকলে নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে। কেউ কারো ধর্মের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। এতে সকলের ধর্মীয় অধিকার নিশ্চিত হয় এবং ইহুদি খ্রিস্টানৱা উদ্বুদ্ধ হয় ৷
৩. গোপনীয়তা রক্ষা এবং শত্রু প্রতিহত : মদিনার কোন সম্প্রদায় মক্কার কুরাইশদের সাথে কোন প্রকার সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হতে পারবে না এবং কোন প্রকার তথ্য বা সংবাদ সরবরাহ করতে পারবে না। সনদে স্বাক্ষরকৃত কোন সম্প্রাদায়কে মদিনার বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে তা সকলে সম্মেলিতভাবে প্রতিহত করবে।
৪. মহানবির কর্তৃত্ব : প্রধান কার্য নির্বাহির দায়িত্বে ছিলেন মহানবি হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি নব গঠিত মদিনা প্রজাতন্ত্রের পদাধিকার বলে সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন ।
৫. কুরাইশদের শত্রু ঘোষণা : সনদে মক্কার কুরাইশদেরকে মদিনা রাষ্ট্রের প্রকাশ্য শত্রু বলে ঘোষণা করা হয়। আর তাই মদিনার কেউ তাদের সাহায্য করতে পারবে না। সকলে মিলে এই শত্রুর আক্রমণকে প্রতিহত করবে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মদিনা সনদ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, কূটনৈতিক পারদর্শিতা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করে। তাই প্রাচ্যের মনীষীগণ আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, Oh men of the world, if you want to find out peace from this world you never find you may go to Madina, you may go to Madina.
আর্টিকেলের শেষকথাঃ মদিনা সনদের শর্ত কয়টি
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মদিনা সনদের শর্ত কয়টি টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।