অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায়

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায় জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায় ।

অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায়
অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায়

অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায়

  • সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদানসমূহ সংক্ষেপে লিখ ।
  • অথবা, সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদানগুলো তুলে ধর । 

ভূমিকা : মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে মানুষ যা কিছু করে বা সৃষ্টি করে তাই তার সংস্কৃতি। সংস্কৃতি মূলত বস্তুগত ও অবস্তুগত উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। 

আমাদের অলোচ্য বিষয় হলো সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদান। সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদান হলো মানুষের গুণাবলি, আদর্শ, মূল্যবোধ, চিন্তা-চেতনা, ভাষা, সাহিত্য বিজ্ঞান ইত্যাদি। মানবজীবনে সংস্কৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

→ সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদানসমূহ : মানব সংস্কৃতির যেসব উপাদান কেবল উপলব্ধি ও অনুধাবন করা যায় তাকে অবস্তুগত উপাদান বলে।

→ সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদানসমূহ উল্লেখ করা হলো :

১. মানুষের প্রয়োজন : মানুষ তাঁর প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। এই ব্যবস্থাগুলোই সংস্কৃতির উপাদান বলে বিবেচিত হয়। 

এগুলো সংস্কৃতির অবস্তুগত উপাদান। কিন্তু যখন ইট দ্বারা কোনো বাড়ি নির্মাণ করা হয় তখন তা সংস্কৃতির অংশ হয় ।

২. সমাজের স্বতন্ত্র ধারা : প্রত্যেক সমাজে রয়েছে একটি স্বতন্ত্র ধারা। যা ভবিষ্যতে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে। এই স্বতন্ত্র ধারা হলো সংস্কৃতির অংশ। এটি দ্বারা কোনো সমাজ চিহ্নিত হয়ে থাকে। তাই এটি সংস্কৃতির উপাদান।

৩. ভাষা : সংস্কৃতির অন্যতম অবস্তুগত উপাদান হলো ভাষা। ভাষার মাধ্যমে সমাজের রীতিনীতি, আদর্শ, আশা- আকাঙ্ক্ষা, আনন্দ-বেদনা অন্য সমাজে প্রবাহিত হয়। 

সমাজ জীবনের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে সংযোগ সাধনের ক্ষেত্রে ভাষার ভূমিকা অনেক।

৪. প্রথা : সংস্কৃতি অবস্তুগত উপাদান হলো প্রথা । সামাজিক প্রথা দ্বারা বিভিন্ন সমাজের মূল্যবোধ জানা যায়। প্রথার মাধ্যমেই সামাজিক আচার-আচরণ পরিবর্তিত হয় । মানুষ এসব প্রথা আয়ত্ত করে ।

৫. সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া : সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সংস্কৃতি এক প্রজন্ম হতে অন্য প্রজন্মে চলতে থাকে। 

সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংস্কৃতির উদ্ভব হতে পারে। শিশু সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে।

৬. বিভিন্ন প্রলক্ষণের সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাবেশ : বিভিন্ন প্রলক্ষণের সামঞ্জস্যপূর্ণ সমাবেশ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান। রন্ধন প্রণালি এই ধরনের সংস্কৃতি। 

মানুষ রান্নাকে রুচিশীল করার জন্য বিভিন্ন মসলা ব্যবহার করে। এটি একটি রীতিতে পরিণত হয় । বিভিন্ন সমাজের রঞ্চনপ্রণালি ভিন্ন ।

৭. আদর্শগত বিষয় : সংস্কৃতি হলো একটি আদর্শগত বিষয়। সংস্কৃতি একটি জাতি বা গোষ্ঠীর আচার-আচরণের সামাজিক রূপ। গোষ্ঠীর সব সদস্যই সংস্কৃতির অংশ। তাই বলা যায়, সংস্কৃতি হলো একটি আদর্শগত বিষয়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সংস্কৃতি মানুষের জীবনপ্রণালির সমন্বয়ে গঠিত। সংস্কৃতি যে ধরনেই হোক না কেন। সংস্কৃতি মানবসভ্যতা সমাজ, রাষ্ট্র ও দেশের উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধনে অগ্রিম ভূমিকা পালন করে। 

একজন মানুষের জন্ম থেকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার পিছনে সংস্কৃতির প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । মানুষ যা কিছু আবিষ্কার করেছে সবই সংস্কৃতি ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায়

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম অবস্তুগত সংস্কৃতি বলতে কি বুঝায় । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ