তাহিরি শাসকগণ কি স্বাধীন ছিলেন । কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক আলোচনা কর

 আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো তাহিরি শাসকগণ কি স্বাধীন ছিলেন । কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের তাহিরিগণ কি স্বাধীন ছিলেন? কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক কেমন ছিল।

তাহিরি শাসকগণ কি স্বাধীন ছিলেন । কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক আলোচনা কর
তাহিরি শাসকগণ কি স্বাধীন ছিলেন । কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক আলোচনা কর

তাহিরি শাসকগণ কি স্বাধীন ছিলেন । কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক আলোচনা কর

উত্তর : ভূমিকা : আব্বাসীয় খিলাফতের শাসন আমলে উত্তরাঞ্চলের ন্যায় পূর্বাঞ্চলেও বেশ কিছু স্বাধীন রাজবংশ গড়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় শাসনের দুর্বলতা ও বিভিন্ন কারণে পূর্বাঞ্চলে তেমনি একটি রাজবংশ গড়ে ওঠে যার নাম হচ্ছে তাহিি রাজবংশ। এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন খলিফা মামুে সুযোগ্য সেনাপতি তাহির। 

তার নামানুসারে এই রাজবংশের নামকরণ করা হয়েছে। তাহিরি রাজবংশের শাসকগণ কেন্দ্রীয় খলিফাদের অধীনে থেকে স্বাধীনভাবে শাসনকার্য পালনা করতেন কিন্তু তারা কখনো খলিফ, পদবী গ্রহণ করেনা।। তাই আমরা তাদেরকে পূর্বাঞ্চলে স্বাধীন রাজবংশ বলতে পারি।

→ তাহিরিগণ স্বাধীন ছিল না : তাহির কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ স্বাধীনভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করলেও আমরা তাদের পূর্ণ স্বাধীন রাজবংশ হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি না তার কারণ হলো :

১. নিজেকে খলিফা হিসেবে পাবি না করা; যদি কোনো রাজবংশ স্বাধীন রাজবংশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে চায় তাহলে তারা নিজেদেরকে খলিফা হিসেবে দাবি করবে।

২. তারা নিজের নামে মুদ্রা জারি করেনি, স্বাধীন শাসক হতে হলে নিজ নামে মুদ্রা থাকবে।

৩. তারা নিজেদের পূর্ণ স্বাধীনভাবে ঘোষণা করেনি 1.

৪. তাহির যদিও খুতবায় খলিফার নাম বাদ দিয়ে নিজ নামে। খুৎবা পাঠ করান তিনি কিন্তু খলিফার প্রতি আনুগত্য ছিলেন যার জন্য তিনি প্রতি বছরে রাজস্বসহ উপঢৌকন প্রদান করতে আব্বাসীয় খলিফা আল মামুনের কাছে। তাই উপরের তথ্য অনুসারে আমরা বলতে পারি যে তারা না ছিল স্বাধীন না ছিল পরাধীন।

→ কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে সম্পর্ক : আব্বাসীয় খলিফাদের সাথে তাহিরি রাজবংশের সুসম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। কেননা তাহিরি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কোন প্রকার বিদ্রোহ করে তাহিরি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত করেনি। আব্বাসীয় খলিফা মামুন তাকে নিজে খোরাসানের শাসনভার অর্পণ করেন। 

তাই তিনি নিজের ক্ষমতাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য নিজ নামে একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেন আর এই রাজবংশ পরবর্তী যতজন শাসক শাসন করেন তারা সবাই আব্বাসীয় খলিফাদের প্রতি অনুগত ছিলেন। 

তাদের প্রতি অনুগত থেকে তারা এই অঞ্চলে শাসন করতো এবং প্রতিবছর কেন্দ্রীয় খলিফাদের কাছে রাজস্বসহ বিভিন্ন উপঢৌকন প্রেরণ করতেন। তাই আমরা বলতে পারি যে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল, যদি না আব্বাসীয়দের সাথে সুসম্পর্ক না থাকতো তাহলে তাহির নিজ নামে খুৎবা পাঠ করতে পারতেন না ।

বাৎসরিক রাজস্ব : তাহিরি রাজবংশের খলিফাগণ কেন্দ্রীয় আব্বাসীয় খলিফাদের কাছে বার্ষিক যে কর প্রদান করতেন তাহলো দিরহাম- ৪৪,৮৪,৬০০, ঘোড়া-১০,০০০, দাস- ২০০০, ভেড়া-২০০০ ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, খলিফা দাবি না করে নিজ নামে খুতবা পাঠ করলেও তারা স্বাধীন ছিল না কারণ তারা আব্বাসীয় শাসকদের প্রতিছিল অনুগত যার জন্য প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ উপঢৌকন তারা প্রেরণ করতেন বলে জানা যায়। তাই আমরা তাদেরকে পূর্ণ স্বাধীন রাজবংশ হিসেবে বলতে পারি না ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ তাহিরিগণ কি স্বাধীন ছিলেন? কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক কেমন ছিল

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম তাহিরি শাসকগণ কি স্বাধীন ছিলেন । কেন্দ্রীয় খলিফার সাথে তাদের সম্পর্ক আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ