হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন ।

হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন
হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন

হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন

উত্তর : ভূমিকা : মামুনের খিলাফতকালে যে সকল জ্ঞানী ও পণ্ডিত ব্যক্তি জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চায় বিশেষ অবদান রেখে গেছেন তাদের মধ্যে হুনাইন ইবনে ইসহাক ছিলেন গৌরবের আসনে সমাসীন।

 হুনাইন বিন ইসহাক ছিলেন একজন পণ্ডিত চিকিৎসক ও অনুবাদক। খলিফা আল মামুন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাইতুল হিকমা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ছিলেন হুনাইন বিন ইসহাক। 

তার অপরিসীম দক্ষতা অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে খলিফা আল মামুনের সময় জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মুসলমানদের অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়।

→ হুনাইন বিন ইসহাকের পরিচয় :  হুনাইন বিন ইসহাক ছিলেন মামুনের রাজদরবারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, মনীষী, চিকিৎসক ও অনুবাদক। ৮০৯ খ্রিস্টাব্দে পারস্যের হীরায় তার জন্ম। প্রথমে তিনি ছিলেন নেস্টোরিয়ান খ্রিস্টান। 

হুনাইন বিন ইসহাক প্রথম জীবনে চিকিৎসক মাসাওয়ার সহকর্মী ছিলেন। গ্রিক ভাষা শিক্ষা লাভ করে তিনি গ্রিক অঞ্চল থেকে পাণ্ডুলিপি উদ্ধারের কাজে নিয়োজিত হন। এরা মামুনের রাজ্যবৈদ্য জিব্রিল ইবনে বখতিয়াওর অধীনে চাকরি করতেন। 

খিলফা আল মামুন জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসারের জন্য বাগদাদে ৮৩০ সালে বাইতুল হিকমা প্রতিষ্ঠিত করে হুনাইন ইবনে ইসহাককে এর মহাপরিচালক নিযুক্ত করেন। হুনাইন এরিস্টটলের Hetmenceutica গ্রন্থটি প্রথমে গ্রিক হতে সিরীয় ভাষায় এবং গ্যালেন, হিপোক্রিটাস, প্লেটো, এরিস্টটল, টলেমী প্রমুখ ব্যক্তিদের গ্রন্থরাজি আরবিতে অনুবাদ করে অমর হয়ে আছেন। 

এছাড়াও জ্যোতিষ শাস্ত্রের ওপর গ্রিকভাষার বিভিন্ন বই তিনি আরবিতে অনুবাদ করে সেগুলোকে সংরক্ষণ করেন। তার এই মহামূল্যবান অনুবাদ কর্ম মুসলিমদের জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চাকে অভূতপূর্বভাবে গতিসম্পন্নতা দান করেন। 

তিনি অনুবাদকৃত বইয়ের ওজনের সমপরিমাণ স্বর্ণমুদ্রা বা দিরহাম পারিশ্রমিক পেতেন। ইসলামের জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চার অগ্রগতিকে তার অবদান অনস্বীকার্য।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, হুনাইন ইবনে ইসহাক মামুনের রাজত্বকালের একজন সুবিখ্যাত পণ্ডিত, চিকিৎসক ও অনুবাদক। তার মূল্যবান অনুবাদ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রায় বিখ্যাত গ্রন্থরাজি আরবি ভাষায় সংরক্ষিত হয়ে আছে এবং 

এর ফলে মামুনের রাজত্বকালে ইসলামের ইতিহাসে জ্ঞানবিজ্ঞানের চর্চার এক নবদিগন্তের সূচনা করেন। জ্ঞানবিজ্ঞানের অগ্রগতিতে হুনাইন ইবনে ইসহাকের অবদান অনস্বীকার্য।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম হুনাইন ইবনে ইসহাক কে ছিলেন। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ