মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর ।

মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর
মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর

মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর

  • অথবা, মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব তুলে ধর।

উত্তর : ভূমিকা : আদর্শ ও মূল্যবোধ সমাজবিজ্ঞানের দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয়। আদর্শ ও মূল্যবোধ ব্যতিরেকে সুষ্ঠু সমাজ জীবনের কথা চিন্তা করা যায় না। 

যে সমাজে আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রভাব যতবেশি, সে সমাজ ততবেশি উন্নত ও প্রগতিশীল। সমাজে বসবাসকারী মানুষের মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্বাস দ্বারা আদর্শ ও মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। 

আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিটি মানুষের যোগ্যতা ও মর্যাদা নিরূপণ করে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করে ।

→ সমাজ জীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব : সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজগঠনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম । নিম্নে সমাজ জীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব আলোচনা করা হলো :

১. সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা : আদর্শ ও মূল্যবোধ সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যে সমাজে আদর্শ ও মূল্যবোধের উপস্থিতিরণ অভাব রয়েছে সেখানে জোর যার মুল্লুক তার এই নীতি প্রধান বিস্তার লাভ করে ।

২. মানব আচরণ নিয়ন্ত্রণ : মানব আচরণ নিয়ন্ত্রণ সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত। আদর্শ ও মূল্যবোধ মানব আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে। মানব আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা যায় ।

৩. সহনশীলতা অর্জন : সমাজে বিভিন্ন প্রকৃতির লোক বসবাস করে। তাদের আচার-আচরণ আলাদা। সমাজে চলতে মানুষকে সহনশীল হতে হবে। আদর্শ ও মূল্যবোধ মানুষকে সহনশীল হতে সহায়তা করে ।

৪. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা : আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রভাবে মানুষ সমাজে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। মানুষ অনুভব করে আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

৫. শ্রমের মর্যাদা দান : আদর্শ ও মূল্যবোধ জাতিকে শ্রমের মর্যাদা বুঝাতে সহায়তা করে। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। মূল্যবোধ ও আদর্শে অনুপ্রাণিত ব্যক্তি বুঝাতে পারে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ।

৬. ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সৃষ্টি : সৃষ্টিলগ্নে মানুষ ছিল সহায় । বিরুদ্ধ প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ ভ্রাতৃত্ব বন্ধন গড়ে তোলে । আদর্শ ও মূল্যবোধের প্রভাবে মানুষ এই সম্পর্ক গড়ে তোলো ।

৭. সামাজিক অনাচার প্রতিরোধ : সমাজে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি, খুন, রাহাজানি, ডাকাতি ইত্যাদি বিরাজিত । আদর্শ ও মূল্যবোধ সামাজিক অনাচার প্রতিরোধে সহায়তা করে

৮. সামাজিক দায়িত্ব পালন : আদর্শ ও মূল্যবোধ সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করে তোলে। সমাজে প্রতিটি ব্যক্তির কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য বিদ্যমান। ব্যক্তিকে সেই দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলে আদর্শ ও মূল্যবোধ ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আদর্শ ও মূল্যবোধ সমাজবিজ্ঞানের দুটি প্রত্যয়। আদর্শ সামাজিক মূল্যবোধের উপর উপর নির্ভরশীল, যা নৈতিক মানদণ্ডের নিরিখে যুক্তিগ্রাহ্য বলে মূল্যায়ন করা হয় । 

সমাজে সংহতি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় আদর্শ ও মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকা উচিত

আর্টিকেলের শেষকথাঃ মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম মানবজীবনে আদর্শ ও মূল্যবোধের গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ