বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর ।

বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর
বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর

বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : দশম শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আব্বাসীয় শাসনামলে অনেকগুলো রাজবংশের উত্থান হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম হলো বুয়াইয়া রাজবংশ। তারা (৯৪৫-১০৫৫ খ্রি.) মোট ১১০ বছর ক্ষমতায় আসীন ছিলেন। 

ক্ষুদ্র পরিসরে রাজবংশের কার্যাবলি শুরু করলেও তাদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অবদান ছিল অনেক । যার মধ্যে দিয়ে বুয়াইয়ারা অসামান্য কৃতিত্ব অর্জন করেন ।

 → বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিক : নিম্নে বুয়াইয়াদের দাপ্তরিক প্রশিক্ষণের দিক তুলে ধর :

১. খলিফাকে মর্যাদাহীন করে তোলা : বুয়াইয়াদের আক্রমণ মূলত আব্বাসীয় খিলাফতের ব্যবস্থার হুমকি স্বরূপ ছিল । কেননা আল মুসতাকফি তার নিজের বুদ্ধির অগোচরে তাদেরকে আহ্বান করেছিল। 

বুয়াইয়ারা বাগদাদে আগমন করে নিজ বাহু শক্তি প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন; অবশ্য তারা খলিফার পদটি উচ্ছেদ না করে সুকৌশলে তা বজায় রাখে। 

তারা খলিফাকে সকল ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করে দৈনিক ৫০,০০০ মুদ্রার একজন বৃত্তিধারী ব্যক্তির মর্যাদায় পরিণত করে খলিফাকে হাতের ক্রীড়নকে পরিণত করেন।

২. সকল ক্ষমতা নিজের হস্তগত করা : খলিফা কেবল সুন্নি মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় জীবনের তদারকির কাজ করবেন। তাছাড়া বাগদাদ নগরীর সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বসমূহ বহন করবে বুয়াইয়া শাসকবর্গ ।

৩. পূর্ববর্তী শাসনব্যবস্থা বিলোপ সাধন : আব্বাসীয় খিলাফত বুয়াইয়া ক্ষমতায় আরোহণ করে পূর্ববর্তী সকল শাসনব্যবস্থার বিলোপ সাধন করেন।

৪. আধ্যাত্মিক প্রথা চালুকরণ : তারাই প্রথম জাহানদারি তথা আধ্যাত্মিক প্রথা চালু করেন এবং মনে করতেন খলিফা হারুনুর রশীদ মুসলিম জাহানের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা ।

৫. সৈন্যবাহিনীকে সুসংহতকরণ : শাসন ক্ষমতা স্থায়ী করতে বুয়াইয়া শাসকগণ সর্বপ্রথম সৈন্যবাহিনীর পুনর্গঠনের মধ্যে দিয়ে শক্তিশালী করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বুয়াইয়ারা যে রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিল মূলত খলিফাদের দুর্বলতার সুযোগে তা সম্ভব হয়েছিল। আর তাদের প্রশাসনিক সংস্কার তাদেরকে ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয় করে রাখবে। 

আর্টিকেলের শেষকথাঃ বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম বুয়াইয়াদের প্রশাসনিক দিকগুলো আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ