তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তাহির ইবনে হুসাইনের অবদানসমূহ তুলে ধর ।

তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর
তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর

তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা কর

  • অথবা, তাহির ইবনে হুসাইনের অবদানসমূহ তুলে ধর। 
  • অথবা, তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব লিখ।

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় খলিফা আল মামুনের রাজত্বকালে যে কয়েকজন ব্যক্তি স্মরণীয় হয়ে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো তাহির ইবনে হুসাইন। তিনি আব্বাসীয় খলিফাদের দুর্বলতার সুযোগ খোরাসানে একটি স্বাধীন রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তাহির কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজবংশটির নাম হলো তাহিরি বংশ ।

→ তাহিরের কৃতিত্ব : তাহিরি বংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাহিরের কৃতিত্ব নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. স্বাধীন রাজবংশের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা : তাহির ইবনে হুসাইনের | উল্লেখযোগ্য অবদান হলো পূর্বাঞ্চলে প্রথম স্বাধীন রাজবংশের প্রতিষ্ঠা, তাহিরি বংশের প্রতিষ্ঠা হিসেবে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম।

২. পারস্যের অনুকরণে শাসন প্রতিষ্ঠা : তাহির ইবনে হুসাইন ছিলেন। পারস্যের অধিবাসী। তিনি একজন অনারব ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর বিস্ময়কার সাফল্যের জন্য ইরানিদের এক রকম গৌরব অর্জিত হয়। তাহিরের শাসনব্যবস্থায় পারস্যের অনুকরণ যথেষ্ট লক্ষ্য করা যায় ।

৩. বিজয়াভিযান : তাহির ইবনে হুসাইন অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমন করে বিভিন্ন বিজয়াভিযান পরিচালনা করেন। তাহির প্রথমে বাগদাদ থেকে পচিশ মাইল উত্তরে হলওয়ান অভিযান করে সফলতা লাভ করেন । এরপর তিনি আহওয়াজ ও সুস জয় করেন।

৪. খলিফার স্বীকৃতি লাভ : তাহির ছিলেন খলিফা মামুনের সেনাপতি। মামুন তাকে ভ্রাতা আল আমিনের বিরুদ্ধে একটি অভিযানে প্রেরণ করেন। এই অভিযানে তাহির অভ্যন্ত সফলতার সাথে বিজয় অর্জন করেন। খলিফা আল মামুন তাকে খুশি হয়ে পুরস্কারস্বরূপ বাগদাদের পূর্ব দিকের সমস্ত জমি দেন।

৫. খুৎবায় নাম সংযোজন : খলিফা মামুন যখন তাহিরকে খোরাসানের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন তখন তাহির নিজ নামে একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই রাজবংশের নামকরণ করেন তাহিরি রাজবংশ। এর রাজধানী নির্মাণ করেন নিশাপুরে (৮২০ খ্রি.) তিনি শাসন ভার গ্রহণ করে নিজ নামে খুৎবা পাঠ করেন।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, আব্বাসীয় খিলাফতের ইতিহাসে তাহিরি রাজবংশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছেন। এ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাহির ইবনে হুসাইনের শাসনকাল এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। তাহির কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এ রাজবংশ আব্বাসীয় খিলাফতের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তাহির ইবনে হুসাইনের অবদানসমূহ তুলে ধর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তাহির ইবনে হুসাইনের কৃতিত্ব লিখ। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ