সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর ।

সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর
সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর

সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর

অথবা, সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো উল্লেখ কর ।

উত্তর : ভূমিকা : মানব সংস্কৃতি একটি বৈচিত্র্যময় বিষয়। প্রাচীন যুগে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম ছিল প্রতীক। প্রতিটি সংস্কৃতির কিছু প্রতীকী উপাদান আছে। 

প্রতীকী উপাদান সমাজের বিভিন্ন কার্যাবলি সম্পাদান করে থাকে। সমাজবিজ্ঞানের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় হলো প্রতীক। সমাজ জীবনে প্রতীক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

→ সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদান : সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান | হলো প্রতীক। প্রতিটি সংস্কৃতিতে বেশ কিছু প্রতীকী উপাদান আছে। নিম্নে এগুলো বর্ণনা করা হলো :

১. ভাষা : ভাষা হলো যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ভাষা সমাজে ব্যবহৃত সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদান । ভাষার মাধ্যমে মানুষ স্পষ্টভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে।

২. আদর্শ : দীর্ঘদিনের আচার-আচরণ, প্রথা, অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান, জীবন প্রণালির মধ্য দিয়ে আদর্শ গড়ে উঠে। আদর্শ হলো সাংস্কৃতিক প্রতীকী উপাদান। আদর্শ একটি ব্যক্তির চরিত্র, আচার-আচরণ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৩. মূল্যবোধ : যে মানদণ্ডের সাহায্যে সমাজের মানুষের আচার-আচরণ, রীতিনীতি, চাল-চলন ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয় তাকে সে সমাজের মূল্যবোধ বলা হয়। এটি একটি | অন্যতম সাংস্কৃতিক প্রতীকী উপাদান ।

৪. পোশাক পরিচ্ছদ : সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীকী উপাদান হলো পোশাক-পরিচ্ছদ। পোশাকের মাধ্যমে কোনো সমাজকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়। পোশাক দেখে কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় ।

৫. অঙ্গভঙ্গি : সংস্কৃতির আরেকটি প্রতীকী উপাদান হলো অঙ্গভঙ্গি। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গি ব্যবহৃত হয়ে থাকে । প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে বর্তমান যুগ পর্যন্ত যোগাযোগের ক্ষেত্রে অঙ্গভঙ্গি ব্যবহৃত হয় ।

৬. সাংস্কৃতিক চিহ্ন : সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদান হলো সাংস্কৃতিক চিহ্ন। সাংস্কৃতিক চিহ্ন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন- রাস্তার যখন ট্রাফিক লাল বাতি জ্বলে, তখন ড্রাইভার বুঝতে পারে যে থামতে হবে ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো প্রতীক। প্রতীকের মাধ্যমে শুধু যোগাযোগ রক্ষা হয় না। 

এটি সমাজের অশান্তি দূর করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমাজবিজ্ঞানে প্রতীক একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। এর মাধ্যমে সমাজের শান্তি, সংহতি ও বিকাশ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম সংস্কৃতির প্রতীকী উপাদানগুলো বর্ণনা কর । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ