গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে বিষয় হলো গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর জেনে নিবো। তোমরা যদি পড়াটি ভালো ভাবে নিজের মনের মধ্যে গুছিয়ে নিতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমাকে মনযোগ সহকারে পড়তে হবে। চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা জেনে নেই আজকের গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর।

গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর
গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর

গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর

উত্তর ভূমিকা : যেকোনো কাজের প্রাথমিক পদক্ষেপই হচ্ছে পরিকল্পনা বা নকশা প্রণয়ন। আর গবেষণার উদ্দেশ্য এ প্রাথমিক পর্যায়েই স্থির করতে হয়। 

তবে গবেষণার ধরন, অনুসৃত পদ্ধতি ও গবেষণার উদ্দেশের ভিন্নতার কারণে গবেষণা নকশায়ও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। 

এরূপ ভিন্নতা ও নমনীয়তা সত্ত্বেও গবেষণা নকশার কতিপয় উপাদান বিদ্যমান যেগুলোকে সাধারণ পর্যায়ক্রমিকভাবে অনুসরণ করতে হয় ।

গবেষণা নকশার উপাদানসমূহ : নিম্নে গবেষণা নকশার উপাদানসমূহ পর্যায়ক্রমিকভাবে আলোচনা করা হলো—

১. গবেষণার শিরোনাম : গবেষণার শুরুতে গবেষণার বিষয়ের ওপর একটি শিরোনাম তৈরি করতে হয়। শিরোনাম যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত ও সুস্পষ্ট হতে হয়। 

শিরোনামে ব্যবহৃত শব্দগুলো গবেষণার বিষয়বস্তুকে প্রকৃত অর্থে উপস্থাপন করবে এবং পরিধি চিহ্নিত করবে।

২. গবেষণার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা : শিরোনামের পর কোনো গবেষণার বিষয়বস্তু নির্ধারণ এবং সাধারণ বর্ণনা প্রদান করা গবেষণার প্রধান কাজ। 

গবেষক যে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে চাচ্ছেন তা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তার সমাধান কেন বাঞ্ছনীয় প্রভৃতি বিষয়ে এ অংশে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ থাকে। 

এ পর্যায়টিকে ভূমিকা, অবতারণা, বিষয়বস্তুর বর্ণনা, গবেষণার বিষয়বস্তু, গবেষণার সমস্যা নির্বাচন প্রভৃতি নামে অভিহিত করা হয়। ।

৩. গবেষণার উদ্দেশ্য : গবেষক কি উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য গবেষণা কর্ম পরিচালনা করছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে। 

কেননা গবেষণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে গবেষকের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকলে তা অর্জন করা সম্ভব হয় না। তবে কোনো গবেষণার একটিমাত্র উদ্দেশ্য থাকতে পারে, আবার একাধিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে ।

৪. অনুমান গঠন : অনুমান গঠন গবেষণার চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে । তাই গবেষণার উদ্দেশ্যের সাথে সংগতি রেখে অনুমান গঠন করা গবেষকের অন্যতম কাজ। 

প্রকৃতপক্ষে তাত্ত্বিক কাঠামো, পূর্ববর্তী গবেষণা, গবেষকের পূর্বজ্ঞান ও প্রজ্ঞা থেকে অনুমান গঠন করা হয় ।

৫. প্রত্যয়সমূহের সংজ্ঞা প্রদান : গবেষণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রত্যয়ের কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদান করা একান্ত জরুরি। একটি প্রত্যয় বিভিন্ন গবেষণায় বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়। 

একটি গবেষণায় একটি প্রত্যয়কে গবেষক কোন অর্থে ব্যবহার করবেন এবং তার পরিধি কতদূর ব্যাপ্ত তা এ সংজ্ঞা দ্বারা নির্দিষ্ট করা হয় ।1

৬. চলক নির্ধারণ : সামাজিক গবেষণায় চলক নির্ধারণ একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এ পর্যায়ে গবেষণায় ব্যবহৃত চলকগুলো চিহ্নিতকরণ ও নির্দিষ্টকরণ করা হয়। 

প্রতিটি গবেষণার দু'ধরনের চলক থাকে । নির্ভরশীল চলক ও অনির্ভরশীল চলক । গবেষণা নকশায় কোনটি নির্ভরশীল চলক এবং কোনটি অনির্ভরশীল চলক তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হয়। 

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গবেষণা নকশা যেকোনো গবেষণার প্রাণস্বরূপ। তাই বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সামাজিক সমস্যার বাস্তব 

সম্মত সমাধানের জন্য পরিকল্পনামাফিক গবেষণা পরিচালনার কোনো বিকল্প নেই। তা না হলে যেকোনো গবেষণাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে ।

আর্টিকেলের শেষকথাঃ গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর

আমরা এতক্ষন জেনে নিলাম গবেষণা নকশার উপাদানগুলো আলোচনা কর। যদি তোমাদের আজকের এই পড়াটিটি ভালো লাগে তাহলে ফেসবুক বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারো। আর এই রকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের আরকে রায়হান ওয়েবসাইটের সাথে থাকো। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ