মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখ কর।

মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি কি
মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি কি

মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি কি

  • অথবা, মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখ কর। 
  • অথবা, মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা কর।

উত্তর : ভূমিকা : তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সমাজস্থ নারীর অধিকার রক্ষায় ‘নারীবাদ'-এর ধারণাটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা উন্নয়নের সাথে নারীর সম্পর্ক ও রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে নারীর অবদানের বিষয়টি এ সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। 

ফলে নারীর সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ণয়ের বিষয়টি Public Discourse-এর পরিণত হয়। বিশেষত রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় নারীর অংশিদারিত্ব ঠিক কতটুকু হওয়া উচিত তা নিয়ে রাষ্ট্র বনাম নারীবাদের দর কষাকষি চলতে থাকে ।

→ নারীবাদ ও মার্কসবাদের সম্পর্ক : একজন মানুষ হিসাবে নারীর পূর্ণ অধিকারের দাবিই হলো নারীবাদ । নারীবাদ বিরাজমান ক্ষমতার কাঠামো আইন-কানুন ও রীতি-নীতি যা নারী অধস্তনতার কারণ রূপে কাজ করে তার বিরুদ্ধাচরণ করে। 

নারীবাদ নারী- পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে প্রয়াসী। অর্থাৎ, নারীবাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজস্থ নারী-পুরুষের মধ্যকার সমতা আনয়ন করা। অনুরূপভাবে মার্কসবাদের মূল বক্তব্য হলো শ্রেণি-ব্যবস্থার অবসানের মাধ্যমে সমাজে সমতা প্রতিষ্ঠা করা। 

ফলে উভয় মতবাদই মনে করে যে, গণতান্ত্রিক কাঠামো সহ সকল রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মুখ্য উদ্দেশ্য হলো ক্ষমতা। ক্ষমতা দখল, আর এই ক্ষমতার অন্তরালে রাষ্ট্র ব্যবস্থা শ্রেণি বৈষম্য ও নারী-পুরুষ সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণকে শোষণ করে থাকে ।

মার্কসবাদ ও নারীবাদ উভয়ে শ্রেণি বৈষম্য ও লিঙ্গীয় অসমতা থেকে উৎসরিত বিধায় মার্কসীয় দৃষ্টিতে শ্রেণি বিভাজন হলো সামাজিক অসমতার লক্ষণ, নির্দেশক। নারীবাদ, মার্কসবাদের এরূপ ধারণার সমর্থক ও এরূপ ধারণাকে যথার্থ বলে মনে করে। 

তবে নারীবাদীরা শ্রেণি দ্বন্দ্বের তুলনায় লিঙ্গীয় অসমতার উপর বেশি জোর দিয়ে থাকে। নারীবাদীরা মনে করে যে, সামাজিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের মূল কারণ হলো লিঙ্গভিত্তিক অসমতা।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নারীবাদ ও মার্কসবাদ উভয়ের মধ্যে ক্ষমতা, লিঙ্গভিত্তিক অসমতা এবং দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য থাকলেও কেউ কেউ মনে করেন যে, মার্কসবাদ যেহেতু মানব মুক্তির সমর্থক সেহেতু এর সাথে নারী মুক্তির মতবাদকে সম্পর্কিত করা সম্ভব। 

কিন্তু এজন্য আরও তথ্যের বিশ্লেষণ ও তথ্যের সংযোজন প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে, পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থায় উদারনৈতিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার ন্যায় নারী-পুরুষ সমতা আনয়ন সম্ভব নয়। 

অন্যদিকে মার্কসবাদ যেহেতু মানব মুক্তির কথা বলে এবং এজন্য বিদ্যমান সমাজ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনের কথা বলে সে হেতু নারী মুক্তির আন্দোলনে নারীবাদ মার্কসবাদকে উপেক্ষা করতে পারে না।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মার্কসবাদ ও নারীবাদের মধ্যে সম্পর্ক কি কি। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ