বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির পার্থক্য জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর ।
![]() |
বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর |
বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর
- অথবা, বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যকার বৈসাদৃশ্যগুলো আলোচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো সংস্কৃতি । সংস্কৃতি মানুষের পরিচয় বহন করে । মানব সভ্যতার উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনে সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সংস্কৃতি বস্তুগত ও অবস্তুগত এই দুই ভাগে বিভক্ত। উভয় সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য বিদ্যমান। সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষ তাই বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে। মানুষের টিকে থাকা জ্ঞানের অগ্রগতি সাধন, সভ্যতার বিকাশ সাধন সবই সংস্কৃতির অবদান।
→ বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. মানবজীবনে পার্থিব দিকটি হলো বস্তুগত সংস্কৃতি। অন্যদিকে, মানুষের আদর্শ চিন্তা-চেতনা, ভাষা ইত্যাদি অবস্তুগত সংস্কৃতি ।
২. বস্তুগত সংস্কৃতি মানুষের জীবনধারণের সাথে প্রত্যেক্ষভাবে জড়িত। আর অবস্তুগত সংস্কৃতি মানুষের জীবনধারণের সাথে পরোক্ষভাবে জড়িত ।
৩. বস্তুগত সংস্কৃতি সহজে পরিমাপ করা যায়। কিন্তু অবস্তুগত সংস্কৃতি সহজে পরিমাপ করা যায় না।
৪. বস্তুগত সংস্কৃতি চোখে দেখা যায় ও স্থানান্তর করা যায়। অন্যদিকে, অবস্তুগত সংস্কৃতি চোখে দেখা যায় না । স্থানান্তর করা যায় না ।
৫. বস্তুগত সংস্কৃতি মানুষের বাহ্যিক পরিবর্তন আনে আর অবস্তুগত সংস্কৃতি মানুষের মানসিক পরিবর্তন আনে ।
৬. বস্তুগত সংস্কৃতির চাহিদা বেশি। অন্যদিকে, অবস্তুগত সংস্কৃতির চাহিদা কম ।
৭. দেশ, জাতি দ্বারা বস্তুগত সংস্কৃতি সহজে গৃহীত হয়। পক্ষান্তরে দেশ, জাতি দ্বারা অবস্তুগত সংস্কৃতি সহজে গৃহীত হয় না ।
৮. বস্তুগত সংস্কৃতিতে সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঘটে আর অবস্তুগত সংস্কৃতিতে সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঘটে না ।
৯. বস্তুগত সংস্কৃতি আর্থিক উন্নয়ন ঘটায়। আর অবস্তুগত সংস্কৃতি আর্থিক উন্নয়ন ঘটায় না ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষের জীবনপ্রণালির সমন্বয়ই সংস্কৃতি। সংস্কৃতি এই দুইটি দিকের মধ্যে উপরের পার্থক্য বিদ্যমান। মানবজীবন ও সমাজের উৎকর্ষ সাধন ও বিকাশে সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই সংস্কৃতি হচ্ছে একটি সমাজের রূপরেখা ও পরিচায়ক। কোনো দেশ সংস্কৃতির মাধ্যমে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করে ।
আর্টিকেলের শেষকথাঃ বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় কর
আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির পার্থক্য । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।