ঔপনিবেশিক শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব বিকাশ ও ফলাফল আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো ঔপনিবেশিক শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব বিকাশ ও ফলাফল আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ আলোচনা কর ।

ঔপনিবেশিক শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব বিকাশ ও ফলাফল আলোচনা কর
ঔপনিবেশিক শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব বিকাশ ও ফলাফল আলোচনা কর

ঔপনিবেশিক শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব বিকাশ ও ফলাফল আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : ভারতীয় উপমহাদেশে প্রধানত দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে। একটি হিন্দু অপরটি মুসলিম। ভারতীয় ব্রিটিশ শাসন অর্জিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাংলার হিন্দু ও মুসলমানদের সধ্যে সাংস্কৃতিক ও জাতীয় ঐক্য সম্প্রীতি বজায় ছিল। কিন্তু ভারতে ব্রিটিশ শাসন কায়েম হলে তা নষ্ট হয়ে যায় এবং তাদের মধ্যে বৈষম্য দেখা দেয়। হিন্দু ও মুসলমানরা ক্রমান্বয়ে দূরে সরে যায়। একে অন্যের পরিপূরক না ভেবে শত্রু ভাবা আরম্ভ করে । ফলে তাদের মধ্যে জন্ম নেয় সাম্প্রদায়িক জাতীয়তা। মুসলমানরা তাদের ধর্মের ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে ইসলামি জাতীয়তা সৃষ্টি করে। অন্যদিকে হিন্দুরাও তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনকে কেন্দ্র করে হিন্দু জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করে ।

→ সাম্প্রদায়িকতা : সাধারণভাবে সাম্প্রদায়িকতা বলতে ধর্মের নামে ধর্মাতিরিক্ত লক্ষ্য সিদ্ধির জন্য কাজ করাকে বুঝায়। এরূপ সাম্প্রদায়িকতাসম্পন্ন কোনো সম্প্রদায় ধর্মকে ধর্মান্ধতায় রূপান্তর করে এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নিজেদের প্রভাব প্রতিপত্তি বিস্তারের কাজে আত্মনিয়োগ করে। তাই সাম্প্রদায়িকতা কথাটিকে বিভিন্ন অর্থে বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করা হয়। সাম্প্রদায়িক মনোভাব সম্পন্ন লোকেরা মনে করেন যে, তাদের ধর্মের অনুরাগীদের সকল স্বার্থ অভিন্ন এবং তা অন্য সম্প্রদায় থেকে পৃথক। এ সকল লোকেরা ধর্মীয় বিশ্বাসকেই সমাজ ও রাজনীতির ভিত্তি বলে মনে করে থাকেন। তাছাড়া সাম্প্রদায়িকেরা সাম্প্রদায়িক মতে বিশ্বাস করে বিধায় তারা ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে দেশের জনগণের ঐক্য স্থাপনকে সমর্থন করে না ।

→ ঔপনিবেশিক শাসন আমলে সাম্প্রদায়িকতা উদ্ভবের  কারণ : উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের শুরু থেকে কয়েক শতক পর্যন্ত হিন্দু ও মুসলমানরা ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক আবহাওয়ার পাশাপাশি বসবাস করে নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি বজায় রেখে চলেছে। এ সময় পর্যন্ত হিন্দু ও মুসলমানদের ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা নিজেদের ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখে । কিন্তু যখনই ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের শুরু হয়। তখন হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে ব্যবধানের প্রাচীর গড়ে উঠে। শুরু হয় সাম্প্রদায়িকতা। নিম্নে ভারতের ঔপনিবেশিক শাসন আমলে সাম্প্রদায়িকতা উদ্ভবের কারণসমূহ আলোচনা করা হলো :

১. ধর্মীয় কায়েমি স্বার্থের প্রভাব : ভারতবর্ষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোক বসবাস করে আসছিল। এভাবে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে সামাজিক দ্বন্দ্ব থাকা স্বাভাবিক। এ সকল দ্বন্দ্ব ছিল মূলত সুবিধাভোগী শ্রেণির সাথে অধিকারহীন শ্রেণির দ্বন্দ্ব। ব্রিটিশ শাসন শুরু হলে ভারতে এই সকল শ্রেণির দ্বন্দ্ব আরও প্রকট আকার ধারণ করে এই সুযোগে একধরনের কায়েমি স্বার্থ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকেদের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ ঢুকিয়ে দেয়। শুরু হয় সাম্প্রদায়িকতার প্রথম ধাপ ৷

২. ব্রিটিশদের চক্রান্ত : ব্রিটিশদের চক্রান্তই ভারতে সাম্প্রদায়িক, বিভেদ সৃষ্টির পিছনে বিশেষভাবে দায়ী। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন ঘটলে ইংরেজরা ভারতবর্ষে মুসলমান সম্প্রদায়কে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে শুরু করেন। কেননা তারা মনে করতো যে, ভারত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে একমাত্র মুসলমানরাই মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই মুসলমানদেরকে পিছনে রেখে ব্রিটিশরা হিন্দুদেরকে সহায়তা দিতে থাকেন যা হিন্দু মুসলমান বিভেদ ঘটিয়ে সাম্প্রদায়িকতার পথ প্রশস্ত করে।

৩. হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বৈষম্যের সৃষ্টি : ভারতে ঔপনিবেশিক শাসন আমলে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে বৈষম্য সৃষ্টি হয় তা সাম্প্রদায়িকতার পিছনে ইন্ধন জোগায় । ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে যে শিক্ষা সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চা গড়ে তুলেছিল হিন্দুরা তা গ্রহণ করলেও মুসলমানরা তা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। যার ফলে সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে অফিস আদালত ব্যবসা-বাণিজ্যে হিন্দুরা একতরফাভাবে এগিয়ে যায়। মুসলমানরা এ সকল প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। যার ফলে তারা হিন্দুদেরকে প্রতিপক্ষ ভাবতে শুরু করে। যা সাম্প্রদায়িকতার জন্ম দেয়।

৪. মুসলমানদের ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব : ব্রিটিশ শাসনের পূর্বে সমগ্র ভারতবর্ষ মোটামুটিভাবে মুসলমানদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হতো। কিন্তু ব্রিটিশরা মুসলিম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতীয় মুসলমানরা তাই কোনোদিনও ব্রিটিশদেরকে ভালো চোখে দেখতে পারেনি। তাই মুসলমানরা ছিল ব্রিটিশদের বিপক্ষে অন্যদিকে হিন্দুরা ছিল ব্রিটিশদের পক্ষে। ফলে তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

৫. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তন : ১৭৯৩ সালে ব্রিটিশ সরকারের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভারতে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে। কেননা এতে মূলত হিন্দু জমিদারদেরই লাভ হয়। অন্যদিকে হিন্দু জমিদারদের অধীনস্থ মুসলিম প্রজাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে। এতে মুসলমানদের এ ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, ভারতে ব্রিটিশ শাসন হিন্দুদের পরিপোষণ করার নীতি গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ হিন্দু ও মুসলমানদের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবনতি হয় ।

৬. হিন্দুদের চক্রান্ত : ভারতবর্ষের বেশির ভাগ কৃষক ও কারিগর শ্রেণির লোকেরা ছিল মুসলমান। ঔপনিবেশিক শাসনামলে অর্থনীতি ও আইনের কাঠামো মুসলমান কৃষকদেরকে আদালত ও হিন্দু আইনজীবীর দ্বারস্থ হতে এবং মুসলিম কারিগরদেরকে হিন্দু ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়তে বাধ্য করেছিল। এর ফলে অশিক্ষিত ও অনগ্রসর দরিদ্র মুসলমান ও কারিগরদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠে ।

৭. বিভিন্ন বৈষম্যমূলক নীতি : ঔপনিবেশিক শাসনামলে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল তাতে হিন্দু মহাজনরা ঋণের নামে সমগ্র কৃষক সমাজকে বিশেষ করে দরিদ্র মুসলমান কৃষকদের বেঁধে ফেলে। ফলে ঋণের দায়ে বহু মুসলমান জমি হারান। তাছাড়া বাধ্যতামূলক বাণিজ্যিক পণ্য উৎপাদনের নীতি চালু করা হলে কৃষিক্ষেত্রে মুসলমানসহ অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের কৃষকদের নির্ভর করতে হতো হিন্দু ব্যবসায়ীদের উপর।

৮. ব্রিটিশ সরকারের মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি : ব্রিটিশ সরকার সবসময়ই মুসলমানদের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে আসছিল । কেননা তারা দেখতে পায় যে, ভারতে ছোট বড় অনেকগুলো আন্দোলন ও বিদ্রোহ সংঘটিত হয় মুসলমানদের নেতৃত্বে। বিশেষ করে ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ সরকার মুসলমানদের প্রতি চরম নেতিবাচক দৃষ্টি প্রদান করে, যা সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ঘটায়।

৯. ধর্মভিত্তিক সংগঠন : ঔপনিবেশিক শাসন আমলে বেশ কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠন গড়ে উঠে। যা সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে। যেমন ১৮৬৭ সালে বেনারসের হিন্দুরা ‘উর্দু' ভাষার পরিবর্তে ‘হিন্দি' ভাষার প্রচলনের জন্য আন্দোলন করেন। এতে মুসলমানরা ক্ষুব্ধ হন। তাছাড়া একই বছর নবগোপাল মিত্র 'হিন্দু মেলা' নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এটি ছাড়াও এসময় হিন্দুদের কিছু ধর্মীয় সংগঠন জনপ্রিয়তা লাভ করে, যা | সাম্প্রদায়িকতাকে বাড়িয়ে তুলে।

১০. ধর্মীয় জাতীয়তাবোধের বিকাশের : ঊনবিংশ শতাব্দীর | মাঝামাঝিতে কিছু ইংরেজদের ভূমিকায় হিন্দু সমাজে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের সূচনা হয় যা রাজনীতিতে প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন হিন্দু কবি সাহিত্যিক তাদের রচনার মধ্য দিয়ে হিন্দুদেরকে হিন্দু জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করেন। তারা মুসলমান শাসনকে নেতিবাচকভাবে বর্ণনা করেন এবং ব্রিটিশ শাসনের প্রসংশা করেন। হিন্দুদের এ জাতীয়তাবোধ দেখে ইসলামি আলেমগণ মুসলিম জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তোলার প্রয়াস পান। তারা বিভিন্নভাবে হিন্দুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেন, যা সাম্প্রদায়িকতার সূত্রপাত ঘটায় ।

১১. কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা : ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হলে সাম্প্রদায়িক সমস্যা আরও বেশি করে ঘনীভূত হয়ে আসে। কেননা মুসলমানগণ লক্ষ করেন যে, কংগ্রেস একটি হিন্দু প্রধান রাজনৈতিক দল। এর বেশির ভাগ সদস্যই ছিল হিন্দু। তাছাড়া এ সময় ভারতে উর্দু-হিন্দি বিরোধ সৃষ্টি হয়। এক কথায় কংগ্রেসের সকল সিদ্ধান্ত ছিল মুসলিম বিরোধী। এতে মুসলমানরা ক্ষুব্ধ হন এবং নিজেরাও বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন গড়ে তোলেন ।

১২. মনীষীদের প্রভাব : ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন আমলে ভারতে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের কিছু মনীষীর উদ্ভব ঘটে। এই মনীষীরা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টিতে প্রভাব রাখে। রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ ছিলেন হিন্দু মনীষী । তারা হিন্দুদেরকে বিভিন্নভাবে জাগিয়ে তোলেন। অন্যদিকে এ সময় স্যার সৈয়দ আহমদ খান, সৈয়দ আমীর আলী, নওয়াব আবদুল • লতিফের মতো কিছু মুসলিম মনীষী মুসলমানদেরকে জাগ্রত করে। ফলে উভয় সম্প্রদায় মুখোমুখি অবস্থান নেয় ।

১৩. বঙ্গভঙ্গ : ব্রিটিশরা ১৯৩৫ সালে মুসলমানদেরকে কিছু সুবিধা দিয়ে বঙ্গকে বিভক্ত করেন। কিন্তু এটা ছিল মূলত ব্রিটিশদের ভাগ করা ও শাসন করা নীতিরই বহিঃপ্রকাশ। হিন্দুরা মুসলিম সুবিধা সম্বলিত এই বঙ্গভঙ্গকে মেনে নিতে পারেনি। এ কারণে মুসলমানরা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে আর হিন্দুরা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে থাকে, যা সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি করে ।

১৪. মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা : ১৯০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় সর্বভারতীয় মুসলিম লীগ গঠিত হয়। এটি ছিল মুসলমানদের একটি রাজনৈতিক সংগঠন বিধায় এর সকল সদস্যই ছিল মুসলমান। তারা মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় কর্মসূচি গ্রহণ করেন। হিন্দুরা এতে অসন্তুষ্ট হন। তারা জাতীয় কংগ্রেসের মাধ্যমে মুসলিম লীগের বিরোধিতা করেন। যার ফলে হিন্দু মুসলমানদের বৈরিতা চরম আকার ধারণ করে সাম্প্রদায়িকতায় রূপ নেয় ৷

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্প্রদায়িক সমস্যা হচ্ছে ব্রিটিশদের দ্বারা সৃষ্ট একটি সমস্যা। ঔপনিবেশিক শাসন কায়েম করার জন্য ব্রিটিশরা সুকৌশলে হিন্দু ও মুসলমানদেরকে উভয়ের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। যার ফলে এতদিন একসাথে বসবাসকারী হিন্দু ও মুসলমানগণ একে অপরের শত্রু ভাবতে থাকে। শুরু হয়ে যায় সাম্প্রদায়িকতা। পরবর্তীতে নানা কারণে এই সাম্প্রদায়িকতা তীব্র আকার ধারণ করে। যা শেষ পর্যন্ত অখণ্ড ভারত বর্ষকে খণ্ডিত করে ফেলে । পরবর্তীতে হিন্দু আর মুসলমানরা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুটি জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আত্মপ্রকাশ করে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ ঔপনিবেশিক শাসনামলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিকাশ ও এর ফলাফল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম ঔপনিবেশিক শাসন আমলে সাম্প্রদায়িকতার উদ্ভব ও বিস্তার ও ফলাফল  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ