উদার নারীবাদ কি

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো উদার নারীবাদ কি জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের উদার নারীবাদ কি।

উদার নারীবাদ কি
উদার নারীবাদ কি

উদার নারীবাদ কি

  • অথবা,উদারনৈতিক নারীবাদ কী? 
  • অথবা,উদারনৈতিক নারীবাদ কাকে বলে? 
  • অথবা, উদার নারীবাদ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : ভূমিকা : নারী অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অদ্যাবধি পর্যন্ত যতগুলো মতবাদের উদ্ভব হয়েছে তার মধ্যে উদারনৈতির নারীবাদ প্রাচীনতম । উদার নারীবাদীদের অনুসৃত পথকে অনুসরণ করে পরবর্তীতে বিভিন্ন নারীবাদের আবির্ভাব হয়। 

যেমন- আমূল নারীবাদ, মার্কসীয় নারীবাদ, সমাজতান্ত্রিক নারীবাদ প্রভৃতি । সকল নারীবাদী ধারণাই সমাজস্থ নারীর প্রতি নানা বৈষম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। ধারাসমূহের উদ্দেশ্য অর্জনের কৌশল ভিন্ন হলেও সকল ধারাই নারীর মুক্তিতে বিশ্বাসী ।

→ উদারনারীবাদ : উদার নারীবাদ উদারতাবাদ নামক রাজনৈতিক চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত এবং নারীবাদের প্রাচীনতম মতবাদ। উদার মতবাদে ব্যক্তি বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন জীব হিসেবে স্বাধীনভাবে কাজ করতে আগ্রহী এবং তার উদ্দেশ্য অর্জনে সক্ষম। 

উদারনীতি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সকল বাধা-বিপত্তিকে দূরীভূত করে নারী স্বাধীনভাবে যাতে সকল প্রকার কর্মে অংশ নিতে পারে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করাই উদার নারীবাদীদের উদ্দেশ্য। ফরাসি বিপ্লবের মহান স্লোগান “সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা” দ্বারা এই মতবাদ প্রভাবিত যা নারীর অধিকারকেই অগ্রাধিকার দেয়। 

কারণ বিদ্যমান সমাজ কাঠামো ক্ষেত্রে জিইয়ে থাকা বৈষম্য দূর করার জন্যই নারী ও পুরুষের সমান অধিকার থাকা প্রয়োজন। আর নারীদের এই সমান অধিকারের দাবি নিয়ে যে কয়জন মহামানবের আবির্ভাব হয় তাদের মধ্যে মেরী ওলস্টোন ক্রাফট, জন স্টুয়ার্ট মিল, হ্যারিয়েট টেইলর, বেটি ফ্রাইডেন, এলিজাবেথ ক্যাডি স্টেন্টন প্রভৃতি নারীবাদী উল্লেখযোগ্য। 

পাশাপাশি উপমহাদেশেও বেশ কয়জন নারীবাদী আন্দোলন কর্মীর আবির্ভাব হয় যাদের মধ্যে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম উল্লেখযোগ্য। উদার নারীবাদী প্রবক্তাদের মধ্যে মতভেদ থাকলেও প্রাথমিক পর্বে অধিকাংশ উদার নারীবাদী আন্দোলন কর্মীর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল নারীর রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা। 

যেমন : ভোটাধিকার, সামাজিক অধিকার, সম্পত্তির অধিকার, আইনগত অধিকার প্রভৃতি কিন্তু বর্তমানে উদার নারীবাদের মূল স্লোগান হলো জেন্ডার ন্যায়পরায়ণতার ভিত্তিতে নির্যাতনমূলক ও বৈষম্যসূচক জেন্ডার ভূমিকার বিলোপ। আর এ সকল দাবি-দাওয়ার পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠস্বরগুলোর মধ্যে বেটি ফ্রাইডেন, বেলা আবজুগ, এলিজাবেথ হোলটজম্যান এবং এলিনর স্মিয়েল- এর নাম সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শত সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও উদার নারীবাদই প্রথম নারী বৈষম্যকে সামনে তুলে ধরে এবং এটিকে আন্দোলনে পরিণত করে। বিরাজমান বৈষম্যমূলক সামাজিক কাঠামোর মধ্য থেকেও নারীরা আস্তে আস্তে শিক্ষা, রাজনৈতিক ও আইনগত সুযোগ-সুবিধা লাভের মাধ্যমে নিজ, পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের উন্নয়নও ঘটাচ্ছে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছে।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ উদারনৈতিক নারীবাদ কাকে বলে

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম উদারনৈতিক নারীবাদ কাকে বলে । যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ