নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ।

নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ
নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ

নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ

উত্তর : ভূমিকা : উত্তর : ভূমিকা : সেলজুক সুলতান মালিক শাহের উজির ছিলেন নিজাম উল মূলক। তিনি একজন বিন্ধান ও বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি ছিলেন। 

বিদ্যোৎসাহী নিজাম উল মূলক শিক্ষার প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী ছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্কুল, কলেজ, মক্তব ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি যে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তার মধ্যে নিজামিয়া মাদ্রাসা উল্লেখযোগ্য।

→ নিজামিয়া মাদ্রাসা : নিজাম উল মূলক শিক্ষাবিস্তারের জন্য ১০৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদে নিজামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এটিকে মধ্যযুগে ইসলামের সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বিবেচনা করা হলে জ্ঞানবৃদ্ধ তাপস নিজাম কায়রোতে প্রতিষ্ঠিত ইসলামি শিক্ষায় এনে আল-আজহারের প্রতিদ্বন্দ্বী . বাগদাদে ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করিয়া সাফেয়ী এবং আশয়ারী মতবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। 

১০৯১ খ্রিস্টাব্দে নিজামউলমূলক দার্শনিক ও ধর্মতাত্ত্বিক আল গাজালিকে নিজামিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক নিযুক্ত করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৩৩ বছর। বার্বার বংশীয় আল-মোহাদ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ইবনে তুমারত এখানে গাজালির অধীনে লেখাপড়া করেন। 

১০৯৬ খ্রিস্টাব্দে গাজালি যখন মাদ্রাসা ত্যাগ করেন তখন ছাত্র ছিল ৩,০০০ জন । ১১৯৬ খ্রিস্টাব্দে মুহাম্মদ আল-শাহরাস্তানি এখানে শিক্ষাদান করেন। বাহাউদ্দিন ১১৭০ খ্রিস্টাব্দে নিজামিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাদান করেন। উপরন্তু পারস্যের মহাকবি শেখ সাদ। 

১১৯৫ থেকে ১২২৬ পর্যন্ত এখানে শিক্ষা লাভ করেন। শিক্ষা লাভ সমাপ্ত করার পর সাদী এই মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করেন। নিজামের পৃষ্ঠপোষকতায় গাজালি শিয়া মতবাদের সমালোচনা করে সুন্নি ইসলামের প্রভুত্ব কায়েম করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নিজাম উল মূলক সুলতান মালিক শাহের রাজত্বকালে একজন দক্ষ, বিচক্ষণ, বিদ্যোৎসাহী ও সাহসী সেনাপতি ছিলেন। তিনি মুসলমানদের শিক্ষার উন্নতির জন্য নিজামিরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অপরিসীম ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম নিজামিয়া মাদ্রাসা সম্পর্কে যা জানো লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
2 Comments
  • Anonymous
    Anonymous 26 August

    Good Website For Study

    • আরকে রায়হান
      আরকে রায়হান 26 August

      ধন্যবাদ স্যার

Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ