সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন | একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন | একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন class 9  টি।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন
সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন

একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো

“তরা’য় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ১৫, আহত ২০

জেলা প্রতিনিধি ॥ মানিকগঞ্জ ॥ ১৬ জানুয়ারি, ২০২২॥ গত ১৫ জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯টায় মানিকগঞ্জ শহর থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে তরা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে। ঢাকাগামী একটি মিনিবাস (ঢাকা ক-২৭৮০) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী মেহগনি গাছের সাথে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা লাগে এবং পাশের খাদে পড়ে যায় । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন কুয়াশার ভেতর দ্রুতগতিতে বাঁক নেওয়ার সময় গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে কোনো যাত্রীই অক্ষত ছিল না। দুর্ঘটনার প্রচণ্ড শব্দ এবং আর্ত- চিৎকার শুনে আশপাশের গ্রামের লোকজন ছুটে আসে এবং উদ্ধার কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলেই চালকসহ ৫ জন যাত্রী নিহত হয়। বাস যাত্রীদের ২৮ জনকে আহত অবস্থায় মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ।

তরা থেকে টেলিফোনে খবর পেয়ে মানিকগঞ্জ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স আসে। পুলিশও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে মৃতদেহগুলোর দায়িত্ব গ্রহণ করে । পরবর্তীতে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৮ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ২ জন মারা যায় বলে জানা গেছে। আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে যান এক মহিলা যাত্রী । তিন ঘণ্টা পর মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে তার জ্ঞান ফেরার পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় । তিনি জানান, যদিও নিয়মানুসারে মিনিবাসটির যত্রতত্র থামা উচিত নয় তবুও অতিরিক্ত আয়ের লোভে তারা সব স্টপেজ থেকে যাত্রী ওঠা-নামা করিয়েছে। এর ফলে যাত্রা বিলম্ব ঘটেছে। সিন্ডিকেটের নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করলে ফাইন দিতে হয়। তাই দ্রুত চালিয়ে সে সময়টুকু বাঁচাতে গিয়েই বাসটি এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। মিনিবাসের ধারণক্ষমতা ২০ জন যাত্রী, কিন্তু আহত ও নিহতের সংখ্যা যোগ করলে হয় ৩৫ জন । অর্থাৎ মিনিবাসটিতে অতিরিক্ত যাত্রীবহনই ছিল এ দুর্ঘটনার মূল কারণ ।

তবে স্থানীয় জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা প্রমাণ করেছে মানবতার মৃত্যু নেই। যার যতটুকু সামর্থ্য তারা তা প্রয়োগ করেছেন। অবশ্য এর মাঝেও অনেকের হাতঘড়ি, গলার হার, আঙুলের আংটিসহ অন্যান্য জিনিসপত্র খোয়া গেছে বলে জানা যায় । প্রতিবেদক সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শিউরে ওঠেন । জমাটবাঁধা রক্ত, দুমড়ানো মোচড়ানো মিনিবাস, সবকিছু মিলিয়ে বীভৎস এক দৃশ্য।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার প্রতিবেদন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন class 10  টি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ