তাহিরি রাজবংশের পরিচয় দাও

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তাহিরি রাজবংশের পরিচয় দাও জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তাহিরি রাজবংশ সম্পর্কে যা জান লিখ।

তাহিরি রাজবংশের পরিচয় দাও
তাহিরি রাজবংশের পরিচয় দাও

তাহিরি রাজবংশের পরিচয় দাও

  • অথবা, তাহিরি রাজবংশ সম্পর্কে যা জান লিখ। 
  • অথবা, তাহিরি রাজবংশ সম্পর্কে একটি টিকা লিখ। 

উত্তর : ভূমিকা : মধ্যযুগে আব্বাসীয় খিলাফতের রাজত্বকালে খলিফাদের দুর্বলতা, অযোগ্যতা ও দক্ষতার অভাবে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের পূর্ব দিকে কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজবংশের উদ্ভব ঘটে। তেমনি খলিফা মামুনের আমলে প্রতিষ্ঠিত তাহিরি বংশ তাদের মধ্যে অন্যতম। এ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাহির ইবনে হুসাইন ।

→ তাহিরি রাজবংশের পরিচয় : তাহিরি রাজবংশ ছিল পারস্যের ফিহকান বংশোদ্ভূত একটি রাজবংশ। তাহির ইবনে হুসাইন এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি আব্বাসীয় খলিফা আল মামুনের একজন শীর্ষ সেনাপতি ছিলেন। 

তাঁর পিতা হুসাইন হিরাত প্রদেশের বুশানজ শহরের গভর্নর ছিলেন। তার পিতামহ সহ সকলেই রাজপরিবারের সদস্য ছিলেন। তাহিরি রাজবংশের রাজধানী ছিল মার্ভে। পরবর্তীতে নিশাপুরে রাজধানী স্থানান্তরিত করা হয়। 

এই রাজবংশ ৮২০ থেকে ৮৭২ সাল পর্যন্ত শাসনকার্য পরিচালনা করেন। তাহিরিরা স্বাধীন শাসক ছিল না। বরং তারা ছিল আব্বাসীয় খিলাফতের অধিনস্ত। এসত্ত্বেও খোরাসান শাসনকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে তারা স্বায়ত্তশাসন ভোগ করেছে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, তাহির ইবনে হুসাইন স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার ফলে একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

তারা দীর্ঘ ৫২ বছর শাসনকার্য পরিচালনা করার পর সাফারিদের হাতে তাদের পতন হয়। তাহিরি রাজবংশ পতনের পর সাফারির খোরাসানকে নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ  তাহিরি রাজবংশ সম্পর্কে যা জান লিখ

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তাহিরি রাজবংশ সম্পর্কে একটি টিকা লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ