আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো ।

আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো

আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো

উত্তর : ভূমিকা : উমাইয়া আমলে যুদ্ধবিগ্রহ রাজ্য বিস্তারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হলেও উমাইয়া বংশের ধ্বংস স্তূপের ওপর | প্রতিষ্ঠিত আব্বাসীয়রা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় অঙ্গনে এক বিপ্লব সাধন করতে সক্ষম হয়। এ বংশে ৩৭ জন খলিফা ৭৫০-১২৫৮ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করে।

→ আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য : আব্বাসীয় শাসকগণ তার রাজকার্য পরিচালনার জন্য কতকগুলো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করেন। এগুলো নিম্নরূপ-

১. খলিফা : আব্বাসীয় শাসনামলে খলিফা ছিলেন প্রশাসনব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র। তিনিই ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান কর্তাও সকল ক্ষমতার উৎস। রাষ্ট্রীয় শাসনকার্যের যাবতীয় সিদ্ধান্ত তিনিই নিতেন। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তার কার্যাবলি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। এছাড়াও রাজনৈতিক ক্ষমতাও ছিল সামরিক ও বেসামরিক শ্রেণিতে বিভক্ত।

২. উজির : আব্বাসীয় শাসনের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিল উজির। তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান সাহায্যকারী হিসেবে ভূমিকা রাখতেন। খলিফাকে পরামর্শ ও খলিফার আদেশ পালন করাই ছিল উজিরের প্রধান কাজ। উজির নিয়োগ দেওয়া হতো সত্যবাদী ও মুসলিম জাতি থেকে। কোনো বিধর্মীকে উজির নিয়োগ দেওয়া হতো না।

৩. সর্বজনীন মুসলিম সাম্রাজ্য : আব্বাসীয়গণ উমাইয়াদের আরব আধিপত্যবাদের বেড়াজাল ছিন্ন করে জাতি, ধর্ম, বর্ণ | নির্বিশেষে একটি সর্বজনীন মুসলিম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

৪. ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থা : আব্বাসীয় শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থা। ধর্মীয় আইন-কানুন রাষ্ট্রের প্রত্যেক বিভাগে মেনে চলা হতো।

৫. রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : আব্বাসীয় শাসনব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা। উমাইয়াদের মতো | আব্বাসীয়গণও রাজতন্ত্রের বিশ্বাসী ছিল। তারা উত্তরাধিকার সূত্রে ক্ষমতায় আরোহণে বিশ্বাস করতেন।

৬. সামানীয় প্রভাব : আব্বাসীয় যুগে সামানীয় প্রভাব ব্যাপকভাবে প্রকাশ পায়। সামানীয় শাসনের আদলে এ যুগে উজির জন্মাদ ও রাজকীয় জ্যোতিষীদের নিয়োগ দেওয়া হতো।

৭. হাজিব : আব্বাসীয় শাসনামলে হাজিরের কার্যাবলি ছিল বিদেশে দূতের দরকার-আমন্ত্রণ ও পরিচয় করে দেয়া। অনেক সময় খলিফার অনুপস্থিতিতে প্রজাদের অভিযোগ শুনেন এবং সমাধান দেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আব্বাসীয় আমলের শাসনব্যবস্থায় রাজতন্ত্র প্রচলিত থাকলেও ধর্মতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। মূলত কুরআন-হাদিস কেন্দ্রীক শাসনব্যবস্থা হওয়ায় রাজ্যে শৃঙ্খলা ছিল এবং শাসনকাল দীর্ঘস্থায়ী হয়।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম আব্বাসীয় শাসনের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ